তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৭০
প্রভাবশালীদের কবল থেকে নদীকে দখলমুক্ত করা হবে
-- নৌপরিবহণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪শে আশ্বিন (৯ই অক্টোবর):
নদী দখলকারীরা যতই প্রভাবশালী হউক না কেন; তাদের কবল থেকে নদীকে দখলমুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রী ও নদী রক্ষার্থে গঠিত টাস্কফোর্সের সভাপতি শাজাহান খান আজ সদরঘাট থেকে আশুলিয়া হয়ে টঙ্গী নদী বন্দর পর্যন্ত নদী এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে টাস্কফোর্সের সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরাগ বেগম, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মো. আলাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহণ মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোর দখল ও দূষণরোধ এবং নাব্যতা বজায় রাখতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নদীর সীমানা রক্ষার্থে সীমানা পিলার বসানো হয়েছে। নদীর জায়গা যাতে পুনরায় দখল না হয় সেজন্য ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে; আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
শাজাহান খান নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, তীর ভরাট করে অবৈধ বালু-পাথরের ব্যবসা দ্রুত বন্ধে বিআইডব্লিউটিএ, ঢাকা জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন। এলক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেন। রাজধানীর চারপাশের নদী তীরে কি পরিমাণ অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তার হিসাব এবং সীমানা পিলারের সার্বিক অবস্থা নির্ণয় করতে শীঘ্রই জরিপ কার্যক্রম চালানোরও নির্দেশ দেন তিনি।
#
জাহাঙ্গীর/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৬৯
চীনের বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে
-- বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪শে আশ্বিন (৯ই অক্টোবর):
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের রপ্তানি ২৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি এক বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য স্পেশাল ইকনোমিক জোনে চীনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। চীন তৈরিপোশাক শিল্প রিলোকেশন করছে, বাংলাদেশের স্পেশাল ইকনোমিক জোন এর উপযুক্ত স্থান হতে পারে। চীনের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সবধরনের সহযোগিতা করবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বৃদ্ধি করতে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চলতি ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এবং রপ্তানি পণ্যসংখ্যা বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন নতুন পণ্য রপ্তানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ঃ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার সকল দেশের সাথে সুসম্পর্কের নীতি মেনে চলছে। রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনার কারণে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। চীন বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক বন্ধু। দু‘দেশের বর্তমান বাণিজ্যের পরিমান প্রায় ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য চীনে রপ্তানি করছে। চীনে রপ্তানি ধারা অব্যাহত থাকলে এ বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে। জাপান, অষ্ট্রেলিয়া, ইতালির মতো চীনও বর্তমানে প্রায় পাঁচশত পণ্যের উপর ডিউটি ফ্রি সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে।
মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, গার্মেন্টস পল্লীসহ অনেক বড় বড় প্রকল্পে চীন আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্টের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে বেশ কিছু এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে এবং বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডিশনাল রিসার্স ডিরেক্টর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া, বিএনপি নেতা এবং সাবেক সেনা প্রধান মাহবুবুর রহমান, বিএফইউজে‘র প্রেসিডেন্ট মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, পিআরআইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. সাদেক আহমেদ এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট এবং একুশে টিভির প্ল্যানিং এডিটর সাইফ ইসলাম দিলাল।
#
বকসী/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৮৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৬৮
বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৪শে আশ্বিন (৯ই অক্টোবর):
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সাথে আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত নূর আশিকিন মোহা. তায়েব (ঘড়ড়ৎ অংযরশরহ গড়যফ ঞধরন) সাক্ষাৎ করেন।
