তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১২২
৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিয়ে প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছিল
--শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে পরের প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে না পারে সেজন্য বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে কয়েক দশক ধরে মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছিল। শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছিলেন। সেই মহান নেতাকে সপরিবারে হত্যা করে নির্বংশ করার ষড়যন্ত্র যারা করেছিল পরে রাষ্ট্রীয়ভাবে জনগণের টাকায় তাদেরকে বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
মন্ত্রী আজ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সত্যপ্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ আলোচনা সভায় যুক্ত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে সমস্ত সহচর ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো রকমের প্রলোভনের ফাঁদে পা দেননি তাদের ওপর চালানো হয়েছিল নিষ্ঠুর নির্যাতন। সেনাবাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধা শূন্য করার জন্য সামরিক ট্রাইব্যুনালের নামে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য জয় বাংলা ও বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কারিগরি ও প্রকৌশল শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি তাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আইনে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, জনগণের অর্থে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে একটি এলিট ইনস্টিটিউশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
#
খায়ের/ফারহানা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/২১৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১২১
কেউ অন্ধকারে থাকবে না, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে
-- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
রৌমারী (কুড়িগ্রাম), ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, কেউ অন্ধকারে থাকবে না, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে। যেখানে বিদ্যুতের খুঁটি যাবে, সেখানে বিদ্যুতায়ন করা হবে। আর যেখানে বিদ্যুতের খুঁটি যাবে না, সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এর আওতায় ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৪ হাজার ৭২০ টাকা ব্যয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ১ হাজার ২৬৯টি পরিবারের মাঝে সোলার প্যানেল বিতরণের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমার নির্বাচনি এলাকা রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার ৯৫ শতাংশ পরিবারের মাঝে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট পরিবারের মাঝেও বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।
সোলার প্যানেল বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রৌমারী উপজেলার ঘরে ঘরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, রৌমারী প্রেসক্লাব সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা, রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আহসান আক্তার বাবু মন্ডল এবং যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।
#
রবীন্দ্রনাথ/রাহাত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১২০
বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের চিহ্নিত না করলে তারা আবার ষড়যন্ত্র করবে
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা হলেও এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের চিহ্নিত করতে হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। কুশীলবদের চিহ্নিত করতে না পারলে তারা আবার ষড়যন্ত্র করবে। তাই তাদের চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে দাবিও উঠেছে।
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল শোকসভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
শোকসভায় অংশ নেওয়া আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে উদ্দেশ্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, এই কমিশনের কর্মপরিধি কি হবে, কিভাবে কাজ করবে তা নিয়ে আমাদের এখন থেকেই চিন্তাভাবনা করা উচিত। কারণ এ দায়িত্ব আইন মন্ত্রণালয় ও আইন কমিশনের উপরই পড়বে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের মাধ্যমে কয়েকজনকে ফাঁসি দেওয়া হলেও তাঁকে হত্যা করার কলঙ্ক কিন্তু এখনও মোচন হয়নি। এই কলঙ্ক তখনই মোচন হবে যখন আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারবো।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল-সহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
#
রেজাউল/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১৯
নতুন রাস্তা, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণে উপজেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় করে করতে হবে
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের গ্রামগঞ্জে নতুন পাকা রাস্তা সেতু-কালভার্ট করতে হলে স্ব স্ব উপজেলা পরিষদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিতে আলোচনার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ সাপেক্ষে কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যাতে যত্রতত্র রাস্তা, ব্রিজ নির্মাণ করে বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির ক্ষতি না হয়।
আজ মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর উপর পিসি গার্ডার সেতু এবং চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত সেতুর ডিজাইন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহি অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা যেতে পারে উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে যে প্রতিবেদন দেয়া হবে তা বিবেচনায় নিয়ে রাস্তা এবং ব্রিজ নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হবে। এতে যত্রতত্র রাস্তা-ঘাট এবং ব্রিজ নির্মাণ বন্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন, সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে নদীর নাব্যতা, পানি প্রবাহ ঠিক রাখা, নৌ চলাচল, কৃষি সেচ ও মৎস্য এবং পরিবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং যেখানে সেখানে ব্রিজ নির্মাণ না করে অর্থাৎ আইন অনুযায়ী নির্মাণ করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে প্রধান করে, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ-সহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দেন মন্ত্রী।
