তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪২৩
নেপাল এদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুপ্রতিম দেশ
---আসাদুজ্জামান নূর
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, নেপাল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধুপ্রতিম দেশ। যেসব দেশ বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পর অতি দ্রুত স্বীকৃতি জানিয়েছিল, নেপাল তাদের মধ্যে অন্যতম। তারপর থেকেই নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ক্রমেই ঘনিষ্ঠতর হয়েছে। “নেপাল আর্ট ফেয়ার বাংলাদেশ ২০১৮” আয়োজন দুই দেশের সম্পর্কে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।
মন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে নেপাল একাডেমি অভ্ ফাইন আর্টস এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে “নেপাল আর্ট ফেয়ার বাংলাদেশ ২০১৮” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ নেপালী দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অভ্ মিশন ধন বাহাদুর অলি ও নেপাল একাডেমি অভ্ ফাইন আর্টস এর চ্যান্সেলর রাগিণী উপাধ্যায় (জধমরহর টঢ়ধফযধুধু)। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ফাইন আর্টস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক আশরাফুল আলম পাপলু।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, নেপাল শিল্প-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ একটি দেশ। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নেপালের শিল্প-সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় দিকের সঙ্গে আমরা যেমন জানতে পারব, তেমনি দুই দেশের শিল্পীরা পারস্পরিক মতবিনিময়ের সুযোগ পাবে যা প্রকারান্তরে দুই দেশের শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, বৈচিত্র্য আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। আমাদের সবার এ বৈচিত্র্যকে সাদরে গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
#
ফয়সল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/২১১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪২২
আইসিটি শিক্ষা মানসম্পন্ন করা হবে
---শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি শিক্ষা মানসম্পন্ন করে তোলা হবে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এজন্য এক হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) অডিটোরিয়ামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘আইসিটি’র মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন’ শীর্ষক প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের ইনসেপশন ওর্য়াকশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সকল শিক্ষার্থীকে মানসম্পন্ন আইসিটি শিক্ষা প্রদান করা। এজন্য প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখের বেশি শিক্ষককে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তারা শিক্ষার্থীদের ভালভাবে এ বিষয়ে পাঠদান করবেন এবং নতুন প্রজন্মকে দক্ষ করে তুলবেন। তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় ৩১ হাজার ৩৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৬ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং ২ হাজার ১২০টি স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২৩ হাজার ৫০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে। জেএসসি ও এসএসসিসহ সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে। অনলাইনে ভর্তিসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মোঃ মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মহীউদ্দিন খান, নায়েমের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক এবং এটুআই প্রকল্পের পলিসি স্পেসালিস্ট আফজাল হোসেন সারওয়ার বক্তব্য রাখেন। প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা পেশ করেন।
#
আফরাজ/মাহমুদ/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/২০১৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪২১
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ স্কুল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
আজ ঢাকায় আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদফতর মিলনায়তনে ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মূলধারায় সম্পৃক্তি : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের নানা উদ্যোগ, সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আগত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা মন্ত্রীকে তাদের পাশে পেয়ে নিজেদের নানা সমস্যার কথা ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে পুনর্বাসনের জন্য তাদের নিয়ে একটি রিসোর্স স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং তাদের সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী কোটায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। কোটা ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধীদের নিয়োগের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন কোটা বাতিল হলেও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে। এছাড়া নারী প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতি বিভাগে একটি করে প্রতিষ্ঠান করা হবে যাতে তারা এর সুফল পেতে পারে।
