Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ জানুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী ৯ জানুয়ারি ২০২৪

তথ্যববিরণী                                                                                                           নম্বর : ২২৮১

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

          দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে  সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল। তাঁর এ বিজয়ে আজ সচিবালয়ে  যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষে পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ।

          এছাড়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান, শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আ.ন.ম তরিকুল ইসলাম ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

          এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘এ বিজয় জনগণের বিজয়। আমি আমার সংসদীয় আসনের জনগণের নিকট আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে আমাকে ৫ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে দেশ ও জনগণের সেবা করার সুযোগ প্রদান করেছেন। আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তিনি আমাকে বিগত পাঁচ বছর এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ প্রদান করেছেন। আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সর্বদা সচেষ্ট ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো।’

#

আরিফ/পাশা/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯৩০ ঘণ্টা 

 

তথ্যববিরণী                                                                                                           নম্বর : ২২৮০

জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় ধানের ২টি ও গমের ১টি জাতের নিবন্ধন

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

           বোরো মৌসুমে চাষের জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ২টি ধানের জাত এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ১টি গমের জাতের নিবন্ধন ও ছাড়পত্র দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড। এছাড়া, বোরো মৌসুমে চাষের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ১০টি হাইব্রিড জাতের ধানের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।

          আজ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিসচিব ও জাতীয় বীজ বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় বীজ বোর্ডের ১১১তম সভায়’ এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

          ব্রির ধানের জাত দু’টি হলো ব্রিধান ১০৭ ও ব্রিধান ১০৮। ব্রিধান ১০৭ প্রিমিয়াম কোয়ালিটির। গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ৮ দশমিক ২০ টন। জীবনকাল ১৪৩ দিন। চাল লম্বা ও চিকন, ভাত ঝরঝরে। আর ব্রিধান ১০৮ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ৮ দশমিক ৫০ টন। জীবনকাল ১৪৬ দিন। চাল চিকন ও মাঝারি লম্ব, যা অনেকটা জিরাশাইল জাতের মতো। ভাত ঝরঝরে।

          বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত গম ৫ জাতটি আগাম ও উচ্চফলনশীল। গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ২০ থেকে ৫ টনের মতো। জীবনকাল ১০৭ দিন। এটি তাপসহিষ্ণু, ব্লাস্ট ও পাতার মরিচা রোগ প্রতিরোধী।

#

কামরুল/পাশা/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯০০ ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                           নম্বর : ২২৭৯

মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি ত্রুটিযুক্ত ও একপেশে

                                                    --- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

          নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি প্রসঙ্গে সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আমি বিবৃতিটি পড়েছি। বিবৃতিতে আগুনসন্ত্রাস করে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা নেই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে, অথচ গ্রেপ্তার তো তাদেরই করা হচ্ছে যারা আগুনসন্ত্রাসের সাথে যুক্ত।’

          মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।

          তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার হাইকমিশনারকে বলবো যে, গাজায় যেভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে সে নিয়ে কিছু বলার জন্য। মানবাধিকার কমিশনের এই বিবৃতি তখনই ঠিক ও গ্রহণযোগ্য হতো, যদি সেখানে নির্বাচনকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে যেভাবে সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাস চালানো হয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, সে নিয়ে বক্তব্য থাকতো এবং সেগুলোর নিন্দা জানানো বা “কনডেম” করা হতো। কিন্তু তা নেই বলে এই বিবৃতিটি পক্ষপাতদৃষ্ট, অসম্পূর্ণ এবং একপেশে বলে প্রতীয়মান। তাদের আসলে মানবাধিকার নিয়ে এবং গাজায় যেভাবে মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে সে বিষয় নিয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার।

          নির্বাচন নিয়ে ভারত, চীন, রাশিয়ার তাৎক্ষণিক প্রশংসাতেই হয়তো বা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি একটু অন্যরকম। নির্বাচন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি খানিক নেতিবাচক এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে সেখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে আসা যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের সাবেক চিফ অভ্ স্টাফ, সাবেক কংগ্রেসম্যান, সিবিএস নিউজের চিফ নিউজ এডিটর এবং অন্যান্য দেশ তথা জার্মানী, ইইউ পার্লামেন্টের সাবেক মেম্বার সবাই ছিলো। তারা সবাই সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনের প্রশংসা করেছে।

          আপনারা জানেন, ভারত, চীন, রাশিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং নির্বাচন সুন্দর হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে উল্লেখ করে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমরা সবসময় দেখে এসেছি, চীন, রাশিয়া যা বলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার উল্টোটা বলে। ভারত, চীন, রাশিয়া একযোগে যখন বলেছে, আমাদের নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছে, তারা যদি এই অভিনন্দনটা ইতিমধ্যেই না দিতো বা এই অভিমত ব্যক্ত না করতো তাহলে হয়তো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিটা অন্য রকম হতো বলে আমার ধারণা।’