নদীর নাব্যতার স্বার্থে বড় বড় নদীগুলোতে ন্যূনতম পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটারের মধ্যে কোন সেতু না করার ব্যাপারে কমিটিকে একটি নীতিমালা করে তার খসড়া মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে বলেন মন্ত্রী। মোঃ তাজুল ইসলাম তিস্তা নদীর উপর নির্মিতব্য পিসি গার্ডার সেতু এবং ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিতব্য সেতু নদীর নাব্যতা, পানি প্রবাহ ও নৌ চলাচল ইত্যাদি বিষয় ঠিক আছে কি না তা পুনর্বিবেচনা করে এই কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদান করতে বলেন।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাথে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরিসহ কুড়িগ্রামের সাথে রাজধানী ঢাকার শহীদ যাতায়াতের দূরত্ব কমিয়ে আনা এবং গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ৮৮৫ দশমিক ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদীর উপর ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অনুমোদন দেয় একনেক।
এছাড়া সভায় চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন ডাকাতিয়া নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পে নদীর নাব্যতা ড্রেজিং পরিবেশ-সহ বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ডিজাইন করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, স্থানীয সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ-দৌলা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ খান, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোতাহের হোসেন, সেতু নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
হায়দার/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১৭
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি জনগণের সার্বক্ষণিক সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে
---প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় গণমানুষের মুক্তি এবং জনসেবাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শকে বুকে ধারণ করে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি জনগণের সার্বক্ষণিক সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সদ্য যোগদানকৃত লেবার এ্যাটাশেদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাসরীন জাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ সামসুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব জাবিন প্রমুখ।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১৮
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুসরণ করে জনসেবাকে অগ্রাধিকার দিয়ে
নিষ্ঠার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে হবে
---প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের “শপথ ফলক” উন্মোচন করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ।
শপথ ফলক উন্মোচনকালে মন্ত্রী বলেন, শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে যা আলোচনা করি তা যদি বাস্তবে পালন করি তাহলেই জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়িত হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুসরণ করে জনসেবাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিষ্ঠার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনোদিন বাংলাদেশের মানুষকে ভুলেননি। তিনি আজীবন মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। তাই বাংলাদেশের মানুষও তাকে কখনো ভুলেনি, কোনোদিন ভুলবেও না।
বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল হাসান বাদল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ সামসুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব জাবিন প্রমুখ।
#
রাশেদুজ্জামান/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১৬
বিএনপিই প্রমাণ করেছে তারা খুনিদের দল
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
‘১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শাহাদতবার্ষিকীতে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি প্রার্থনায় পক্ষান্তরে তার ভুয়া জন্মদিন পালন করে বিএনপিই প্রমাণ করেছে তারা খুনিদের দল’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীর কাকরাইলে সার্কিট হাউজ রোডে তথ্য ভবন মিলনায়তনে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। তথ্যসচিব কামরুন নাহার সভায় সভাপতিত্ব করেন।সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের সশ্রদ্ধ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই এতদিন ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিনের পর তারা সেটি আর পালন না করার ঘোষণা দিলো। আবার গতকাল দেখলাম, ১৫ আগস্ট, যেদিন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হয়েছে, সমগ্র বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় মিলাদ হচ্ছে, হত্যাকারীদের নিন্দায় বিক্ষোভ-সমালোচনা হচ্ছে, সেখানে তারা (বিএনপি) বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ মাহফিল করলো।’
এই মিলাদ আপনারা ১৪ তারিখ করলেন না কেন, ১২ তারিখ বা ১৬ তারিখ করলেন না কেন? -প্রশ্ন করে ড. হাছান বলেন, ‘১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ করে বিএনপি আসলে তার জন্মদিন পালন করেছে, জনগণের চাপে সেটি বলতে লজ্জা লাগছে। এর মাধ্যমেই প্রমাণ হয়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে শুধু জিয়াই যুক্ত ছিল না, খালেদা জিয়ারও সায় ছিল এবং তাদের দলটিই হচ্ছে খুনিদের দল।’
‘বেগম জিয়ার জন্মের বিভিন্ন তারিখের ঘটনা যদি ইউরোপের কোনো রাষ্ট্রে হতো, তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, সংসদ সদস্য হওয়া বা রাজনীতি করারই অযোগ্য হতেন, তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতো’ বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
ড. হাছান বলেন, ‘বেগম জিয়ার পাসপোর্টে একটা জন্ম তারিখ, বিয়ে রেজিস্ট্রারে আরেকটা, ১৯৯১ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় আরেকটা জন্ম তারিখ, শিক্ষাগত সনদে আরেকটা তারিখ। আর সবশেষে এতো দিন বলা নাই-কওয়া নাই হঠাৎ ১৯৯৫ সালে পত্রিকার পাতায় দেখলাম মান্নান ভূঁইয়া ঘোষণা করলেন বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেছেন। তখন থেকে সেই তারিখে তারা কেক কাটেন। একটা মানুষের কয়টা জন্ম তারিখ থাকতে পারে, এ রকম ঘটনা বাংলাদেশে আর কোনো মানুষের জীবনে আছে বলে আমার জানা নেই।’
চলমান পাতা-২
পাতা-২
তথ্যমন্ত্রী এ সময় ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের শহীদ জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল প্রকৃতপক্ষে একটি সদ্যস্বাধীন রাষ্ট্রকে হত্যা করার লক্ষ্যে। সে কারণেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খুব দ্রুত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অভিনন্দন বার্তা আসে, সে কারণেই দেখতে পাই, জুলফিকার আলী ভুট্টো আগস্ট মাসের ১১ কিংবা ১২ তারিখ এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, এ অঞ্চলে একটি বড় পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ হত্যাকারীদের সাথে পাকিস্তানিদের যোগাযোগ ছিল। সে সময় এই হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের উল্লসিত হওয়া, পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশনের, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের কথা বলা -এই ঘটনাগুলোই বলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল একটি সদ্যস্বাধীন রাষ্ট্রকে হত্যার লক্ষ্যে।
