Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ মে ২০১৫

তথ্যবিবরণী 12/05/2015

তথ্যবিবরণী                                                        নম্বর : ১৩৬৫
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সাথে নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা,্ ২৯ বৈশাখ (১২ মে):    
    বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিন্স (উৎ. ঞযড়সধং চৎরহু) আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহ্রিয়ার আলম এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।

    সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণে উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বরোপ করে। তিনি বলেন. দেশ হিসেবে জার্মানি বাংলাদেশি রফতানি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার এবং দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে এ পার¯পরিক বাণিজ্যের পরিমাণ আরো  বাড়ানো সম্ভব। মাহমুদ আলী বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহ ব্যক্ত করলে জার্মান রাষ্ট্রদূত তাঁর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।

    অন্যদিকে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রদত্ত সুবিধাদি, পুঁজির উৎস দেশসমূহে মুনাফার প্রত্যাবর্তন, কর রেয়াত ইত্যাদি বিনিয়োগ সুবিধার কথা উল্লেখ করে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি স্থান।

    রাষ্ট্রদূত থমাস প্রিন্স বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বিদ্যমান ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো সম্প্রসারণের জন্য কাজ করবেন বলে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকালে জানান। বাংলাদেশের শিল্পকারখানাসমূহ আধুনিকায়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে জার্মানির সহায়তার ব্যাপারেও তিনি আগ্রহপ্রকাশ করেন।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী উভয়েই রাষ্ট্রদূত প্রিন্সকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তাঁর কর্মকালে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। তাঁরা তাঁর দায়িত্ব পালনকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে সম্ভাব্য সকল ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন এবং তাঁর সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।

#

খালেদা/সাইফুল্লাহ/রফিকুল/রেজাউল/২০১৫/১৮৪৫ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ১৩৬৪
পরামর্শক সভায় ড. মসিউর রহমান
৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের উদ্যোগ অত্যন্ত বাস্তবমুখী

ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে) :
    প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন ও সমন্বিত পর্বত উন্নয়নের আন্তর্জাতিক সংস্থা (ইসিমোড) এর যৌথ উদ্যেগে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে দৃশ্যমান ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সাথে সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ জাতীয় উন্নয়নের মূল ¯্রােতধারায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে।
    ড. মসিউর রহমান গতকাল ঢাকার একটি হোটেলে ৭ঃয ঋরাব ণবধৎ চষধহ ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ঠরংরড়হ ভড়ৎ ঈযরঃঃধমড়হম ঐরষষ ঞৎধপঃং শীর্ষক পরামর্শক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
    পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি  র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের সদস্য ড. সামসুল আলম, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এবং ইসিমোড- এর মহাপরিচালক ডেভিড মোল্ডেন।
    অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের জীবনমানের  কাক্সিক্ষত উন্নয়নে সমন্বিত ও পরিকল্পিত  কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন একান্ত জরুরি। এজন্য সরকারের সাথে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংস্থার সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়নপ্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। তিনি  আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা সম্প্রদায়ের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করেছে। ৭ম পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রস্তাবনায় উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতাকে  অবশ্যই বেগবান করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
    সভায় অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মেসবাহ্ কামাল, ড. অভিজিৎ, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যথাক্রমে ক্য শৈ হ্লা এবং কংজুরী চৌধুরী, বোমাং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী, মং সার্কেলের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন উন্নয়নসহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
#
জুলফিকার/সাইফুল্লাহ/মিজান/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৫/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                         নম্বর : ১৩৬৩

দীর্ঘ প্রতিক্ষিত মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল নৌ-যান চলাচল শুরু
জুন মাসের মধ্যে চ্যানেলটি পুরোপুরি চালু হবে
                                                       -- নৌমন্ত্রী
ঢাকা,্ ২৯ বৈশাখ (১২ মে):    
    
