Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ এপ্রিল ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১৩ এপ্রিল ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৪১৭০

 

সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর

                                             --পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল):

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ংকর। কারণ, সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের উপর কোন নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেনি। কিন্তু বিএনপি তো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।  

শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদিঘী চত্বরে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় 'সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়ে বাংলাদেশের দস্যুরা বেশি ভয়ঙ্কর', বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহ্‌মুদ চৌধুরীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য 'দেশের মানুষ খুব দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারেনি' এ বিষয়ে ড. হাছান বলেন, হয়তো মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নেই, উনাদের মনে অশান্তি বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নেই বলছেন। কিন্তু মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে।

তিনি বলেন, দেখুন, এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে এবং হচ্ছে। মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরনের দুর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে। এবং মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়েই ঈদ উদ্‌যাপন করছে। 

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'সোমালিয়ার জলদস্যু দ্বারা হাইজ্যাক হওয়া জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে। খুব সহসা আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন। আমি শুধু এটুকুই বলি, নাবিকরা খুব সহসাই মুক্তি লাভ করবে ইনশাআল্লাহ, আমরা জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ইতোমধ্যেই সাধিত হয়েছে।’

এরআগে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সবসময় বলেন এবং আমরাও বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আজকে ঈদ উৎসবকে উপলক্ষ্য করে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসবে” হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই সামিল হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব যে সবার সেটি আসলে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে। 

তিনি আরো বলেন, এই দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তির স্থান হবে না। কেউ সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে, সবসময় করেছি, ভবিষ্যতেও করব। এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই।

“চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” আয়োজক কমিটির সভাপতি জহরলাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্তা, মো. শাহাবুদ্দিনসহ আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

                                                

#

 

আকরাম/বিবেকানন্দ/দীপংকর/সুবর্ণা/কানাই/২০২৪/২১১৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪১৬৯

 

সঠিক শিক্ষা একটি জাতিকে সঠিকপথে পরিচালিত করে

                                                -ভূমিমন্ত্রী

 

খুলনা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল):

 

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। সঠিক শিক্ষা একটি জাতিকে সঠিকপথে পরিচালিত করে। সকল নেশা থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে থাকতে হবে। নেশা একটি পরিবার, দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করে দেয়।

মন্ত্রী আজ খুলনা ফুলবাড়িগেটস্থ গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী, সাংস্কৃতিক ও সাধারণ সভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন ছিলো, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে সকলকে কাজ করতে হবে। স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার প্রধান কারিগর হবে বর্তমান প্রজেন্মর শিক্ষার্থীরা। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের অংশ হিসেবে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন-২০৪১ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন ও গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু হানিফ। গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার একেএম আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে সদস্যরা স্মৃতিচারণ করেন।

পরে মন্ত্রী ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঈদ পরবর্তী নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও জামিয়া আওয়ামী লীগ অফিসে ঈদ পরবর্তী নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকালে তিনি চুকনগর দিবাপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।


                                                     #

 

সুলতান/বিবেকানন্দ/দীপংকর/সুবর্ণা/কানাই/২০২৪/২০৪২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪১৬৮

বাঙালিত্বের সঙ্গে ধর্মের কোনো সংঘর্ষ নেই

                          -- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

 

চাঁদপুর, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল):

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাঙালিত্বের সঙ্গে ধর্মের কোনো সংঘর্ষ নেই। ইসলাম ধর্মের সঙ্গে আমাদের শাড়ি ও টিপ পরার কোনো সংঘর্ষ নেই। এ বিষয়গুলো অনেক আগেই মীমাংসা হয়েছে।

শুক্রবার চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজনে ও চাঁদপুর পৌরসভার পৃষ্ঠপোষকতায় মাসব্যাপী বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা বাঙালি। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ইতিহাস রয়েছে। এ বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাসকে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা করে লাভ নেই। বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ধর্মকে দাঁড় করাতে যারা চায় তারাই দেশের শত্রু। ওই পেঁচা, ওই বাঘমামা সবই আমাদের লোকসংস্কৃতির অনুষঙ্গ। সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ ঘটাতে এই বৈশাখী মেলা ভূমিকা রাখবে।

চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তর সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটোয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।

পরে মন্ত্রী মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন। সফরকালে মন্ত্রী স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