আইটি বিষয়ে প্রতিবন্ধীদের আরো মনোযোগ দেয়ার কথা বলে জনাব মেনন আরো বলেন, আইটি ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা দেখাতে পারলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সুদবিহীন ঋণ দেয়া হবে।
সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মুহাম্মদ নুরুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক প্রতিষ্ঠান আব্দুল্লাহ আল মামুন (যুগ্মসচিব), প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনসুর আহমেদ চোধুরী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
#
মাইদুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৯৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪২০
মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা ছিল অনবদ্য
--- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালি জাতির জন্য মহাসংগ্রাম যাকে কেবল মহাকাব্যের সঙ্গেই তুলনা করা যেতে পারে। একে নানা আঙ্গিক ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা ছিল বিচিত্র ও অনবদ্য। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা নিয়ে বই, গল্প ও নাটকের সংখ্যা নগণ্য। এ বিষয়ে কাজের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত অধ্যাপক সেলিমা চৌধুরী রচিত ‘ডড়সবহ রহ ইধহমষধফবংয খরনবৎধঃরড়হ ডধৎ জবফরংপড়াবৎবফ রহ গধফড়হহধ ঝবৎরবং’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারীরা প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহণের পাশাপাশি নানা রূপ ও ভূমিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছিল। তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন আশ্রয় দিয়েছিল, তেমন নিজেদের ঘরের খাবার দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মুখের অন্ন জুগিয়েছিল। একইভাবে অস্ত্রশস্ত্র অতি গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল। মোদ্দাকথা, মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা ছিল অসামান্য।
বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী মোস্তফা জামান। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গ্রন্থটির লেখক অধ্যাপক সেলিমা চৌধুরী।
#
ফয়সল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১৯
সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনি এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৭ ও ১৫ মে দশটি নির্বাচনি এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
উক্ত তারিখে নি¤œবর্ণিত এলাকায় সকল সরকারি, আধাসরকারি, স¦ায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় যদি উক্ত তারিখে কোনো পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় তাহলে পরীক্ষার কেন্দ্রসমূহ ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক কর্মচারীগণ সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।
ছুটি ঘোষিত নির্বাচনি এলাকাগুলো হচ্ছে : ৭ মে নরসিংদী সদর উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়ন; ১৫ মে যথাক্রমে খুলনা সিটি কর্পোরেশন; বগুড়া জেলার তালোড়া পৌরসভা; মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়ন; গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলপুর ইউনিয়ন; যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার হরিহর নগর ইউনিয়ন; ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়ন; ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার মুজিব নগর ইউনিয়ন; চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার কালাপানিয়া ইউনিয়ন।
#
দৌলতুজ্জামান/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১৮
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে
--- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। ইস্টার্ন রিফাইনারি সক্ষমতা বৃদ্ধি, এলএনজি আমদানি, এলপিজি’র ব্যবহার বৃদ্ধি, এসপিএম ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল পরিবহণ জ্বালানি ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন যেভাবে হচ্ছে তার জন্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেট্রোলিয়াম পণ্যের যোগান যথাসময়ে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ৫০ বৎসর পরও ইস্টার্ন রিফাইনারি ৯৫ শতাংশ দক্ষতায় চলছে, যা ইতিবাচক। ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। এটা সম্পূর্ণ হলে প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক ৪৫ লাখ মেট্রিক টন তেল পরিশোধন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড ১৯৬৮ সালের ৭ মে বাণিজ্যিকভাবে তেল পরিশোধন শুরু করে।
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান আবু হেনা