‘আর এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত, শুধু ক্যাপ্টেন মাজেদের জবানবন্দিতে নয়, কর্নেল ফারুকের বিদেশে টেলিভিশনের সাথে সাক্ষাৎকারসহ তার বহু প্রমাণ আছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় প্রমাণ, ‘এই বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের তিনি বিদেশে মিশনের চাকরি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ক্যাপ্টেন মাজেদের ভাষ্য অনুযায়ী ‘যাদের বিয়ে-সাদী হয় নাই, তাদের বান্ধবীসহ বিদেশে যাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান’। এরপর সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাস করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়ে বিচারের পথ রূদ্ধ করেছিল জিয়াউর রহমান।’
সুতরাং যারা এই পটভূমি রচনা করেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন আর পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়ে এবং যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তাদেরকে সম্ভাষণ জানিয়ে যারা পত্র-পত্রিকায় কলাম লিখেছিল, শিরোনাম বানিয়ে ছিল, তাদেরও মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন আজ থেকে শতবর্ষ পর ঠিক ইতিহাস জানতে পারে সেজন্য ইতিহাসের কাছে আমাদের দায়মুক্তির জন্য এগুলো জানা প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘সেজন্যই আজকে দাবি উঠেছে একটি কমিশন গঠন করে যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ছিল, তাদের মুখোশটি জাতির সামনে উন্মোচন করা। তাহলে পাঁচশত বছর প্রজন্ম জানবে যে প্রকৃতপক্ষে একটি সদ্যস্বাধীন জাতিকে হত্যা করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল।’
তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব জাহানারা পারভীন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম গোলাম কিবরিয়া সভায় বক্তব্য রাখেন। ‘স্বাধীনতা কী করে আমাদের হলো’ প্রামাণ্যচিত্রটি এসময় মিলনায়তনের চারটি পর্দায় প্রদর্শনের সময় একটি ভাবগম্ভীর আবহ তৈরি হয়। অনুষ্ঠান শেষে তথ্য ভবনের দ্বাদশ তলায় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের বঙ্গবন্ধু প্রদর্শনী গ্যালারি ও জাদুঘর এবং নিচতলায় সংস্থার প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রের নামফলক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী।
#
আকরাম/ফারহানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/১৯২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০১৫
হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের জাতীয় শোক দিবস সভায় তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ আজ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে দেশের সরকারি সংস্থা হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অধিকার আদায়ের সংগ্রাম প্রতিষ্ঠিত করে স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বে দিয়েছিলেন একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য। বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে ষড়যন্ত্রকারীরা।
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে আবার মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমরা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেব -এটিই হচ্ছে আজ আমাদের প্রত্যয়।
হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত কুমার পালের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ রায়, সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ট্রাস্টি সভাপতি অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ট্রাস্টি সভাপতি শ্যামল সরকার, প্রকৌশলী রতন কুমার দত্ত, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ট্রাস্টি রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু, শ্রীমতি রেখা রানী গুণ প্রমুখ সভায় যোগ দেন। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা ও এ উপলক্ষে খাবার বিতরণ করা হয়।
#
আকরাম/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/১৯১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১৪
বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালিদের মধ্যে নয়, সমগ্র বিশ্বের মধ্যে নাম কুড়িয়েছিলেন -- রেলপথমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের উদ্যোগে আজ ঢাকায় রেল ভবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন।
মন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, ইতিহাসের মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বল্প পরিসরে বঙ্গবন্ধুকে বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালিদের মধ্যে নয় বরং সমগ্র বিশ্বের মধ্যে নাম কুড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ছিল। তার রাজনৈতিক দর্শন ছিল গরিব দুঃখী মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন যার লক্ষ্য ছিল বৈষম্যহীন শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার জন্য ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দেশ পুনর্গঠনে কাজে হাত দিয়েছিলেন তখনই তাকে হত্যা করা হয়। তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন শোষণমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত জাতি গঠন করে পৃথিবীর বুকে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে, কিন্তু তাকে সে সুযোগ দেয়া হয়নি। তিনি রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে রেলকে এগিয়ে নিয়ে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করার জন্য।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম রেজা। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ সামসুজ্জামান-সহ অন্যান্যরা বঙ্গবন্ধুর ওপর তাদের বক্তব্য উপস্থাপনা করেন।
#
শরিফুল/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১৩
বঙ্গবন্ধু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি
---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
নাজিরপুর (পিরোজপুর), ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মনে বিশ্বাস করতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, নেতৃত্ব শেখ হাসিনার। বঙ্গবন্ধু সাদা মনের মানুষ ছিলেন, ত্যাগী মানুষ ছিলেন, মানুষের কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়া মানুষ ছিলেন। তিনি বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি।’
আজ পিরোজপুরের নাজিরপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু