Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ জুন ২০১৬

তথ্যবিবরণী ১১ জুন ২০১৬

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ১৯৩৬
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে এইডসমুক্ত করার প্রত্যয় জাতিসংঘের
নিউইয়র্ক, ১১ জুন:
১০ জুন শেষ হলো নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের সভা।
৮ থেকে ১০ জুনে অনুষ্ঠিত এই সভার সমাপ্তি টানা হয় ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০-এর আওতায় এইচআইভি/এইডসকে ২০৩০ সালের মধ্যেই জনস্বাস্থ্য সমস্যার তালিকা-বিমুক্ত করা হবে’ এই প্রত্যয় নিয়ে।
জাতিসংঘ  সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট  মোগেনলাইকেটফটের আহ্বানে এই উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কী মুন উদ্বোধন অধিবেশনে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, এইডস রোগের চিকিৎসা ও বিস্তার রোধে বিশ্বব্যাপী গৃহীত কার্যক্রম এবং অর্জিত সাফল্য উদ্ভাবন এবং প্রেরণার একটি দারুন উদাহরণ। আমাদের এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
উদ্বোধন অধিবেশনে ইউএনএইডস-এর নির্বাহী পরিচালক মাইকেল সিদিবী ছাড়াও নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি এনদাবা ম্যান্ডেলা তার পরিবারের এইচআইভি অভিজ্ঞতা নিয়ে আবেগঘন বক্তব্য দেন। মি. এনদাবা তাঁর দাদার প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের ঐক্যের মাধ্যমে এইডস সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের এই সভায় অংশ নেন প্রায় ৬০০ প্রতিনিধি। এর মধ্যে ছিলেন ১০ জন সরকার প্রধান; ৬০-এর অধিক মন্ত্রী ও সরকারি প্রতিনিধি; এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা, এইচআইভি, নাগরিক অধিকার ও বেসরকারি সংস্থার  প্রতিনিধি ও বিজ্ঞানী এবং গবেষক। সভায় ‘দ্রুত গতিতে এইডস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে  বিশ্বকে ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস মহামারী মুক্ত করার বিষয়ে সর্বসম্মত রাজনৈতিক ঘোষণা অনুমোদন করা হয়। এই যৌথ রাজনৈতিক ঘোষণার তিনটি রূপকল্প হলো : ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নতুন এইচআইভি সংক্রমণ ৫ লাখের নিচে নামিয়ে আনা; এইডসজনিত মৃত্যু ৫ লাখের নিচে নামিয়ে আনা; এবং এইচআইভি সম্পর্কিত কুসংস্কার এবং বৈষম্য দূর করা। ঘোষণায় রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য সর্বসম্মতভাবে নানামুখী কর্মসূচি এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
সভার সাধারণ অধিবেশন ছাড়াও পাঁচটি অফিসিয়াল প্যানেল এবং ৩০টি পার্শ্বসভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের  স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ  নাসিমের প্রতিনিধিত্ব করেন স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি তিন সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে মূল অধিবেশনে বক্তব্য দেন ৯ জুন। তিনি এইচআইভি/এইডস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অঙ্গীকার এবং সাফল্য তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রমণের হার শতকরা ০ দশমিক ১ ভাগেরও  নিচে। তবে শহরাঞ্চলের কোন  কোন  জায়গায় সুঁচের মাধ্যমে নেশাকারী কিছু ব্যক্তির  মধ্যে বেশি মাত্রায় এইচআইভি সংক্রমণ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ থেকে এবং প্রবাসী জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকিও আছে বাংলাদেশ। তবে দুই দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ তথ্য-উপাত্তভিত্তিক পরিকল্পনা এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিরোধ, সেবা, চিকিৎসা এবং সহায়তামূলক সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে রোগটির প্রাদুর্ভাব বাড়তে দেয়নি।
তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী  নেতৃত্ব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা এবং দাতা সংস্থাসহ এনজিওদের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন।
পরিশেষে তিনি বলেন, এই উচ্চ পর্যায়ের সভার রাজনৈতিক ঘোষণার প্রতি তাঁর সরকারসহ মত পোষণ করলেও কতিপয় বিষয়ে বাংলাদেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং আইনি কাঠামোর নিরিখেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন হবে। তাই বাংলাদেশ সেই বিবেচনাতেই এইডস নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত  করেন, বাংলাদেশ অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এইডস বিষয়ক এই বিশ্ব রাজনৈতিক ঘোষণার সম্মিলিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
#
পরীক্ষিৎ/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৯৩৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৯৩৫

দেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে                                                                                            
                                                         -- মৎস্য প্রতিমন্ত্রী