মোঃ রহমাতুল মুমিন ও ইস্টার্ন রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আখতারুল হক বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১৭
ওমান ট্রেডিং এর সাথে এলএনজি আমদানি নিয়ে পেট্রোবাংলার চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
পেট্রোবাংলার সম্মেলন কক্ষে ৬ মে পেট্রোবাংলার সাথে ঙসধহ ঞৎধফরহম ওহঃবৎহধঃরড়হধষ (ঙঞও)-এর মধ্যে জ্বালানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ করার জন্য একাধিক উৎস থেকে এলএনজি ক্রয়ের লক্ষ্যে জি টু জি ভিত্তিতে ওমান হতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এলএনজি ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি (খঘএ ঝধষবং ধহফ চঁৎপযধংব অমৎববসবহঃ (ঝচঅ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বর্তমান চাহিদা ৩ হাজার ৬ শত এমএমসিএফডি। ২০১৮ সালে দৈনিক গ্যাসের উৎপাদনের পরিমাণ ২ হাজার ৭ শত ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট-এ উন্নীত করা হলেও ২০৪১ সাল নাগাদ সকল সেক্টরের সম্মিলিত গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৮ হাজার এমএমসিএফডি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত গ্যাসের তুলনায় এ চাহিদা অনেক বেশি হওয়ায় এ ঘাটতি পূরণে খরয়ঁবভরবফ ঘধঃঁৎধষ এধং (খঘএ) আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে এলএনজি টার্মিনালসমূহে প্রতিবছর নূন্যতম ১ দশমিক ৮ হতে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন হারে এলএনজি সরবরাহের জন্য কাতারের জধংএধং-এর সাথে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
পেট্রোবাংলা ও ঙসধহ ঞৎধফরহম ওহঃবৎহধঃরড়হধষ (ঙঞও) -এর মধ্যেকার এবারের চুক্তির মেয়াদ ১০ বছর। চুক্তির ধরন উবষরাবৎু ঊী ঝযরঢ় (উঊঝ) এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ ইধংব অহহঁধষ ঈড়হঃৎধপঃু ছঁধহঃরঃু (ইঅঈছ) হবে ঊঊইখ-এর টার্মিনাল চালু হওয়া সাপেক্ষে বছরে ০.৫ মিলিয়ন টন হারে এবং ঝঁসসরঃ খঘএ ঞবৎসরহধষ ঈড়. (চাঃ.) খরসরঃবফ-এর টার্মিনাল চালু হওয়া সাপেক্ষে আরো বছরে ০.৫ মিলিয়ন টন হারে অর্থাৎ সর্বমোট বছরে ১ মিলিয়ন টন।
চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করেন পেট্রোবাংলার সচিব সৈয়দ আশফাকুজ্জামান এবং ঙসধহ ঞৎধফরহম ওহঃবৎহধঃরড়হধষ (ঙঞও) -এর পক্ষে গধযরৎ অষ তধফলধষর।
#
আসলাম/অনসূয়া/সুবর্ণা/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৫২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১৬
বাণিজ্য বৈষম্য দূরীকরণে সংসদ সদস্যদের বিশেষ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ
সিংগাপুর, ৭ মে ২০১৮ :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ সিংগাপুরের এক হোটেলে জঝওঝ-ডঞঙ চধৎষরধসবহঃধৎরধহ ডড়ৎশংযড়ঢ় ২০১৮ এ অংশগ্রহণ করেন। সিংগাপুর পার্লামেন্টের স্পিকার ঞধহ ঈযঁধহ-ঔরহ এই ওয়ার্কশপের উদ্বোধন করেন।
ওয়ার্কশপে স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীসহ অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা বাণিজ্য বৈষম্য দূরীকরণে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্যদের বিশেষ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রতিটি দেশই কোন না কোনভাবে একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। কাজেই নিজেদের মধ্যে মতামত, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য বৈষম্য ও বাধা দূরিকরণে আরো জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে অভিমত ব্যক্তের পাশাপাশি ডড়ৎষফ ঞৎধফব ঙৎমধহরংধঃরড়হ সহ অন্যান্য সংস্থাকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
২২টি দেশের প্রায় ৫০ জনের ও অধিক সংসদ সদস্য ও বিশেষজ্ঞবৃন্দ ৩ দিনব্যাপী এই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করছেন। ডড়ৎষফ ঞৎধফব ঙৎমধহরংধঃরড়হ, ঞবসধংবশ ঋড়ঁহফধঃরড়হ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ও ঝ. জধলধৎধঃহধস ঝপযড়ড়ষ ড়ভ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঝঃঁফরবং এর যৌথ উদ্যোগে ওয়ার্কশপটি নবমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সিংগাপুরের স্পিকার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় বাংলাদেশের স্পিকার সিংগাপুরের স্পিকারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
স্পিকার ছাড়াও সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খানসহ জাতীয় সংসদের একটি প্রতিনিধিদল এই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করছে।
#
তারিক/অনসূয়া/জসীম/শামীম/২০১৮/১৩১৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১৫
পাবনায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন
পাবনা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ) :