এসময় তাঁরা দ্বিপাক্ষিক স¦ার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। সাক্ষাৎকালে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র, দু‘দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সেখানে বাংলাদেশের বড় শ্রম বাজার রয়েছে।
তিনি বলেন, দু‘দেশের মধ্যে বাণিজ্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ায় ১৯১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে মালয়েশিয়া থেকে ৯৫২ দশমিক ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। ডব্লিউটিও‘র সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ বাংলাদেশকে ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি সুবিধা দিয়ে আসছে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করলে এ বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি পৃথিবীর অনেক দেশে সুনামের সাথে কাজ করছে। মালয়েশিয়ায় ভিসার শর্ত শিথিল হওয়া প্রয়োজন। এতে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি মালয়েশিয়ায় বেশি কাজ করার সুযোগ পাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/আফরাজ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৬৭
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ
১২ হাজার ৬ শত ১৯ শিক্ষক বাছাই করেছে এনটিআরসিএ
ঢাকা, ২৪শে আশ্বিন (৯ই অক্টোবর) :
প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল আজ প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অনলাইনে এ ফলাফল প্রকাশ করেন।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্যে ১২ হাজার ৬ শত ১৯ জন প্রার্থী বাছাই করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ণ কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বাছাইকৃত প্রার্থীগণ এসএমএসের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তাদের ফলাফল জেনে গেছেন বলে জানিয়েছে অনলাইন নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা প্রতিষ্ঠান টেলিটক। বাছাইকৃত এসব প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়োগপত্র প্রদান করবে।
এনটিআরসিএ’র বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে ৬ হাজার ৪৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাহিদাকৃত ১৪ হাজার ৬ শত ৬৯ টি শূন্য পদের বিপরীতে ১৩টি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৭ টি আবেদন পাওয়া যায়। এসব আবেদন যাচাই করে ১২ হাজার ৬১৯ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বাছাই করা হয়। মামলা, পদের বিপরীতে কোন আবেদন না পাওয়াসহ অন্যান্য কারণে বেশ কিছু শূন্য পদের বিপরীতে প্রার্থী বাছাই করা সম্ভব হয়নি।
এ উপলক্ষে বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুরূপ নিয়োগ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী শতভাগ স্বচ্ছ, বিড়ম্বনামুক্ত ও নিরপেক্ষতার সাথে এসব শিক্ষক বাছাই করা হয়েছে। জনাব নাহিদ বলেন, একটি অত্যন্ত যোগ্য কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব শিক্ষক নিজেদের সম্মানিত বোধ করবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান এ এম এস আজহারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
সাইফুল্লাহ/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৮০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৬৬
মান চুক্তির বাস্তবায়নের মাধ্যমে সার্ক অঞ্চলে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব
---শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪শে আশ্বিন (৯ই অক্টোবর) :
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, সার্কভুক্ত অঞ্চলে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন জনসংখ্যার বিশাল বাজার থাকলেও পণ্যের গুণগতমান ও মান অবকাঠামোর দুর্বলতার কারণে আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অশুল্ক ও আধা-শুল্ক প্রতিবন্ধকতার কারণে সার্কভুক্ত অঞ্চলে ব্যবসার ব্যয় বাড়ছে। ফলে এ অঞ্চলে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ দেশগুলোর মোট রপ্তানি বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশ। সার্ক অঞ্চলে আঞ্চলিক মান চুক্তির বাস্তবায়ন এবং পরীক্ষণ সনদের পারস্পরিক স্বীকৃতির মাধ্যমে এ বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে কাজ করছে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী আজ সার্ক এক্সপার্ট গ্রুপ অন অ্যাক্রেডিটেশন (সেগা/ঝঊএঅ) এর ৫ম সভার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে পণ্য ও সেবার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে দু’দিনব্যাপী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জার্মানির মান সংস্থা পিটিবি’র আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এর আয়োজন করে।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) মহাপরিচালক মো. আবু আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সার্ক সচিবালয়ের পরিচালক এল. সাবিত্রি (গং. খ. ঝধারঃৎর), জার্মানির মান সংস্থা পিটিবি’র প্রতিনিধি ড. ক্রিস্টিয়ান স্টেঞ্জ (উৎ. ঈযৎরংঃরধহ ঝঃধহু) বক্তব্য রাখেন।
