Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ এপ্রিল ২০১৫

তথ্যবিবরণী 18/04/2015

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১১১৭

 নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সকল ক্ষেত্রে
নারী-পুরুষের সমানাধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে
                              -- স্পিকার

বার্লিন (জার্মানি), ১৮ এপ্রিল :

জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল জার্মানির বার্লিনে European Parliamentary Forum on Population and Development (EPF)  এবং German All Party Parliamentarians’ Group on Population and Development আয়োজিত The International G7/20 Parliamentarians’ Conference on Empowering Women and Girls to lead Self-Determined, Healthy and Productive Lives শীর্ষক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে বক্তৃতাকালে তিনি একথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নকে আরো এগিয়ে নিতে এমন নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে যার সাহায্যে আগামী দিনে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সরকারের নীতিগত সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক ও পারিবারিক পরিম-লেও নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসেই জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বের রোলমডেল। বাংলাদেশ MDG লক্ষ্য অর্জনে এবং MDG পরবর্তী Sustainable Development Goal এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে অনেকদূর এগিয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে আর্থসামাজিক সকল ক্ষেত্রে আজ নারী-পুরুষের ব্যবধান কমে আসছে। সরকার গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলেই এটা সম্ভব হচ্ছে।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে প্রজনন অধিকার ও প্রজনন স্বাস্থ্যরক্ষা, সামাজিক ও স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুহার হ্রাস এবং বাল্যবিবাহ রোধে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সরকার নারীদের জন্য সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ সৃষ্টি, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান, আবাসিক সুযোগ সুবিধাসহ ডেকেয়ার সেন্টার, দুগ্ধ-মাতাদের (ল্যাক্টেটিং মাদার) প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদানসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করে চলেছে।

প্যানেল বক্তাগণ মাতৃ ও শিশুমৃত্যুহার হ্রাস এবং প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জার্মান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া রোথ, (ঈষধঁফরধ জড়ঃয, গচ) এমপি দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন।

#

শিবলী/ফায়জুল/নবী/মোশারফ/রেজাউল/২০১৫/১৮২২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১১১৬  

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সারাদেশে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষা শুরু

ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা আজ শুরু হয়েছে। এ পরীক্ষায় ৬শ’ ৮৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে সারাদেশের ১ হাজার ৬শ’ ৮৩টি কলেজের ৫ লাখ ৩২ হাজার ১শ’ ১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। পরীক্ষার প্রথমদিনে ইংরেজি (আবশ্যিক) বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ ঢাকা মহানগরের সিদ্ধেশ^রী ডিগ্রি কলেজ, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ এবং শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষা পরিদর্শন করেন। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি সন্তোষপ্রকাশ করেন এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

#

ফায়জুল/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১১১৫

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরি নয়
                                -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

 
আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা), ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি নাতিনি কোটায় চাকুরি প্রদান করা হবে না।

    মন্ত্রী আজ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
    তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি নাতিনি হওয়া মুক্তিযোদ্ধার কোটায় চাকুরি পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা নয় তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীও হতে হবে।
    তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূলচেতনা ছিল অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এক বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন। এজন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ সংগ্রাম করে গেছেন। আজ বঙ্গবন্ধু নেই কিন্তু তাঁর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছি। অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে আমরা সঠিক পথে রয়েছি।

    মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা একাত্তরে ছিল এখনো আছে। তিনি সবাইকে স্বাধীনতাবিরোধীদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

    এসময় জাতীয় সংসদের হুইপ সোলাইমান হক জোয়ার্দার উপস্থিত ছিলেন।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আজ আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি এবং ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন।

    উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে।

#

মারুফ/ফায়জুল/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৫/১৭৫০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১১১৪

কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে মুজিবনগর দিবস উদ্যাপন
 

কলকাতা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :

বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের দিন গতকাল ‘মুজিবনগর দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশন। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কলকাতার যে ভবনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দাপ্তরিক কাজ করেছিলেন সেই শেক্সপিয়ার সরণি (থিয়েটার রোড) এর অরবিন্দভবনে অনুষ্ঠিত হলো ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার জকি আহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। আলোচক ছিলেন,  বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত তৎকালীন দূরদর্শনের অনুষ্ঠান পরিচালক পঙ্কজ সাহা, বিশিষ্ট সাংবাদিক স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত এবং অবসরপ্রাপ্ত ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল শঙ্কর রায় চৌধুরী। আলোচকবৃন্দ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতার কথা বিবৃত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপহাইকমিশনার জকি আহাদ বলেন, তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে অনেক বিদেশি সংবাদ প্রতিনিধির সামনে আহুত অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের সূচনা ঘোষিত হয় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল। বাংলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ৮নং শেক্সপীয়ার সরণির বাড়িটির অপরিসীম গুরুত্বের কথা তিনি তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।

    অতঃপর বাংলাদেশের বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

#

ফায়জুল/জসীম/রেজাউল/২০১৫/১৭৪৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১১১২

বাংলাদেশ উপহাইকমিশন কলকাতায় অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন
 

কলকাতা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :

স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা দেশের বাইরে ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল যে মিশনে প্রথম উত্তোলিত হয়েছিল সে মিশনেই অভিনব কায়দায় পতাকা উত্তোলিত হলো।

আজ কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে কনস্যুলার, প্রেস, বাণিজ্য এবং শিক্ষা ও ক্রীড়া উইং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত চার কর্মকর্তা পতাকার চারকোনায় এবং মাঝে উপহাইকমিশনার ধরে উপহাইকমিশন প্রাঙ্গণ ঘুরে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম যথাযথভাবে মেনে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন কলকাতায় নিযুক্ত উপহাইকমিশনার জকি আহাদ।

এভাবে পতাকা উত্তোলনের ব্যাপারে জকি আহাদ বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো আপামর জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায়। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় দেশের মানুষ এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ স্থান করে নিয়েছে। সেভাবে আমরাও এক হয়ে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। তিনি আরো বলেন, “আমি খুব গর্বিত এজন্য যে, দেশের বাইরে যে মিশনে প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল সে মিশনেই আমি পতাকা উত্তোলন করলাম।”

#

ফায়জুল/মোশারফ/রেজাউল/২০১৫/১৭৪২ ঘণ্টা

 

Todays handout (6).doc