পাবনায় ৬ মে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়। উদ্বোধনশেষে জেলা জজ আদালত চত্বরে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের আয়োজনে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে আইন মন্ত্রী বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতি ৬ মাসে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং ২০ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। ১ বছরের মধ্যে বিচারের জট কমে যাবে। প্রধানমন্ত্রী মানবতাবিরোধীদের বিচার করে প্রমান করেছেন দেশে বিচার ব্যবস্থা আছে। বিচারকদের মান উন্নয়নে বিদেশে পাঠিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। পাবনার জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, মকবুল হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম স্বপ্না এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
এর আগে ঢাকা থেকে রেলযোগে দুই মন্ত্রী চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনে নামলে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া-চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-পাবনার আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখোর সভাপতিত্বে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এবং সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১২৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১৪
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির অহংকার। বিশ্বসাহিত্যের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে তিনি বিস্তৃত করেছেন বাংলা সাহিত্যের পরিসর। কালজয়ী এ কবি জীবন ও জগৎকে দেখেছেন অত্যন্ত গভীরভাবে, যা তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ ও ভ্রমণকাহিনী, সংগীত ও চিত্রকলায় সহ¯্রধারায় উৎসারিত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। সাহিত্য, সংগীত ও শিল্প মাধ্যমের প্রতিটি শাখায় তাঁর অনন্য ও অনায়াস বিচরণ সত্যিই বিস্ময়কর। বিশ্বকবির সমস্ত সৃষ্টির মূলে নিহিত মানবতাবাদ তাঁকে বিশিষ্টতা দান করেছে। শান্তি ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতির চিরন্তন সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের সাধক। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যের বৈশ্বিক যাত্রাকে বেগবান করেছেন। বিশ্ব দরবারে বাংলা সাহিত্যকে উচ্চ মর্যাদায় আসীন করেছেন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ২৪ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রবীঠাকুরের লেখনী আমাদের উজ্জীবিত করেছে। তাঁর জাতীয়তাবোধ বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস। কবির প্রতি অন্তহীন ভালোবাসায় ১৯৬১ সালে পাকিস্তানি শাসকচক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমরা রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন করেছি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর কবিতা ও গান মুক্তিকামী বাঙালিকে উদ্দীপ্ত করেছে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। জীবনের প্রতিটি সমস্যাসংকট, আনন্দ-বেদনা এবং আশা-নিরাশার সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রসৃষ্টি আমাদের চেতনাকে আন্দোলিত করে, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। আমাদের চিন্তা, বোধ ও অনুভূতিতে তিনি আমাদের হৃদয়ের কাছের মানুষ।
চলমান পাতা/২
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন জীবনমুখী শিক্ষাদর্শনের পথপ্রদর্শক। তাঁর শিক্ষাভাবনা আমাদের বিজ্ঞানভিত্তিক, আধুনিক শিক্ষায় অগ্রগামী হতে অনুপ্রাণিত করে। তিনি বাঙালির ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের উজ্জ্বল বাতিঘর। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের তিনি একান্ত আপনজন। শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে অবস্থানকালে এসব অঞ্চলের মাটি ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। শিলাইদহ ও পতিসর অঞ্চলেই তিনি রচনা করেছিলেন ‘ছিন্নপত্র’র সিংহভাগ এবং অসামান্য কিছু গান। গ্রামীণ দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য তাঁর পল্লিউন্নয়ন প্রচেষ্টা আজও আমাদের কাছে অনুসরণীয় হয়ে আছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কালোত্তীর্ণ এ কবির সৃষ্টিকে প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কবিগুরুর অমর সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি জাতির পিতা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেন, যা দেশের মানুষের মনে সঞ্চারিত করেছে দেশপ্রেমের নতুন প্রেরণা। অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে, জীবন-সংগ্রামের প্রতিটি ক্রান্তিকালে আমাদের পাশে থাকেন রবীন্দ্রনাথ।
আমি বিশ্বাস করি, আমাদের মননে বিশ্বকবির ব্যঞ্জনাময় উপস্থিতি শোষণ, বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতা, সহিংসতা ও অমানবিকতা প্রতিরোধের মাধ্যমে বাঙালির অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে।
বিশ্বকবির ১৫৭তম জন্মবার্ষিকীতে সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিময় পৃথিবী গড়াই হোক আমাদের প্রত্যয়।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১৩২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১৩
