তথ্যবিবরণী নম্বর :১১৮৪
বিমানবন্দরে সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে
---বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিমানবন্দরে সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে সাথে বিমান বন্দরগুলোর সেবার মান আরো উন্নত করতে হবে। বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বিমানবন্দরে যাতায়াতের সময় যাতে কোন দেশি বা বিদেশি যাত্রি হয়রানি না হয়, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দেশ এগিয়ে গেলেও বিমানবন্দরে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এয়ার লাইন্সগুলো এখনো ভালো করতে পারেনি। অনেক এয়ার লাইন্স কাজ শুরু করলেও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না। এয়ার লাইন্সগুলোকে সহযোগিতা দিতে হবে। এগুলোর অগ্রযাত্রায় যাতে কোন ধরনের বাধার সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় আর্মি গল্ফ ক্লাবে প্লাম ভিউ রেস্টুরেন্টে এভিয়েশন অপারেটর এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘দেশীয় এয়ার লাইন্সের বর্তমান সমস্যা এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে দেশীয় এয়ার লাইন্সগুলো এখন এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। মানুষ এখন সময় ও কষ্ট বাঁচানোর জন্য আকাশ পথ ব্যবহার করছে। এ পথের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন কাজে মানুষ এখন হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে। মানুষ এগুলো ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জন করেছে। সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে যাত্রীদের আস্থা অর্জন করতে হবে সেবা প্রদানককারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। দেশীয় এয়ার লাইন্সগুলোর সামনে বিপুল সম্ভাবনা। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। গ্রাহকদের কাছে নিজেদের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করতে হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে এয়ার লাইন্সগুলোর বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। দেশে এ সেক্টরে দক্ষজনশক্তি গড়ে তোলার জন্য একটি আলাদা বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এয়ার লাইন্সগুলোকে কার্যকর ভাবে পরিচালনার জন্য জ¦ালানির মূল্য যুক্তিসংগত পর্যায়ে নিয়ে আসা উচিত। ভ্যাটসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তবেই এয়ার লাইন্সগুলো ভালোভাবে চলতে পারবে।
#
বকসী/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :১১৮৩
শিক্ষকদের উন্নত মূল্যবোধ অর্জন করতে হবে
---শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষকদের মানোন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে-বিদেশে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শিক্ষকদেরকে উন্নত নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন আদর্শ শিক্ষক হতে হবে। যাতে ছাত্রছাত্রীরা তাদের অনুসরণ করতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল ল্য মেরিডিয়েনে জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক ও মাস্টার ট্রেইনারদের ‘কানেক্টিং ক্লাসরুমস’ শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের মান উন্নয়নের সাথে সাথে তাদেরকে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। সততা, নিষ্ঠা ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আদর্শ মানুষ তৈরি করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, কিছু শিক্ষক ক্লাসরুমে না পড়িয়ে বাড়িতে টাকার বিনিময়ে পড়ান। কেউ কেউ কোচিং বাণিজ্যে জড়িত। এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। এদের চিহ্নিত করতে হবে। এ ধরনের অসৎ লোকদের শিক্ষকতা পেশায় বরদাশত করা হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যৌথ উদ্যোগ শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং আমাদের শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। ব্রিটিশ কাউন্সিল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে সহায়তা করে আসছে। এটা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক বারবারা উইকহ্যাম (ইধৎনধৎধ ডরপশযধস) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর শামসুল হুদা বক্তব্য রাখেন। ’কানেক্টিং ক্লাসরুমস’ বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা পেশ করেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের কর্মকর্তা মাসুদা খাতুন ।
পরে শিক্ষামন্ত্রী এ প্রোগ্রামে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মাঝে পদক বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি)-এর যৌথ অর্থায়নে গত ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে ‘কানেক্টিং ক্লাসরুমস’ প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকগণকে পেশাগত উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় যাতে তাঁরা পাঠদান কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় মৌলিক দক্ষতাগুলো অর্জন করতে পারেন। ২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ২৫০ টি স্কুলের ৩ হাজার ৮০০এর বেশি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষককে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। নতুন পর্বে আরো ৩ হাজার প্রধান শিক্ষক এবং ৩ হাজার সহকারী শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
#
আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :১১৮২
স্পিকারের দেশে প্রত্যাবর্তন
ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :
স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ২৪-২৮ এপ্রিল ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত অষ্ট্রেলিয়ার ডারউইনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) এর বার্ষিক নির্বাহী কমিটির সভায় অংশগ্রহণ শেষে গতকাল দেশে ফিরেছেন। অষ্ট্রেলিয়ায় অবস্থানকালে তিনি সিপিএ’র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
স্পিকারকে অভ্যর্থনা জানাতে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
#
হুদা/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৮০
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ২০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক স্টাফসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চতর গবেষণা এবং চিকিৎসাসেবায় অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপুল অবদান রাখায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম দেশের গ-ি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কেড়েছে। গবেষণা, নতুন রোগের কারণ উদঘাটনসহ চিকিৎসায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। আমাদের চিকিৎসকদেরও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সর্বশেষ জ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একমাত্র চিকিৎসা বিজ্ঞানের উচ্চতর প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। সে প্রত্যাশা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
চিকিৎসা মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম। সরকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় ন্যূনতম খরচে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সহযোগী স্টাফ নিয়োগ দিয়েছে। বৃদ্ধি করেছে চিকিৎসা সরঞ্জামাদিও। বিদ্যমান সুবিধাদির পরিপূর্ণ প্রয়োগ ঘটিয়ে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সকলকে দেশপ্রেমের মহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে মানবতার কল্যাণে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। উচ্চতর গবেষণাসহ জনগণকে চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হোক-জাতি তা প্রত্যাশা করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন পূরণে চিকিৎসকদের আরো আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিসহ ২০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস সফল হোক-এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :১১৮১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠবার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
‘‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়-এর ২০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আমি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স¦াধীন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে দেশের স¦াস্থ্যখাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি দেশের ভেঙেপড়া চিকিৎসাসেবাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের সরকারে জাতির পিতা দেশের হাসপাতালসমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ডাক্তার, নার্স নিয়োগসহ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে স¦াস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেন।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই দেশের স¦াস্থ্য খাতের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে। আমরা ১৯৯৮ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করি। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশে মেডিক্যাল উচ্চ শিক্ষার বিকাশ, স¦াস্থ্যখাতে গবেষণার প্রসার এবং বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আজ দেশের চিকিৎসাজগতে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত হয়েছে। আমাদের সরকার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার বেইজড সুপার স্পেসালাইজড হাসপাতাল’ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরও দু’টি নতুন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আমরা একটি গণমুখী স¦াস্থ্য নীতি প্রণয়ন করেছি। এ নীতির বাস্তবায়ন করছি। হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা, সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স¦াস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স¦াস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা সারাদেশে নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল এবং হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকস নিয়োগ দিয়েছি। প্রত্যেক জেলায় একটি করে মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।
এসকল পদক্ষেপের ফলে স¦াস্থ্যখাতে আমাদের সাফল্যের স¦ীকৃতি আজ বিশ্বব্যাপী। স¦াস্থ্যসেবায় অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন নিরন্তর গবেষণা। আমি আশা করি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে আরও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে অবদান রাখবে।
আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়-এর ২০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরুল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭০১ ঘণ্টা