খুলনা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন): 

    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, মানসম্মত মাছ উৎপাদন করতে হবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ব্যাপকভাবে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ চাষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিপস্নব ঘটছে।
    
    প্রতিমন্ত্রী আজ খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সমপ্রসারণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় লিফদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। খুলনা জেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
    
    প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। তাঁর স্বপ্ন ছিল এ দেশকে  ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করা। অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন করা। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাসত্মবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। মৎস্য সেক্টরের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, প্রতিটি জলাশয়কে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। পুরম্নষদের পাশাপাশি এখন মহিলারাও মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছে। তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষের প্রকল্প গ্রহণ  করেছে। এতে মাছ চাষের পাশাপাশি কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষও লাভজনক করা সম্ভব।
    
    জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হরেন্দ্র নাথ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ফুলতলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এটি এম তৌফিক মাহমুদ, লিফ জীবন কুমার রায়, তন্বি আক্তার ও সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস এবং উপপ্রকল্প পরিচালক লুকাস সরকার বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সরোজ কুমার মিস্ত্রী। 
    
    প্রতিমন্ত্রী ৬টি উপজেলার ৩৮জন লিফদের মাঝে ৩৮টি বাইসাইকেল বিতরণ করেন।
    
    এর আগে তিনি ডুমুরিয়া মহিলা কলেজে নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
#

সুলতান/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮৪০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৯৩৪


আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীর বাড়িতে গেলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ঝিনাইদহ, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন):

    সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ঝিনাইদহের পরাতিপাড়া গ্রামের পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীর বাড়িতে গিয়ে আজ তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার। এসময় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী  হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টানত্মমূলক শাসিত্ম প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

    পরে আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীর স্মরণে আয়োজিত এক শোক সমাবেশে ড. বীরেন শিকদার বলেন, সন্ত্রাসীরা কৌশল পাল্টে গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। গুপ্তহত্যাকারীদের আইনের মাধ্যমে কঠোরভাবে দমন করা হবে। তিনি বলেন, গুপ্তহত্যা করে সরকার পরিবর্তন করা যাবে না। এধরণের হত্যাকা- বন্ধে জনগণকে সজাগ ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    সংসদ সদস্য আনোয়ারম্নল আজীম ও স্বপন কুমার ভট্টাচার্য্য এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের স'ানীয় নেতৃবৃন্দ এসময় উপসি'ত ছিলেন।

#

শফিকুল/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৭২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৯৩৩

ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ
               ---শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন):

    শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, শিশুশ্রম নিরসনে সরকার আন্তরিক। বিশেষ করে ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
    প্রতিমন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত শিশুশ্রম নিরসনে আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।  
    শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত নিয়োজিত বিপুলসংখ্যক শিশুকে শ্রম থেকে বের করে আনা কঠিন। শিশুশ্রম নিরসনে সম্মিলিত উদ্যোগ এবং মানসিকতার পরিবর্তন এবং জনসচেতনতা জরুরি। বিগত ১০ বছরে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় ১৭ লাখ শিশুকে শিশুশ্রম থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। এবছর শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায় শুরু করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
    তিনি বলেন বর্তমানে দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয়, জাতি হিসেবে শিশুশ্রম নিরসনেও আমরা সফল হবো। ২০১৫-পরবর্তী জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে (এসডিজি) ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে সব ধরনের শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিশুশ্রম নিরসনে যে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, এনজিওসমূহ কাজ করে তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সম্মিলিত উদ্যোগ এবং যথাযথ বাজেট বরাদ্দ করা হলে ২০২৫ সালের আগেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।     
    আয়োজকদের পক্ষ থেকে শিশুদের জন্য গৃহকর্ম এবং ভাঙ্গাড়িকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ঘোষণার দাবি করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গৃহকর্মকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সরকার গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। গৃহকর্মীদের কাজের কর্মঘন্টা, মজুরিসহ বিভিন্ন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন করা হবে ।
    প্রতিবছরের ন্যায় ১২জুন ‘উৎপাদন থেকে পণ্যভোগ, শিশুশ্রম বন্ধ হোক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালিত হচেছ। কর্মশালায় জানানো হয়, দেশে বর্তমানে ১২ দশমিক ৮ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে।  
    কর্মশালায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সভাপতিত্বে কমিউনিটি পার্টিসিপেসন এন্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী মোসলেমা বারী এবং ভাফুস্ডের প্রধান নির্বাহী ডা. আব্দল কাইয়ূম লস্করসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি বক্তৃতা করেন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কোঅডিনেটর আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠান শেষে এ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শ্রমজীবী শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
#
আকতারুল/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৭১০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৯৩২
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার

ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন):

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে গতকাল ঢাকা ফিরেছেন।  তিনি গত
২ জুন চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান।

স্পিকারকে স¦াগত জানাতে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম, বেগম মাহজাবিন খালেদ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

#

হুদা/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৬৪০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৯৩০  

ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির আবেদন ২০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত

ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন):

    ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক ইনস্টিটিউট, গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট, ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সার্ভে ইনস্টিটিউট (কুমিল্লা), ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (বগুড়া) এবং সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসমূহে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ছাত্রছাত্রী ভর্তির অনলাইনে আবেদন গ্রহণের সময়সীমা রমজানে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকাসহ সার্বিক বিবেচনায় ২০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) অশোক কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ভর্তি কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান (যুগ্মসচিব), আ ন হ সাল্হা উদ্দিন, ড. শেখ আবু রেজা, কারগিরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (কারিকুলাম) সহ অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

    পরিবর্তিত সময়সীমা অনুযায়ী ভর্তির ফল প্রকাশ করা হবে ২৬ জুন। মূল মেধা তালিকা হতে ভর্তির সময়সীমা ২৭ জুন হতে ৩০ জুন এবং অপেক্ষমাণ তালিকা হতে ভর্তির সময়সীমা ২ জুলাই হতে ২৫ জুলাই। ১৬ আগস্ট থেকে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস শুরু হবে।

    প্রতিষ্ঠান, টেকনোলজি এবং শিফ্টভিত্তিক আসনসংখ্যাসহ বিস্তারিত বিবরণ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে িি.িঃবপযবফঁ.মড়া.নফ পাওয়া যাচ্ছে।

#
ঢালী/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৬৩০ ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৯৩১

যুগ্মসচিব রুহী রহমানের স্বামীর মৃত্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন):
                          
    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রুহী রহমানের স্বামী  ডা.  আমিনুর রশিদ মিনুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

    শিক্ষামন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান ।

    আজ রাজধানীর গ্রিন রোডে হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজায় শরিক হন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্ত¦না দেন ।

    উল্লেখ্য, মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ হেলথ সায়েন্সের সিনিয়র সার্জারি কনসালটেন্ট এবং হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালের অন্যতম অংশীদার ডা. আমিনুর রশিদ মিনু আজ ভোরে  রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর ।

#
সাইফুল্লাহ/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৬৪২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :  ১৯২৯
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন): 

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
    ‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১২ জুন ২০১৬ তারিখে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উদ্‌যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আইএলও দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘ঊহফ ঈযরষফ খধনড়ঁৎ রহ ঝঁঢ়ঢ়ষু ঈযধরহং: ওঃ'ং ঊাবৎুড়হব'ং ইঁংরহবংং’ যা অত্যনত্ম সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
    আমাদের সরকার শিশুদের অধিকার রড়্গায় বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে আমরা জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও নিরসন বিষয়ক আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করেছি। শিশুশ্রম নিরসনের লড়্গ্যে জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নীতি বাসত্মবায়নের লড়্গ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং শিশুশ্রম বিষয়ক কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য জাতীয়, বিভাগীয়,  জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলো কাজ করে যাচ্ছে। শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩৮ ধরণের কাজকে চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। 
    গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের সুরড়্গার জন্য দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গৃহকর্মী সুরড়্গা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। আশা করি, এ নীতির বাসত্মবায়ন গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের অধিকার ও সুরড়্গা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের প্রত্যাহার করে তাদেরকে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিড়্গা প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কর্মসূচি হতদরিদ্র মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া শিশুদের উন্নয়ন ও কল্যাণে ‘সবার জন্য শিড়্গা’র আওতায় সকল শিড়্গার্থীকে বিনামূল্যে শিড়্গা উপকরণ বিতরণসহ উপবৃত্তি প্রদান এবং দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শিশুশ্রম সমীড়্গা ২০০৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ছিল ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন যা আমাদের সরকারের শিশুশ্রম সমীড়্গা-২০১৩ অনুযায়ী হ্রাস পেয়ে ১ দশমিক ৭ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সরকারের সময়োপযোগী পদড়্গেপের ফলে শিশুশ্রম হ্রাসে এ সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
    আমি আশা করি, সরকারের পাশাপাশি শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও শিশুদের কল্যাণে বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আনত্মর্জাতিক সংস'া, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশিস্নষ্ট সকলে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
    আমি এ দিবস উপলড়্গে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 
    জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
    বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৭০১ ঘণ্টা 

Todays handout (4).doc