আঞ্চলিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান অশুল্ক ও আধা-শুল্ক প্রতিবন্ধকতা (ঘড়হ-ঃধৎরভভ ্ চধৎধ-ঃধৎরভভ নধৎৎরবৎং) দূর করা গেলে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী। এজন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক ও আন্তঃবাণিজ্য বাড়াতে অভিন্ন মান ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি অ্যাক্রেডিটেশন ও পরীক্ষণ সনদের পারস্পরিক গ্রহণযোগ্যতার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে বাংলাদেশ কোয়ালিটি কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একনেকে একটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। খুব শীঘ্রই কোয়ালিটি কাউন্সিল গঠন করা হবে। পণ্য ও সেবার গুণগতমান সনদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এর ফলে বিএবি ইতোমধ্যে ৪০টি স্থানীয় ও বহুজাতিক টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশন গবেষণাগার, একটি মেডিক্যাল গবেষণাগার, দু’টি সার্টিফিকেশন সংস্থা ও একটি ইন্সপেকশন সংস্থাকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সভায় বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মান বিশেষজ্ঞ ছাড়াও জার্মানি এবং দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক মান সংস্থার (ঝঅজঝঙ) প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভায় সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন মান প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, মান অবকাঠামোর উন্নয়ন, বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা অপসারণসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সার্ক অঞ্চলের অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
#
ফয়জুল/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৭৫৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৬৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষপর্ব পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাকা, ২৪শে আশ্বিন (৯ই অক্টোবর) :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩ সালের মাস্টার্স শেষপর্ব পরীক্ষার ফল আজ প্রকাশিত হয়েছে। এ পরীক্ষায় ত্রিশটি বিষয়ে সারাদেশে ১৩১ টি কলেজের ১,৯৬,৫৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ।
এর মধ্যে ১,৮৩,৬৮০ জন (১ম শ্রেণি ৩৭৭৫০ জন, ২য় শ্রেণি ১৪২৬৭৮ জন, ৩য় শ্রেণি ৩২৫২ জন) উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার শতকরা ৯৩ দশমিক ৪৪ ভাগ।
প্রকাশিত ফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.nu.edu.bd এবং www.nubd.info থেকে পাওয়া যাবে। এছাড়াও যে কোন মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে nu<space>mf<space> Roll লিখে 16222 নম্বরে Send করে ফল জানা যাবে।
#
ফয়জুল/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৬৪
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে চুক্তি স¦াক্ষর
ঢাকা, ২৪শে আশ্বিন (৯ই অক্টোবর) :
চীন সরকারেরর অর্থায়নে জি-টু-জি ভিত্তিেেত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক উভয়পাশে পৃথক সার্ভিসলেনসহ চার লেনে উন্নীত করা হবে।
আজ এ লক্ষ্যে চীন সরকারের মনোনীত প্রতিষ্ঠান চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সাথে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট সই হয়। চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আগামীতে যতগুলো মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে তার সবগুলোর দু’পাশে ধীর গতির যানবাহন চলাচলের জন্য পৃথক সার্ভিস লেন থাকবে।
তিনি বলেন, কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২শ ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিক সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। তবে কারিগরি কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রকৃত ব্যয় নির্ধারণ করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি অর্থনীতিবিদ এম এ মোমিন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট তাং শিয়াওলিয়াং (ঞধহম ছরধড়ষরধহম)।
চুক্তিতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট নিজ নিজ দেশের পক্ষে সই করেন।
#
নাছের/আফরাজ/জসীম/আব্বাস/২০১৬/১৭১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৬৩
সচিবালয়ে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ডে করণীয় বিষয়ে মহড়া
ঢাকা, ২৪শে আশ্বিন (৯ই অক্টোবর) :
