তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০০৩
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বিত কার্যক্রম দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে পারে
-- এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, অঞ্চলভিত্তিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর পরিকল্পিত ও সমন্বিত কার্যক্রম দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার নিয়ামক শক্তি হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর পল্টন কমিউনিটি সিটি সেন্টারে ঢাকাস্থ সেনবাগ পেশাজীবী পরিষদের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
পরিষদের সভাপতি হাসান মঞ্জুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এস এ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল হোসাইন, শিল্পপতি মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া ও এম এ তালেব, ব্যবসায়ী নেতা মো. আবুল খায়ের ও সৈয়দ মো. হারুন-অর-রশিদ, রাজনীতিবিদ মো. হানীফ ব্যাপারী ও জাহির মাহমুুদ জহির বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নোয়াখালীর মানুষ তাদের মেধা, মনন, শ্রম ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত। নোয়াখালী জেলার সেনবাগ একটি ঐতিহাসিক জনপদ। এ এলাকার জ্ঞানী-গুণিজন যুগ যুগ ধরে দেশবিদেশে শিক্ষা, সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিজ্ঞানচর্চাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণকর কার্যক্রমে গৌরবোজ্জ¦ল ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি সেনবাগ পেশাজীবী পরিষদের জনবান্ধব কর্মসূচির প্রশংসা করে দেশের অন্যান্য এলাকার সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে আরো গঠনমূলক ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেন। এতে দেশের প্রতিটি অঞ্চল আত্মনির্ভরশীল হতে সহজ হবে।
পরে সেনবাগের প্রয়াত কৃতী সন্তানদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
#
আহসান/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০০২
পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান- ২০১৬ চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে স্টিয়ারিং কমিটির সভা
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
আজ ঢাকায় বিদ্যুৎ ভবনে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৬ চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে স্টিয়ারিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান- ২০১০ পর্যালোচনা করে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাইকার সহযোগিতায় এ মাস্টার প্ল্যান প্রণীত হচ্ছে।
এ পরিকল্পনাতে প্রাথমিক জ্বালানি আমদানির অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, অভ্যন্তরীণ জ্বালানি সম্পদের উন্নয়ন ও সাশ্রয়ী ব্যবহার, পাওয়ার সিস্টেমের গুণগত মান উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার ও প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং টেকসই জ্বালানির জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
স্টিয়ারিং কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এটা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোলার নেটওয়ার্ক ও গবেষণার বিষয়টি এখানে আরো স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, তা বাস্তবায়নে এ পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। গ্যাসের জন্যও একটি মাস্টার প্ল্যান থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আগামী দিনের চাহিদা বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা অনুসারে এগোতে হবে। উন্নত দেশের মানুষ কী পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করে, জ্বালানি মিক্স এর প্যাটার্ন কী রকম, জ্বালানির উৎস ও মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় পরিকল্পনায় থাকা প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাইকা এ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে সহযোগিতা করবে।
পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান- ২০১৬ তে, ২০৪১ সালে ৫০০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যেখানে জনপ্রতি ১৫০০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে। প্রযুক্তির উৎকৃষ্টতা ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার সম্পর্কে জনসচেনতা এ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে বলে ভাবা হচ্ছে। প্রতিবছর কয়লা ৬০ মিলিয়ন টন ও তেল ৩০ মিলিয়ন টন এবং প্রতিদিন ৪০০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস প্রাথমিক জ্বালানি আমদানির বিষয় যা উল্লেখ করা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে কম ভূমি ব্যবহার করে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর এ মাস্টার প্ল্যানে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, বার্কের চেয়ারম্যান এ আর খান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. আবুল আলাম আজাদ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নাজিমউদ্দিন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৮৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০০১
সঠিক পরিকল্পনার ফলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে
-- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
রাজশাহী, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ্রিয়ার আলম বলেছেন, বর্তমান সরকারের সঠিক পরিকল্পনার ফলেই দেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে সরকার পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় নবনির্মিত উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ও প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
চারঘাট উপজেলার চারতলাবিশিষ্ট নবনির্মিত উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ও প্রশাসনিক ভবনটি সরকারি অর্থায়নে সাড়ে চার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও এলজিইডি নির্মাণ করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের ১৬ কোটি জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। কৃষি, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, বাসস্থান ও পরিবেশ এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ সকল ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা ও চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী বাঘা উপজেলার শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দকৃত ২৫ টি হুইল চেয়ার এবং গরিব ও দুঃস্থ নারীদের মাঝে ৩২টি সেলাই মেশিন বিতরণ করেন। বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
হালিম/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০০০
ঈশ^রদীতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ভবন উদ্বোধন করলেন ভূমিমন্ত্রী
ঈশ^রদী, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করতে হবে। সরকার দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প একটি বাড়ি একটি খামার এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজে সংশ্লিষ্ট সকলকে মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
আজ ঈশ^রদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণে নবনির্মিত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একে একে গ্রহণ করেছেন দারিদ্র্যবান্ধব কর্মসূচি। সারাদেশের