          একইসাথে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে এবং বিশ্ব অঙ্গনেও আমরা এক সাথে কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সাথে সম্পর্ক আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তারা আমাদের সাথে কাজ করবে সেটি এই বিবৃতিতেও বলেছে।’

#

আকরাম/পাশা/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯১০ ঘণ্টা

 

তথ্যববিরণী                                                                                                             নম্বর : ২২৭৮

ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক প্রত্যাখ্যান করেছে

                                                                                      --- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে সারা দেশের মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট প্রদান করেছে, বিএনপিসহ যারা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলো তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’

          আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ভোটের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা, ভোট বর্জনের ডাকের পাশাপাশি ৫ জানুয়ারি ট্রেনে বর্বরোচিত হামলা এবং ৪, ৫, ৬ জানুয়ারি বিভিন্ন জায়গায় ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দেশে কার্যত একটি ভোট উৎসব হয়েছে।’ 

          চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে টানা চতুর্থবার নির্বাচিত এমপি হাছান বলেন, ‘বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো এখন হতাশায় নিমজ্জিত- কেন তারা নির্বাচন করলো না। তাদের সাথে যদি ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেন, তাহলে জানতে পারবেন তাদের মধ্যে কি পরিমাণ হতাশা বিরাজ করছে। তারা এখন অনুধাবন করতে পেরেছে, এই নির্বাচন বর্জন করে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত আছে।’

          মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলোসহ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে যে, দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সোমবার বিকেলে তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছে, উল্লেখ করেন তিনি।

জনগণ ও নির্বাচন কমিশনকে তথ্যমন্ত্রীর ধন্যবাদ

          দেশের মানুষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোনো কোনো জায়গায় ভোট প্রদানের হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি, গড়ে ৪১ দশমিক ৮ অর্থাৎ প্রায় ৪২ শতাংশ। আমার এলাকায় ৬৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকায় এর চেয়েও বেশি সম্ভবত ৮০ শতাংশ। শহরাঞ্চলে হারটা কিছুটা কম ছিলো কারণ শহরের মানুষ জায়গা পরিবর্তন করে, আবার তিন দিন টানা ছুটি পাওয়ার কারণে যেহেতু অন্যরা গ্রামে ভোট দিতে যাচ্ছে, তাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করার জন্য অনেকেই গ্রামে চলে গেছে।’

          এ সময় নির্বাচন কমিশনকেও ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা শক্ত হাতে অত্যন্ত কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সাথে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে, এ জন্য নিঃসন্দেহে তারা অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য, ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। ইতিপূর্বের নির্বাচনগুলোর সাথে এমন কি পশ্চিমবঙ্গের সাথেও এবারের নির্বাচন মিলিয়ে দেখা যায় যে, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কিন্তু অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক কম সহিংস ঘটনা ঘটেছে।

#

আকরাম/পাশা/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৮৫০ ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                           নম্বর : ২২৭৭

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত র্সবশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা র্পযন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমকি ৩৯ শতাংশ। এ সময় ৫০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ র্পযন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন র্পযন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৯৮৪ জন।

#

দাউদ/পাশা/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৭১০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ২২৭৬

মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য ও চ্যালেঞ্জ

                                                            -কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি)

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য ও চ্যালেঞ্জ। ঢাকায় নিজ বাসভবনে কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীন সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্র্র্রী এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, একটি জাতির উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় একেকটি জাতীয় নির্বাচন একেকটি ধাপ। দেশের উন্নয়নকে চলমান রাখতে এই নির্বাচনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। আগামী ৫ বছর মানুষের জন্য আমরা কী করতে চাই, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে কীভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই তা আমরা নির্বাচনি ইশতেহারে তুলে ধরেছি। দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখেছে, আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রেখেছে। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে আগামী দিনে কাজ করার আহ্বান জানান।

          এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো: বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল আউয়ালসহ অন্যান্য সংস্থাপ্রধান এবং মন্ত্রণালয় ও সংস্থাসমূহের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

 #

কামরুল/জামান/ফাতেমা/সিদ্দীক/কলি/আলী/মানসুরা/২০২৪/১৪৩৫ ঘন্টা

Not to publish before 5 PM

Handout                                                                                                  Number : 2275

 

Prime Minister’s Message on the Homecoming Day of Bangabandhu

Dhaka, 9 January : 

Prime Minister Sheikh Hasina has given the following message on the occasion of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman's Homecoming Day :   

“The greatest Bengali of all time in the history of the Bengali liberation struggle, the Father of the Nation, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, was released from prison in Pakistan and returned home on this day in 1972. The people of newly independent Bangladesh get back their most beloved leader. With the arrival of our Great Leader, the joy of the final victory of our liberation war was fulfilled.