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের একজন দিকপাল, উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর কালজয়ী লেখায় একদিকে ঋদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, অন্যদিকে তা বিশ্বসাহিত্যের অপরিহার্য উপাদানে পরিণত হয়েছে আপন বৈভব, আঙ্গিক, বহুমাত্রিকতা আর সর্বজনীনতায়। তিনি বাঙালির চিন্তা-চেতনা ও মননের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছেন। বাঙালির সুখ-দুঃখ, আবেগ-ভালোবাসা, আশা-আকাক্সক্ষাসহ এমন কোনো অনুভূতি নেই যা রবীন্দ্রনাথ স্পর্শ করেননি। তাঁর রচিত - ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ আমাদের জাতীয় সংগীত। এই গান আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সম্প্রীতির স্মারক। যে-কোনো দুর্যোগ-সংকটে ও আনন্দ-বেদনায় রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যসম্ভার আমাদের শক্তি ও সাহস জোগায়। তাঁর সাহিত্যপাঠে আমরা আনন্দিত হই-আন্দোলিত হই।
বিরল প্রতিভার অধিকারী এই অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কেবল আমাদের সৃজন-মনীষার প্রতীকে পরিণত হননি, তাঁর সৃষ্টিকর্ম বিশ্বের সব মানুষের কাছে আদৃত হয়েছে। তাঁর প্রজ্ঞা, দর্শন, সৃষ্টিশীলতা, উদার মনোভাব ও মানবতাবোধ বিশ্ববাসীর কাছে সুপরিচিত। তাঁর কাব্যপ্রতিভার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯১৩ সালে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম নোবেল সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর এই অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্বে বাঙালি জাতিসত্তার নতুনভাবে উন্মেষ ঘটে। তিনি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অনন্য উচ্চতায়।
কবিগুরু ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক, কবি, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ছড়াকার, দার্শনিক-চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ, সংগীতজ্ঞ, বিজ্ঞানী, কৃষিবিদ, সমবায়ী, আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্রপ্রেমী, মঞ্চনকশাকার, চিত্রশিল্পী, পরিবেশবিদ এবং সমাজসংস্কারক। আমি বিশ্বাস করি, রবীন্দ্রনাথের এই দ্যুতিময় উপস্থিতি আমাদের ব্যক্তিক, জাতীয়, সাংস্কৃতিক ও রাষ্ট্রীয় অগ্রযাত্রাকে গতিশীল রাখবে।
জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের সকল আয়োজন সফল ও সার্থক হোক- এ প্রত্যাশা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১১৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১২
বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ই মে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৮ই মে ২০১৮ ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনান্ট এর আত্মার শান্তি কামনা করছি। দিবসটি উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বিশ্বব্যাপী দুর্যোগকবলিত অসহায়, দুঃস্থ এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ১৯৭১ সাল থেকেই বাংলাদেশে বিপন্ন মানুষের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করছে। এই সোসাইটি বাংলাদেশে জরুরি ত্রাণ, দুর্যোগে সাড়াদান প্রস্তুতি, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা, রক্তদান কর্মসূচি, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা অর্জন, জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন, সহশিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাংলাদেশে এর কার্যক্রমকে আরো সম্প্রসারিত করবে বলে আমি মনে করি। মানুষকে আরো বেশি সেবা দিয়ে মানবতাকে সমুন্নত রাখবে। মানবসেবার পাশাপাশি আয়বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনার মাধ্যমে দেশের দারিদ্রপীড়িত মানুষদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে।
আমি ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০১৮’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/শামীম/২০১৮/১১৩০ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ১৪১১
বশ্বি রডে ক্রস ও রডে ক্রসিন্টে দবিসে রাষ্ট্রপতরি বাণী
ঢাকা, ২৪ বশৈাখ (৭ ম)ে :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামদি বশ্বি রডে ক্রস ও রডে ক্রসিন্টে দবিস উপলক্ষে নম্নিোক্ত বাণী প্রদান করছেনে :
"বশ্বিরে অন্যান্য দশেরে ন্যায় বাংলাদশেওে বশ্বি রডে ক্রস ও রডে ক্রসিন্টে দবিস উদযাপতি হচ্ছে জনেে আমি আনন্দতি। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদশে রডে ক্রসিন্টে সোসাইটরি সকল সদস্য, স্বচ্ছোসবেক, র্কমর্কতা ও র্কমচারীসহ এ প্রতষ্ঠিানরে সাথে সংশ্লষ্টি সকলকে জানাই আন্তরকি শুভচ্ছো ও অভনিন্দন।
আর্ন্তজাতকি রডে ক্রস ও রডে ক্রসিন্টে আন্দোলন বশ্বিব্যাপী বপিন্ন মানুষরে পাশে থকেে মানবকল্যাণে গুরুত্বর্পূণ অবদান রখেে চলছে।ে বাংলাদশেওে সরকাররে সহযোগী সংগঠন হসিবেে এ প্রতষ্ঠিান বন্যা, সাইক্লোন, খরা, শত্যৈপ্রবাহ, মহামারি ইত্যাদি প্রাকৃতকি র্দুযোগ ছাড়াও র্দুঘটনা, অগ্নকিাণ্ড এবং মানবসৃষ্ট র্দুযোগে দুঃস্থ ও বপিন্ন মানুষরে সবোয় নয়িোজতি থাক।ে সম্প্রতি ময়িান