    দীর্ঘ প্রতিক্ষিত মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল নৌ-যান চলাচলের জন্য গত  ৬মে ২০১৫ তারিখে পরীক্ষামূলকভাবে খুলে দেয়া হয়েছে। ১২ মে সকাল ১১টা পর্যন্ত উক্ত চ্যানেল দিয়ে ২শ ৭৬টি নৌ যান চলাচল করেছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে চ্যানেলটি পুরোপুরি চালু করার লক্ষ্যে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হচ্ছে।
নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলে নৌযান চলাচল সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংএ এসব কথা বলেন। এ সময় নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
শাজাহান খান বলেন, মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দেশের একটি অন্যতম নৌ-পথ। যা মংলা সমুদ্র বন্দর এবং খুলনা ও নোয়াপাড়া নদী বন্দরের সাথে দেশের অন্যান্য এলাকার নৌ যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাছাড়া এ নৌ-পথ ভারত বাংলাদেশের নৌ-বাণিজ্য প্রটোকলভূক্ত নৌ-পথের একটি প্রধান অংশ।  তিনি বলেন, গত দেড় দশক ধরে এ নৌ-পথের নাব্যতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রায় ৮৭ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিয়ে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌ যান চলাচল করতে হত। এতে একদিকে যেমন অতিরিক্ত জ্বালানি ও সময় অপচয় হয় অপরদিকে তেমনি অতি মূল্যবান জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হচ্ছে; পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়।
মন্ত্রী বলেন, মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-পথটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এ নৌ-পথের নাব্যতা দীর্ঘমেয়াদে বজায় রাখতে বিশেষজ্ঞগণের মতামতের ভিত্তিতে ড্রেজিং করা হচ্ছে । এ পর্যন্ত ১১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ কিলোমিটার নৌ পথ খনন করা হয়েছে। খননকৃত ১৩ কিলোমিটার এলাকায় ভাটার সময় প্রায় ১২০/১৫০ ফুট প্রশস্ত এবং ৮/১০ ফুট গভীরতার পানি থাকে। তবে দু’একটি স্থানে অতিরিক্ত পলি জমার কারণে উল্লেখিত গভীরতার চেয়ে কম পানি থাকে। মংলা হতে বগুড়া খাল এর নিকট পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার চ্যানেল খননের অবশিষ্ট রয়েছে।
শাজাহান খান বলেন, চ্যানেল ড্রেজিং এর পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট খাল ও খালের বাঁধ/মুখগুলো খনন, রিভার বেসিন ও নেভিগেশন লক করার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিং সম্পন্ন হলে অব্যাহতভাবে মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং চালিয়ে যেতে হবে। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে শুধুমাত্র মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের প্রয়োজন হবে। যা সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।

 

#

জাহাঙ্গীর/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/২০১৫/১৫৩০ ঘণ্টা


 
তথ্যবিবরণী                                                         নম্বর : ১৩৬২
অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে পশ্চাতে রেখে জাতীয় অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা সম্ভব নয়
                                                          -----রাশেদ খান মেনন
ঢাকা,্ ২৯ বৈশাখ (১২ মে):    
    
    বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন  অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে পশ্চাতে রেখে জাতীয় অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা সম্ভব নয় । এ উপলব্ধি থেকেই বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের সমাজের মুল¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য  আইন প্রণয়ন করেছে  এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে।  বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী অথবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিবন্ধীদের সমস্যা ও প্রতিকার  প্রায়ক্ষেত্রেই ভিন্ন হওয়ায়  সকল শ্রেণির সকল প্রতিবন্ধীদের সার্বিক উন্নয়ন  সমানভাবে হচ্ছে না । সকল শ্রেণির প্রতিবন্ধীদের সমস্যা চিহ্নিত করে সমন্বিত প্রতিকারের  বিকল্প নেই ।

    মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিজয় নগরে ঢাকা বধির হাইস্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।

    রাশেদ খান মেনন বলেন , বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ করে ইশারা প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার  উন্নয়নে সরকার বেশ কিছু কার্যক্রম ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করেছে । বাকপ্রতিবন্ধিরা যাতে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে । আমরা তাদের শিক্ষার পাশাপাশি চাকুরিতে কোটা নিশ্চিত করেছি ।

    প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, শিক্ষা প্রকৌশল  অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হামজানা, জাতীয় বধির সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন । বক্তারা বধিরদের জীবনমান উন্নয়নে বধির স্কুলটিকে বধির কলেজে রূপান্তর এবং বিদ্যালয় ক্যাম্পাসটিতে একটি বহুতল একাডেমিক ভবন নির্মাণের দাবি জানান ।

    মন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে সরকারের সদিচ্ছা পুণর্ব্যক্ত করে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রতিবন্ধীসহ সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর ।