বাংলাদেশ সচিবালয়ে আজ ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ডে করণীয় বিষয়ে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৬ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মহড়ায় সার্বিক সহযোগিতা করে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সচিবালয়ের নিজস্ব মেগা সাইরেন বাজানোর মাধ্যমে মহড়া শুরু হয়। সাইরেন শোনার পর ফায়ার সার্ভিসের একাধিক উদ্ধারকারী যানবাহন তাৎক্ষণিক সচিবালয়ে এসে উপস্থিত হয়। এ সময় সচিবালয়ের বিভিন্ন তলায় অবস্থিত লোকজনকে দ্রুত সারিবদ্ধভাবে নিচে নেমে আসতে বলা হয়। যারা নেমে আসতে পারছেন না তাদের বিভিন্ন পিলারের নিকট এবং মাথার উপর শক্ত কিছু দিয়ে ঢেকে বসে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়। ধুলাবালি যাতে নাকে-মুখে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য কাপড় অথবা রুমাল দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখতে এবং ভারী আসবাবপত্র আলমারি থেকে দূরে থাকতে বলা হয়। রুম থেকে বেরিয়ে আসার পূর্বে বিদ্যুতের লাইট, ফ্যান, এসি ইত্যাদি বন্ধ করে মেইন সুইচ অফ করে নেমে আসতেও পরামর্শ দেয়া হয়।
মহড়ায় সচিবালয়ের বিভিন্ন ফ্লোরে আটকে পড়া মানুষদের ফায়ার সার্ভিসের আধুনিক উদ্ধার রাডার দিয়ে উদ্ধার করার বিষয়টি দেখানো হয়। অল্প আহতদের অস্থায়ী চিকিৎসা ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া এবং গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর বিষয়ে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়ায় নিহতদের যথাযথভাবে উদ্ধার করে তাদের ডাটাবেজ তৈরিসহ সনাক্তকরণের পর তাদেরকে নিকট আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টিও দেখানো হয়। এছাড়া বাকীদের তাৎক্ষণিক সনাক্ত না হওয়ায় সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে পাঠানোর বিষয়টিও মহড়াতে উঠে আসে। এ সময় সচিবালয়ের একাধিক স্থানে কৃত্রিম অগ্নিকা- ঘটানো হয় ও ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পূর্বেই নিভিয়ে ফেলা হয়।
মহড়া শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। দুর্যোগকে সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য সঠিক প্রস্তুতি গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সচিবালয় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বিধায় এখানকার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকম্প থেকে উদ্ধারের পূর্ব প্রস্তুতি একান্ত আবশ্যক।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা নগরীতে ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়ে থাকে। ভূমিকম্পের ফলে ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয় এবং ভারী জিনিসপত্রের নীচে চাপা পড়ে লোকজন হতাহত হয়। এজন্য যথাযথ বিল্ডিং কোড মেনে স্থাপনা নির্মাণ করলে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। এছাড়া বিদ্যমান ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ রেট্রোফিটিং এর মাধ্যমে ভূমিকম্প সহনীয় বা টেকসই করা সম্ভব।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
#
ওমর ফারুক/মোবাস্বেরা/সাহেলা/গিয়াস/রফিকুল/শামীম/২০১৬/১৬২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৬২
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল
-স্পিকার
ঢাকা, ২৪শে আশ্বিন (৯ই অক্টোবর) :
স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের দারিদ্র্যতা বহুলাংশে হ্রাস করেছে এবং এর মাধ্যমে নারীরা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। স্পিকার বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি রোল মডেল। বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি গতকাল ঢাকায় গ্রিন ডেল্টা ইনসিওরেন্স আয়োজিত নিবেদিতা অ্যাপ এর উদ্বোধন ও লোকাল পাইওনিয়ার সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন ।
তিনি বলেন, সরকারের শিক্ষানীতি,অবৈতনিক নারী শিক্ষা, শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা তহবিল, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, ভিজিডি, মাতৃমৃত্যু রোধ, শিশুমৃত্যুহ্রাস, কমিউনিটি ক্লিনিক, ক্ষুদ্রঋণ ইত্যাদি কর্মসূচি দারিদ্র্য দূরীকরণ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করছে এবং এর ফলে বাংলাদেশের নারীরা উন্নয়ন ধারায় সম্পৃক্ত হচ্ছে।
স্পিকার আরো বলেন,নিবেদিতা অ্যাপ নারীদের স্বাস্থ্য ইস্যু, অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ততাসহ বিভিন্ন সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি নিবেদিতা অ্যাপ এর মাধ্যমে চালু হওয়া ইনসিওরেন্স পলিসিতে প্রিমিয়ামের পরিমাণ কম রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রিমিয়ামের পরিমাণ কম হলে বিপুল সংখ্যক নারী এ সেবার আওতায় আসতে পারবে।
