Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ ডিসেম্বর ২০১৮

তথ্যবিবরণী ৮ ডিসেম্বর ২০১৮

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩২৬১

 

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত

১৯ ডিসেম্বর বুধবার সারাদেশে পবিত্র ফাতেহা- ই- ইয়াজদাহম পালিত হবে

 

ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :  

 

বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল ৯ ডিসেম্বর রবিবার থেকে পবিত্র রবিউস সানি মাস গণনা শুরু হবে।  প্রেক্ষিতে, আগামী ১৯ ডিসেম্বর বুধবার সারা দেশে পবিত্র ফাতেহা- ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে।

 

 আজ ঢাকায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররমস্থ সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনিছুর রহমান।

 

 সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, তথ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার ফজলে রাব্বী, ঢাকা জেলার এডিসি (সাধারন) মোঃ শহিদুজ্জামান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, সরকারি মাদ্রাসা- ই- আলিয়ার অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর, ওয়াক্ফ প্রশাসক মোঃ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের ইমাম এবং খতীব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান উপস্থিত ছিলেন। 

 

#

 

শায়লা/নাইচ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২২৩০ ঘণ্টা  তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৩২৬০
 
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ
                                           -- ভূমিমন্ত্রী
 
ঈশ^রদী (পাবনা), ২৪ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
 
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ আছেন এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাঁদের কাজ চালিয়ে যাবেন। মুক্তিযোদ্ধারা আজীবন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার সৈনিক হিসেবে শেখ হাসিনার সরকার ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আছেন এবং থাকবেন।
 
মন্ত্রী আজ পাবনা জেলার ঈশ^রদী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্মিলনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
 
ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বাস্তব উন্নয়ন চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরুন। এ উন্নয়ন দেখাতে পোস্টারের প্রয়োজন হবে না। এলাকার রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন সকলই এ সরকারের উন্নয়ন পোস্টার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ঈশ^রদী ও আটঘরিয়ার সমস্ত গ্রামে গ্রামে প্রাইমারি স্কুল, প্রতি তিন কিলোমিটারের মধ্যে হাইস্কুল ও প্রতি ইউনিয়নে ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
 
মন্ত্রী বলেন, ঈশ^রদী ও আটঘরিয়ায় শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন সোনার বাংলা গড়ার -  মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি শিখিয়ে গিয়েছেন কিভাবে সোনার বাংলা গড়তে হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। দেশ ও দশের কল্যাণে উন্নত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান ভূমিমন্ত্রী।
 
#
 
রেজুয়ান/নাইচ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                   নম্বর : ৩২৫৯
 
বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
 
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :  
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ ডিসেম্বর ‘বেগম রোকেয়া দিবস - ২০১৮’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
“মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস পালন এবং বেগম রোকেয়া পদক - ২০১৮ প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
বেগম রোকেয়া ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক। বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত তিনি। প্রবন্ধ, গল্প ও উপন্যাসের মধ্য দিয়ে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের কথা উঠে এসেছে তাঁর লেখায়। চিন্তা-চেতনা এবং মননে তিনি একজন প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব। বেগম রোকেয়ার আদর্শ, সাহস এবং কর্মময় জীবন নারীসমাজের এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস।
সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করেন। নারীসমাজের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করে। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা দেশে নারী শিক্ষার প্রসার, নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা নারী উন্নয়ন নীতি - ২০১১ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করছি। বাল্যবিবাহ নির্মূলের জন্য ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন - ২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে। নারী শিক্ষার প্রসারে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে। উপবৃত্তি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধ এবং জেন্ডার সমতায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে। এর ফলে নারীরা আজ কর্মমুখী। বেড়েছে নারীদের কর্মসংস্থান। নারীরা হয়েছে সাবলম্বী।
বাংলাদেশের নারী-পুরুষ আজ দেশের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। নারীবান্ধব বাজেট প্রণয়নের মাধ্যমে আমরা উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীকে সম্পৃক্ত করেছি। রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, আইন প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং খেলাধুলাসহ পেশাভিত্তিক সকল স্তরে আজ নারীদের গর্বিত পদচারণা। এভারেস্ট বিজয় থেকে শুরু করে মানবাধিকার রক্ষা এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের কর্মকা-ে নারীগণ সাফল্যের সঙ্গে ভূমিকা রাখছেন, অর্জন করছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সম্মাননা।
নারী উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা জাতিসংঘের ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম প্রদত্ত ‘এজেন্ট অভ্ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছি। নারী ও কন্যাশিশুর সাক্ষরতা ও শিক্ষা প্রসারে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কো আমাকে ‘শান্তিবৃক্ষ’ স্মারক পুরস্কারে ভূষিত করেছে। নিজেদের মেধা ও কর্মের মাধ্যমে নারী উন্নয়নে অবদান রাখায় যেসকল নারী ‘রোকেয়া পদক ২০১৮’ লাভ করেছেন, তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে আমরা এগিয়ে চলেছি রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে। আমি আশা করি, বেগম রোকেয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নিজেদের উন্নয়নের মূল ¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে এদেশের নারীসমাজ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবেন।
আমি বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি এবং বেগম রোকেয়া পদক - ২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
ইমরুল/নাইচ/পারভেজ/রেজাউল/২০১৮/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                  নম্বর : ৩২৫৮ 
 
বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
 
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৯ ডিসেম্বর ‘বেগম রোকেয়া দিবস - ২০১৮’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বেগম রোকেয়া দিবস - ২০১৮’ উদ্যাপন ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদানের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীমুক্তি, সমাজ সংস্কার ও প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃৎ। আজকের এই দিনে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। বেগম রোকেয়া উন্নত মানসিকতা, দূরদর্শী চিন্তা, যুক্তিপূর্ণ মতামত প্রদান ও বিশ্লেষণ, উদার মানবতাবোধের অবতারণা এবং সর্বোপরি দৃঢ় মনোবল দিয়ে তৎকালীন নারী সমাজকে জাগিয়ে তোলেন। বাঙালি মুসলিম নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি পর্দার অন্তরালে থেকেই নারীশিক্ষা বিস্তারে প্রয়াসী হন এবং মুসলমান মেয়েদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ সুগম করেন। সামাজিক নানা বিধি-নিষেধ, নিয়ম-নীতির বেড়াজাল অগ্রাহ্য করে তিনি আর্বিভূত হন অবরোধবাসিনীদের মুক্তিদূত হিসেবে। বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও কর্ম আমাদের নারী সমাজের অগ্রযাত্রায় পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশে জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। নারী-পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব ব্যতীত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার নারী সমাজকে দেশের সার্বিক উন্নয়নে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, ২০১১। ভিজিডি, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। শতভাগ উপবৃত্তি প্রদান ও অবৈতনিক শিক্ষা কার্যক্রমের ফলে শিক্ষাক্ষেত্রেও নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রকৌশলসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং পেশায় আজ নারীদের অবাধ পদচারণা। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে রোল-মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। দেশের উন্নয়নে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই সহযাত্রী হিসেবে কাজ করবেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হবে, বেগম রোকেয়া দিবসে - এ প্রত্যাশা করি।
এ বছর ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রাপ্ত সকলকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। 
আমি ‘বেগম রোকেয়া দিবস - ২০১৮’ উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি সফল হোক - এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
 
হাসান/নাইচ/পারভেজ/রেজাউল/২০১৮/১৬৫৫ ঘণ্টা 
Todays handout (3).docx