#

শেফায়েত/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/২০১৫/১৬১৫ ঘণ্টা


 
তথ্যবিবরণী                                                        নম্বর : ১৩৬১

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকা,্ ২৯ বৈশাখ (১২ মে):    
    
দশম জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ১৫তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, মো. শামসুল হক টুকু, মো. আব্দুল মজিদ খান, তালুকদার মো. ইউনুস এবং সফুরা বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে আলোচিত, জনগুরুত্বসম্পন্ন ও চাঞ্চল্যকর ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নিস্পত্তিতে অস্বাভাবিক বিলম্বের কারণ ও তা নিরসণে অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ১নং সাব-কমিটির অংশ রিপোর্ট (নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পরিদর্শন রিপোর্ট) এর ওপরও আলোচনা করা হয়।

এছাড়া সারাদেশে জমে থাকা মামলা দ্রুত নিস্পত্তির বিষয়ে আইন কমিশনের দু’টি ও সংসদীয় কমিটির একটি প্রতিবেদন পরীক্ষাপূর্বক আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক রিপোর্ট প্রণয়নের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে জানানো হয় ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হচ্ছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে মামলাগুলো নিস্পত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। কমিটি দ্রুত সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করে মামলাগুলো নিস্পত্তি করার সুপারিশ করে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

#

শিবলী/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/২০১৫/১৫৩০ ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর-১৩৬০

শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সামাজিক বিপণন ধারণার প্রসার জরুরি
                                                                - শিল্পমন্ত্রী
 
ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে) ঃ

শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নয়নে সামাজিক বিপণন ও নেটওয়ার্কিং ধারণার প্রসার জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকার উন্নত দেশগুলোতে এ ধারণা জনপ্রিয় করে ইতোমধ্যে সামাজিক কল্যাণ জোরদার করা সম্ভব হয়েছে। সামাজিক বিপণন ধারণা ব্যবসায়ের মুনাফা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভোক্তা সাধারণের স্বার্থ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে বলে অভিমত দেন তিনি।
শিল্পমন্ত্রী আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে “এশিয়ার দেশগুলোতে উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে কর্মরত সংগঠনগুলোতে সামাজিক বিপণন এবং নেটওয়ার্কিং ধারণার প্রসার (ঝড়পরধষ গধৎশবঃরহম ধহফ ঘবঃড়িৎশরহম ভড়ৎ ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃরারঃু ঙৎমধহরুধঃরড়হং/ঘচঙং) শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
শিল্পসচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঞা এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এনপিও পরিচালক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, এপিও প্রতিনিধি হো থো নো (ঐঁড়হম ঞযঁ ঘমড়) এবং এনপিও’র যুগ্ম পরিচালক আব্দুল বাকি চৌধুরী।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ দ্রুত শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষা ও সমাজের উন্নয়নে সরকারের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের প্রচেষ্টা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। সাধারণভাবে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ এবং বিশেষভাবে দেশের সাধারণ জনগণের জন্য মানসম্মত পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় কল্যাণ সাধনে উৎপাদনশীলতা আন্দোলনের ইতিবাচক অবদান রয়েছে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিল্প ও সেবাখাতে উৎপাদনশীলতা যত বাড়বে, উৎপাদন খরচ তত কমবে। ফলে উৎপাদিত পণ্য ও সেবা বাজারে টিকে থাকার জন্য প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা অর্জন করবে। এতে করে শিল্প উদ্যোক্তারা অধিক মুনাফা অর্জনের সুযোগ পাবেন। একই সাথে ক্রেতা-ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে গুণগতমানের সেবা ও পণ্য গ্রহণে সক্ষম হবেন।
চার দিনব্যাপী এ কর্মশালায় এপিও সদস্যভূক্ত দেশ কম্বোডিয়া, রিপাবলিক অভ্ চায়না, ফিজি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাওস, মঙ্গোলিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও স্বাগতিক বাংলাদেশের মোট ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিচ্ছেন। বিভিন্ন দেশে উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে কর্মরত জাতীয় সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে সামাজিক বিপণন ও নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে স্বচ্ছ ও গভীর ধারণা তৈরিতে কর্মশালাটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
#
জলিল/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/শুকলা/রেজ্জাকুল/বিপু/২০১৫/১২৫০ ঘণ্টা

 

Todays handout.doc