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসাডর গধৎপরধ ঝঃবঢ়যবহং ইষড়ড়স ইবৎহরপধঃ, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, গ্রিন ডেল্টা ইনসিওরেন্সের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও ফারজানা চৌধুরী এবং অ্যাডভাইজার নাসির এ চৌধুরী বক্তৃতা করেন।
#
কামাল/মোবাস্বেরা/সাহেলা/গিয়াস/রফিকুল/শামীম/২০১৬/১৫২১ ঘণ্টা
বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৬০
বিশ্ব মানসিক স¦াস্থ্য দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪শে আশ্বিন (৯ই অক্টোবর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১০ই অক্টোবর ‘বিশ্ব মানসিক স¦াস্থ্য দিবস ২০১৬’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মানসিক স¦াস্থ্য দিবস ২০১৬’ উদ্যাপনকে আমি স্বাগত জানাই। দিবসটি পালনের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।
স¦াস্থ্য একটি সমন্বিত বিষয় এবং মানসিক স¦াস্থ্য ব্যতীত সুস¦াস্থ্য অসম্পূর্ণ। আর্থসামাজিক নানা কারণে বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও মানসিক রোগের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যক্তি ও পরিবার যে কোনো ধরনের সংকটে আক্রান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রাথমিক মানসিক স¦াস্থ্য সহায়তা জরুরি। মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সমাজে অন্যান্য ব্যক্তির মতো সম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এবছর বিশ্ব মানসিক স¦াস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মানসিক স¦াস্থ্যে মর্যাদাবোধ-সবার জন্য প্রাথমিক মানসিক স¦াস্থ্য সহায়তা’ (উরমহরঃু রহ গবহঃধষ ঐবধষঃয-চংুপযড়ষড়মরপধষ ধহফ গবহঃধষ ঐবধষঃয ঋরৎংঃ অরফ ভড়ৎ অষষ) যথার্থ হয়েছে বলে আমি
মনে করি।
গ্রামাঞ্চলে মানসিক স¦াস্থ্য বিষয়ে জনগণের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা না দিয়ে ঝাড়ফুঁক বা তাবিজ-কবজের আশ্রয় নেন। কুসংস্কার দূর করে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের মানসিক স¦াস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিকতর দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সকল ধরনের মানসিক রোগের সময়মতো বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা গ্রহণের জন্য আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।
আমি ‘বিশ্ব মানসিক স¦াস্থ্য দিবস ২০১৬’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/মোবাস্বেরা/সাহেলা/গিয়াস/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১২৪০ ঘণ্টা
বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৬১
বিশ্ব মানসিক স¦াস্থ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪শে আশ্বিন (৯ই অক্টোবর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ই অক্টোবর ‘বিশ্ব মানসিক স¦াস্থ্য দিবস ২০১৬’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১০ই অক্টোবর ‘বিশ্ব মানসিক স¦াস্থ্য দিবস ২০১৬’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
মানসিক রোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ অসংক্রামক ব্যাধি। মানসিক রোগের কারণে মানুষের কর্মদক্ষতা হ্রাস, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত ও সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বৈষম্যের শিকার হন। সুযোগের সমতা ও সম্মান থেকে বঞ্চিত হন। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সঙ্কটে প্রাথমিক মানসিক স¦াস্থ্যসেবা শারীরিক স¦াস্থ্যসেবার মত সমান গুরুত্বপূর্ণ। এ দৃষ্টিকোণ থেকে এবারের বিশ্ব মানসিক স¦াস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মানসিক স¦াস্থ্যে মর্যাদাবোধ-সবার জন্য প্রাথমিক স¦াস্থ্য সহায়তা’ (উরমহরঃু রহ গবহঃধষ ঐবধষঃয-চংুপযড়ষড়মরপধষ ধহফ গবহঃধষ ঐবধষঃয ঋরৎংঃ অরফ ভড়ৎ অষষ) অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আমাদের সরকার মানসিক স¦াস্থ্য সেবাসহ সকল ধরণের স¦াস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অধিকার ও সুযোগের সমতা বিধানে বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ সরকারই ২০০১ সালে শেরে বাংলা নগরে জাতীয় মানসিক স¦াস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে যা ছিল মানসিক স¦াস্থ্যসেবার অগ্রগতিতে একটি মাইলফলক। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানসিক স¦াস্থ্যসেবা, মানসিক রোগ চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা মানসিক স¦াস্থ্যসেবাকে প্রাথমিক স¦াস্থ্যসেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছি।
প্রচলিত ভ্রান্ত বিশ্বাস ও কুসংস্কারের ঊর্ধ্বে উঠে সর্বস্তরের জনগণের জন্য বিজ্ঞানসম্মত মানসিক স¦াস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘বিশ্ব মানসিক স¦াস্থ্য দিবস ২০১৬’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/মোবাস্বেরা/সাহেলা/গিয়াস/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১২৪০ ঘণ্টা
বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না