                                                     #

 

জাকির/বিবেকানন্দ/দীপংকর/সুবর্ণা/কানাই/২০২৪/২০০২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪১৬৭

 

আগামীকাল হতে কার্যকর নতুন নির্দেশনা চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য

ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল): 

 

চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। এমন নির্দেশনা আগামীকাল ১৪ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। এ বিষয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারী করা হয়। ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সকল বিভাগীয় কমিশনার, সকল জেলা প্রশাসক, সকল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সকল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন সই করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে। চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সকল প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।

#

 

কামাল/বিবেকানন্দ/দীপংকর/সুবর্ণা/কানাই/২০২৪/১৯২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪১৬৬

 

 দেশের কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে

                                         --পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

 

খাগড়াছড়ি, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল): 

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, আমাদের চিন্তা, চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি সবার এক নাও হতে পারে। কিন্তু সকলের একটাই লক্ষ্য দেশটা আমাদের সকলের। দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের স্বার্থের জন্য এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

 

শুক্রবার রাতে খাগড়াছড়ি নিউজিল্যান্ড এলাকার রাস্তার প্রান্তে ১২ দিনব্যাপী বৈসাবি মেলার সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। উৎসব উপলক্ষ্যে বৈসাবি মেলা’র এ আয়োজন মানুষের সাথে মানুষের মিলন, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আগের চেয়ে আরো সুদৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, সংস্কৃতিকে আবহমানকাল থেকে ধরে রাখার জন্য মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। মার্জিতভাবে সকল ভালো কাজগুলো সকলের উদ্‌যাপন করা উচিত। বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের নিজস্ব একটি সংস্কৃতি ও কৃষ্টি আছে। আমার ভাষা, আমার সংস্কৃতি আমার নিজের পরিচয়। অপসংস্কৃতিকে কোনোভাবেই এখানে ধারণ করা উচিত নয়।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, বৈসাবি বা বৈসু উদ্‌যাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতা গড়ে উঠবে। সকল ভাষাভাষি ও সকল সংস্কৃতি কৃষ্টির মাঝে ঐক্যের বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে আরো এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী একাকার হয়ে উন্নয়নের অংশীদার হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আমরা পার্বত্যবাসীদের সে লক্ষ্য পূরণে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।

            প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত সেই ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর একক প্রচেষ্টায় নিরসন করেছিলেন। নতুনভাবে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত সৃষ্টি করা হলে আমাদের আগামী দিনের জন্য হবে অত্যন্ত খারাপ। তিনি বলেন, ১৪৩১ বাংলা সনে আমাদের অঙ্গীকার হউক, আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শান্তি, শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থেকে দেশের কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করে যাতে প্রধানমন্ত্রীর উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হই।

            উল্লেখ্য, গত ১লা এপ্রিল থেকে বৈসাবি উপলক্ষ্যে মেলার আয়োজন হয়। বৈসাবি এ মেলায় বিভিন্ন পাহাড়ি পণ্যসামগ্রীর স্টল দিয়ে পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা ১২ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত মেতে ছিল। এ মেলার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে।

পরে প্রতিমন্ত্রী মেলা উদ্‌যাপন কমিটি আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় খাগড়াছড়ি বৈসাবি উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক রবি শংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ শানে আলম, মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

           

 #

 

রেজুয়ান/বিবেকানন্দ/দীপংকর/সুবর্ণা/কানাই/২০২৪/১৯০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪১৬৫

 

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

                                       -ধর্মমন্ত্রী

শেরপুর, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল): 

ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

আজ সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছরপূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে।  শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। দারিদ্র্য ও অতি দারিদ্র্যের হার কমেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটেছে। দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল ও মেট্রোরেল নির্মাণ করা হয়েছে। বিশ্বের ৩৫ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ দেশ গড়ে তোলা। এলক্ষ্য অর্জনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত তিন মেয়াদে শিক্ষাখাতে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এসময়ে ২৬ হাজার ১৯৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। ২ হাজার ৭৩৬টি বেসরকারি স্কুল এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। ৩৫৫টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৭৪টি বেসরকারি কলেজ সরকারিকরণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন ৫ হাজার ৯৭টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব শিক্ষা ভবন ও আধুনিক শ্রেণিকক্ষসহ অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা বা তদূর্ধ্ব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।

মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্মের কল্যাণে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করাটা অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ প্রভৃতি সামাজিক প্লাটফর্মগুলি ব্যবহার করে আমরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছি। তিনি বন্ধুত্বের অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে বন্ধুসহ এলাকা, সমাজ ও দেশের জন্য ভালো কিছু কাজ করার আহ্বান জানান।


#

 

আবুবকর/বিবেকানন্দ/দীপংকর/সুবর্ণা/কানাই/২০২৪/১৮০৭ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪১৬৪

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল):

 

           স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ সময় ২০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

 

           গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৩ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ১৬৯ জন।

 

                                                     #

 

দাউদ/বিবেকানন্দ/দীপংকর/সুবর্ণা/কানাই/২০২৪/১৭৫৩ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪১৬৩

 

ঈদে চিকিৎসা সেবায় কোন ব্যাঘাত ঘটেনি

                               -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল): 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ঈদের আগে আমি বলেছিলাম স্বাস্থ্য সেবায় যেন কোন বিঘ্ন না ঘটে। এই কয়দিন শুধুমাত্র ঢাকা নয়, আমি প্রতিটা ডিভিশন, প্রতিটা মেডিকেল কলেজের যারা বাইরে আছেন তাদের সাথেও কথা বলেছি। তারা আমাকে নিশ্চিত করে বলেছেন, চিকিৎসা সেবায় কোন ব্যাঘাত ঘটেনি৷ আরেকটা বিষয় হলো, এবার ঈদে আমরা ডাক্তার-নার্সদের থাকা খাওয়ার ভাল ব্যবস্থাও করেছি, যার ফলে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছে।

আজ সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আকস্মিকভাবে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এই কথা বলেন৷ 

ডা: সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি অঙ্গীকার করেছিলাম ঈদে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তদারকি আমি নিজে করবো। সেজন্য আমি আজ এখানে এসেছি। এই তদারকি চলমান থাকবে। 

দেশের ডেঙ্গু রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করা। চিকিৎসায় যাতে ব্যত্যয় না ঘটে, তার জন্য আমার পর্যায়ে আমি মিটিং করেছি। সচিবরাও সবাইকে নিয়ে মিটিং করছেন৷ ডেঙ্গুর রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। বর্তমানে দেশের সকল ডাক্তাররা ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে অভিজ্ঞ। কাজেই সঠিক সময়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হলে, চিকিৎসায় কোন সমস্যা হবেনা। 

তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু রোগের বেস্ট চিকিৎসা হচ্ছে প্রিভেনশন। আমরা আগে প্রতিরোধ করি। আমরা সচেতন হয়ে যদি নিজেদের বাড়ি-ঘর নিজেরা পরিচ্ছন্ন রাখি তাহলে এই ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে আমরা রক্ষা পাব৷ আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি, ডেঙ্গু রোগে বিনা চিকিৎসায় কেউ মারা যাবেনা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রীর হাসপাতাল পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ।

#

 

পবন/বিবেকানন্দ/দীপংকর/সুবর্ণা/কানাই/২০২৪/ ১৭৪৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৪১৬২

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) :  

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“শুভ নববর্ষ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সকল বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদ্‌যাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।

বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে, এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।

পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন। আমি আশা করি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি হয়ে উঠবে শ্রেষ্ঠ জাতি ৷

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই  বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

আমি আশা করি, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।

আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায় –

“মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,

অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।

রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,

আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ ৷

মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক৷৷

এসো হে বৈশাখ এসো, এসো...

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

 

শাহানা/বিবেকানন্দ/দীপংকর/সুবর্ণা/কানাই/২০২৪/১৭২৮ ঘন্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪১৬১

 

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) :      

 

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“শুভ নববর্ষ-১৪৩১’  

পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে একটি পরম আনন্দের দিন। আনন্দঘন এ দিনে আমি দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।

বাঙালি জাতির শাশ্বত ঐতিহ্যের প্রধান অঙ্গ পহেলা বৈশাখ। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। ফসলি সন হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল, সময়ের পরিক্রমায় তা আজ সমগ্র বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।

ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা, আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি জাতি। নতুন বছরে

2024-04-13-15-22-84c6dcfe11808d7d3aac40b40193a980.docx