১ কোটি ১০ লাখ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্থায়ী দারিদ্র্যমুক্ত করার সংগ্রাম করছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের আর্থসামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে সরকার। নি¤œবিত্ত মানুষকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, সবাইকে বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার আওতায় আনা হচ্ছে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্ণীতিমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার কাজে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ঈশ^রদীতে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় ৭টি ইউনিয়নের ৬৩টি গ্রামের
৩ হাজার ৭৮০ জন সুফলভোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, সবজি বীজ, গাছের চারা, ঢেউ টিন বরাদ্দ বাবদ ২৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ঈশ^রদীতে এ প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি ১৯ লাখ ২৩ হাজার টাকার তহবিল রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আকবর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল মাহমুদ, ঈশ^রদী উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহজেবিন শিরীন পিয়া এবং ঈশ^রদী থানা ইনচার্জ বিমান কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় আটঘরিয়া উপজেলার বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, হিজড়া ভাতাসহ উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করেন।
#
রেজুয়ান/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৬২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৯৮
৩২ হাজার পিস ইয়াবা আটক করেছে কোস্টগার্ড
কক্সবাজার, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড স্টেশন টেকনাফের একটি অপারেশন দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতরাতে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন ছাইরোন খাল এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় খালের পাড়ে থাকা ইয়াবা ব্যবস্যায়ীরা কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। উক্ত ব্যাগ তল্লাশি করে ৩২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট আটক করে কোস্টগার্ড।
আটককৃত ইয়াবার মূল্য প্রায় ১ কোটি ষাট লাখ টাকা।
#
শামীম/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৬১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৯৭
স্পিকারের সাথে ভারতের লোকসভা সদস্য অভিজিৎ মুখার্জীর সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে আজ ঢাকায় তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত ভারতের লোকসভার সদস্য অভিজিৎ মুখার্জী সাক্ষাৎ করেন।
জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান, হুইপ ইকবালুর রহিম এবং সংসদ সদস্য বেগম মাহজাবিন খালেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দু’দেশের সংসদীয় কার্যক্রম, নারী নেতৃত্বের বিকাশ, ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার, বর্ডার হাট চালু, সীমান্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং দু’দেশের কবি সাহিত্যিকদের বাংলা ভাষায় গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির সুযোগ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই চমৎকার উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। তিনি দু’দেশের জনগণের মধ্যে ভবিষ্যতে এসকল ক্ষেত্রে আরো সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্পিকার আরো বলেন, ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহ্সা দীর্ঘদিনের এবং তা অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বাংলাদেশও এক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করছে। বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।
ভারতের লোকসভার সদস্য অভিজিৎ মুখার্জী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সংস্কৃতি, ভাষা ও আচারআচরণ এক। দু’দেশের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্যে আরো প্রসার হলে এর মাধ্যমে দু’দেশের মানুষের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে। তিনি বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় আরো বেশিসংখ্যক বর্ডার হাট চালু এবং একই সাথে সীমান্তবর্তী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অভিজিৎ মুখার্জী বাংলা ভাষার উন্নয়নের জন্য দু’দেশের কবি সাহিত্যিকদের সম্মিলিতভাবে বাংলা ভাষা চর্চার সুযোগ সৃষ্টি ও বাংলা ভাষার উন্নয়নে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। দু’দেশের সংসদের মধ্যে নিয়মিত প্রতিনিধি বিনিময়ের মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরো জোরদার হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
#
হুদা/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৬১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৯৯
বজ্রপাতে করণীয় বিষয়ে জাতীয় কর্মশালা
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে এবং বজ্রপাতের আগাম বার্তা দিতে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল অবকাশে বজ্রপাতে করণীয় বিষয়ে জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. এম আরশাদ মোমেন, অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন ও জাইকার কান্ট্রি প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর নাওকি মাতসুমুরা।
কর্মশালায় বজ্রপাতে দেশ বিদেশের অভিজ্ঞতা, পূর্ব প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, জনগণের করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
মন্ত্রী বলেন, এবছর বজ্রপাতে এ পর্যন্ত শতাধিক লোক মারা গেছে। সরকার তাদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা প্রদান করেছে। এসব পরিবার অস্বচ্ছল হলে তাদের ভিজিএফ কার্ড দিয়ে সহযোগিতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সরকার বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ, গবেষক, সংবাদকর্মী, জনপ্রতিনিধিসহ ১৭ ক্যাটাগরির স্টেকহোল্ডার অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় বজ্রপাতে মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে আগাম বার্তা প্রদানের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন, পাঠ্যসূচিতে বজ্রপাতে করণীয় বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণ, বজ্রপাত ঝুঁকি নিরূপণে জাতীয় গাইডলাইন প্রণয়ন, বজ্রপাত ব্যবস্থাপনায় জিও-এনজিও সমন্বয় সাধন, বিল্ডিং কোড মেনে ঘরবাড়ি নির্মাণ, বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ, ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি ও গণসচেতনতা সৃষ্টিতে স্থানীয় সরকার কাঠামোর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন তথা উষ্ণায়নের কারণে বজ্রপাতের মাত্রা বেড়ে গেছে কিনা তার ওপর গবেষণার জন্য প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী গবেষকদের অনুরোধ করেন। মোবাইল টাওয়ারের কারণে বজ্রপাতের অধিক্য প্রমাণিত নয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন বজ্রপাতের সময় টেলিফোন লাইন ব্যবহার না করাই উত্তম। বজ্রপাত হয় এমন মেঘের ধরণ সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার ওপর অধ্যাপক ড. এম আরশাদ মোমেন গুরুত্বারোপ করেন। এ উপমহাদেশে দীর্ঘ খরার কারণে এ বছর বজ্রপাত বেশি হচ্ছে বলে আবহাওয়াবিদ মো. শামিম হাসান ভূইয়া উল্লেখ করেন।
#
ওমর ফারুক/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৬১৪ ঘণ্টা