The Father of the Nation struggled for 24 long years to unfetter the Bengali nation from the shackles of subjugation. He led on all fronts, from the language movement to the Independence War. He endured prison torture, always made far-sighted decisions, and organized the party well beyond personal interests. Bangladesh Awami League won an absolute majority in the 1970 elections under his leadership. But the Pakistani military junta ignored the people's verdict and started a farce. The unarmed people of Bengal were shot and killed indiscriminately. To achieve the ultimate independence, the Father of the Nation declared in a crowd of a million at the racecourse ground on 7 March 1971, ... turn every house into fortress... The struggle this time is a struggle for emancipation. The struggle this time is a struggle for independence.' The Pakistani occupation forces launched a brutal killing mission on the innocent Bengalis on the darkest night of 25 March. Bangabandhu proclaimed the Independence of Bangladesh in the first hour of 26 March.

Soon after the declaration of independence, the Pakistani forces arrested the Father of the Nation. They confined him to an unknown place in Pakistan, where he was subjected to inhuman torture. He was elected the Mujibnagar Government's President on 10 April 1971. He rejoiced the spirit of Bengalis while counting the moments of execution as a convict in the farcical trial of Pakistan's Kangaroo court. He was the flame of hope to the freedom fighters. Under his unwavering leadership, the Bengali nation fought to the death and snatched victory on 16 December. The defeated Pakistani rulers were compelled to free Bangabandhu in the early hours of 8 January 1972. He landed in London in the morning on the same day. He met the British Prime Minister and participated in a press conference there. The Father of the Nation kissed the ground of his beloved motherland at noon on 10 January 1972, with a short stopover in Delhi in the morning. In a speech to a crowd of millions at the racecourse that day, he described the brutal torture of the Pakistani military junta. He called on the United Nations to bring the Pakistani army to justice for committing heinous crimes and genocide during the Great Liberation War.

On 12 January 1972, the Father of the Nation assumed the position of Prime Minister and deployed wholehearted efforts to rebuild war-torn Bangladesh. Due to his strong move, the Indian allied forces left Bangladesh by 15 March. On 14 December, he signed the first constitution of Bangladesh. Due to the Father of the Nation's successful bilateral and multilateral diplomatic efforts, Bangladesh gained recognition from 123 countries of the world and 16 international organizations. From a war-torn country, it emerged as the least developed country in just three and a half years, and Bangladesh stood with a high head in the globe.

On 15 August 1975, the anti-independence and war criminal faction brutally killed the Father of the Nation, including his family members, and introduced the politics of killing, coup, and conspiracy in this country. They obstructed the trial of Bangabandhu's assassination by issuing an indemnity ordinance on 26 September 1975. The Mostaq-Zia gang rewarded the killers with diplomatic status in Bangladesh Embassies and also established them politically. They ruined democracy by declaring Martial Law, distorted the glorious history of our independence, defaced the constitution, and choked press freedom. The BNP-Jamat government continued the trend.

After 21 years of struggle and sacrifice, the Bangladesh Awami League formed the Government in 1996. On 12 November of the same year, we adopted the "Indemnity Ordinance Repeal Act, 1996" and started the trial of the assassination of the Father of the Nation. We reinstated the real history of independence and liberation war in the textbooks. Moreover, since 2008, we have had the opportunity to run the state by being elected in four consecutive rounds of popular vote. We have executed the verdict of the killers of the Father of the Nation. We have tried war criminals through the establishment of the International Criminal Tribunal. We have ensured the right of the people to vote through the Fifteenth Amendment to the Constitution, thus stopping the illegal seizure of power.

In the manifesto of the recently held 12th National Parliament Election, we pledged to build a Smart Bangladesh starting from 2024. In continuation of the earlier manifestos of the Awami League, the socio-economic development and prosperity of the people have been given priority in the new manifesto. Since the Awami League government runs the state according to the time-bound plan, the country's people also trusted our party and voted for victory this time. The United Nations recognized Bangladesh as a developing country during the Birth Centenary of the Father of the Nation and the Golden Jubilee of Independence. InshaAllah, Bangladesh will start its journey as a developing country under the leadership of our Government in 2026.

Bangabandhu Sheikh Mujib dreamed that one day, the people of this country would design their fate. For that purpose, he prepared the entire nation to fight and, with courageous leadership, created an opportunity to enjoy the taste of freedom. The Awami League government's ultimate achievement is that the people of independent Bangladesh present themselves proudly on the world stage without showing leniency to foreign powers. On this auspicious occasion of Homecoming Day, let us pledge- resisting all domestic and foreign conspiracies and being inspired by the spirit of the great Liberation War, we will together play an effective role in the construction of the Father of the nation's dream of 'Golden Bangladesh' and a developed and prosperous "Smart Bangladesh" by 2041.

I wish the overall success of all the programs taken at the national and international level on the occasion of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman's Homecoming Day.

                 Joi Bangla, Joi Bangabandhu

                May Bangladesh Live Forever”

#

Shahana/Zaman/Fatema/Siddik/Koli/Ali/Shamim/2024/1330 hour

 

Not to publish before 5 PM

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২২৭৪

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে এক কালজয়ী মহাপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে ফিরে পায়। আমাদের মহান নেতার আগমনে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দ পরিপূর্ণতা লাভ করে।

জাতির পিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম সকলক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, সবসময় দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক জান্তা পূর্ব বাংলার জনগণের এ রায়কে উপেক্ষা করে, শুরু করে প্রহসন। বাংলার নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের এক জনসমুদ্রে ঘোষণা করেন ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলো। ...এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই পাকিস্তানি বাহিনী জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের অজ্ঞাত স্থানে কারান্তরীণ করে রাখে এবং তাঁর ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালাতে থাকে। তিনি ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাকিস্তানের সামরিক আদালতে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুণতে গুণতেও তিনি বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তাঁর অবিচল নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণপণ যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। একইদিন সকালে তিনি লন্ডনে অবতরণ করেন। সেখানে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১০ জানুয়ারি সকালে দিল্লীতে যাত্রাবিরতি দিয়ে দুপুরে তাঁর প্রিয় মাতৃভূমিতে পদার্পণ করেন। ঐদিন রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে এক ভাষণে তিনি পাকিস্তানি সামরিক জান্তার ভয়াবহ ও নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন। সেই সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা সংঘটনের দায়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বিচারের মুখোমুখি করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর বলিষ্ঠ পদক্ষেপে ভারতীয় মিত্রবাহিনী ১৫ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। তিনি একইবছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। জাতির পিতার সফল দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক তৎপরতায় বাংলাদেশ বিশ্বের ১২৩টি দেশ এবং ১৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি লাভ করে। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরেই স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।

-২-

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী চক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে এদেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চালু করে। তারা ’৭৫ এর ২৬ সেপ্টেম্বর দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়। মোস্তাক-জিয়া চক্র খুনিদের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে কূটনীতিকের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে, রাজনৈতিকভাবেও প্রতিষ্ঠিত করে। মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করে। বিএনপি-জামাত সরকার এই ধারা অব্যাহত রাখে।

২১ বছরের দীর্ঘ সংগ্রাম ও অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা একইবছর ১২ নভেম্বর ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ প্রণয়ন করে জাতির পিতা হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করি। পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরি। তাছাড়া, ২০০৮ সাল থেকে পরপর চার দফা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছি। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনি ইশতেহারে ২০২৪ সাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছি। আওয়ামী লীগের পূর্বের ইশতেহারগুলোর ধারাবাহিকাতায় নতুন ইশতেহারেও জনগণের উত্তরোত্তর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকার সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করে, তাই এবারেও দেশের মানুষ আমাদের দলের ওপর আস্থা রেখেছেন এবং ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে। ইনশাল্লাহ্ ২০২৬ সাল থেকে আমাদের সরকারের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সম্মুখ যাত্রা শুরু করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিলো একদিন এদেশের মানুষ নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করবে। সেলক্ষ্যেই তিনি গোটা জাতিকে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। ভিনদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করে নয়, স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ আজ বিশ্বের বুকে গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলছে সেটাই আওয়ামী লীগ সরকারের পরম পাওয়া। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এই শুভলগ্নে আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি- দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কার্যকারী ভূমিকা রাখবো।

আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।

    জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

             বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

শাহানা/জামান/ফাতেমা/সিদ্দীক/কলি/আলী/শামীম/২০২৪/১৪০০ ঘন্টা

                                           আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ২২৭৩

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

“আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দিজীবন শেষে ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির পিতা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। আজকের এদিনে আমি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হলেও জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের বিজয় পূর্ণতা লাভ করে।

বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির পিতার অবদান অতুলনীয় ও অনস্বীকার্য। ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বসহ ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬-দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় সবই হয়েছিল তাঁর নেতৃত্বে। প্রকৃতপক্ষে, বঙ্গবন্ধু হলেন বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলার রূপকার।

১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা হস্তান্তরে অনীহার কারণে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক ভাষণেই মূলত তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধু সেদিন দেশবাসীকে শোনান স্বাধীনতার অমর কবিতা “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। ২৫ মার্চ কালরাত্রে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর মাধ্যমে গণহত্যা শুরু করে। এ প্রেক্ষাপটে

2024-01-09-13-35-31a1d109bb1324213eb401dff89e42cd.docx