Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

তথ্যবিবরণী 13/01/2019

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৩৩
 
যোগ্য ও ত্যাগীদের নিয়োগ দিতে সকল আইন কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে বলা হবে
                                                                         -- আইনমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৩ জানুয়ারি) :
 
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অল্প কিছু দিনের মধ্যে সকল আইন কর্মকর্তাকে (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে শুরু করে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি) পদত্যাগ করতে বলা হবে। এরপর যারা যোগ্য ও ত্যাগী তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। 
 
  মন্ত্রী আজ ঢাকায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোলমডেল বানিয়েছেন। দেশে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিচারহীনতার সংষ্কৃতি দূর করেছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা থাকবো দৃঢ় ও অবিচল। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সুপ্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র। তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর পর দীর্ঘ ২১ বছর দেশে গণতন্ত্র ছিলো না। 
 
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী  শ. ম. রেজাউল করিম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী, এডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি, এডভোকেট সারোয়ার জাহান বাদশা এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, এডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি। 
 
#
 
রেজাউল/নাইচ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/২২৫০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৩২

উন্নত রাষ্ট্র গঠনে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে
                                                   -- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৩ জানুয়ারি) :

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়েছেন, বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাগণকে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। 

আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক উপস্থিত ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, উইং প্রধানসহ সকল কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সদ্য প্রয়াত সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

 বিদায়ি প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক তাঁর বক্তব্যে জনপ্রশাসনের সকল কর্মকর্তাকে বিশ্বমানের যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে উঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নারী কর্মকর্তাদের মূল্যায়নের ব্যাপারে সুদৃষ্টি কামনা করেন, ‘দুষ্টের ধমন শিষ্টের পালন’ এই প্রত্যয়ে বিশ্বাসী হয়ে সকল কর্মকর্তাকে কোনো অন্যায় প্রশ্রয় না দেয়ার উপদেশ দেন। 

নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিদায়ি প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপস্থিত সকল কর্মকর্তাকে অভিনন্দন জানান। 

প্রতিমন্ত্রী সকলের উদ্দেশে ‘দুর্নীতিকে না বলুন’ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রশাসন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

#

মমিনুল/ফারহানা/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :   ১৩১
গার্মেন্টস শিল্পের ২০১৮ সালের ঘোষিত মজুরি কাঠামো সমন্বয় করলো সরকার
ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৩ জানুয়ারি) :
শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরির কয়েকটি গ্রেডে আশানুরূপ মজুরি বৃদ্ধি না পাওয়ায় গার্মেন্টস শিল্পের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার উক্ত গ্রেডগুলোর মজুরি সমন্বয় করেছে।
আজ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এর সভাপতিত্বে মজুরি সমন্বয়ের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত ছিলেন।
দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি গার্মেন্টস শিল্প এবং এ খাতের শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয় বিবেচনায় সরকার দ্রুত ত্রিপক্ষীয় মজুরি সমন্বয় কমিটি গঠন করে। কমিটির পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে সকল পক্ষের সুবিধাজনক অবস্থান বজায় রেখে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে শ্রমিকদের স¦ার্থে ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর গ্রেডে মজুরি সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শ্রমিকবান্ধব সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডের সঙ্গে ১ এবং ২ নং গ্রেডের মজুরি সমন্বয়েরও নির্দেশ প্রদান করেন। ফলে সমন্বয়ের পর প্রতিটি গ্রেডেই মজুরি যৌক্তিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
সকল পক্ষের সহযোগিতায় কমিটি একটি সন্তোষজনক সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। গার্মেন্টস শিল্পের উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য শ্রমিকরা আজই কাজে যোগ দেবেন বলে আশা করছে সরকার । উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এর সদস্য এবং এর বাইরের বন্ধ করে দেয়া সকল কারখানা খুলে দেয়া হবে বলে মালিকপক্ষ ঘোষণা দিয়েছেন।
মজুরি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৩ সালের নি¤œতম মজুরি কাঠামো থেকে ২০১৮ সালের ঘোষিত মজুরি কাঠামো সমন্বয়ের ফলে মোট মজুরি ১ম গ্রেডে বৃদ্ধি পেল ৫ হাজার ২৫৭ টাকা, ২য় গ্রেডে বৃদ্ধি পেল ৪ হাজার ৫১৬ টাকা, ৩য় গ্রেডে ৩ হাজার ৪০ টাকা, ৪র্থ গ্রেডে বৃদ্ধি পেল ২ হাজার ৯২৭ টাকা, ৫ম গ্রেডে বৃদ্ধি পেল ২ হাজার ৮৩৩ টাকা, ৬ষ্ঠ গ্রেডে বৃদ্ধি পেল ২ হাজার ৭৪২ টাকা এবং ৭ম গ্রেডে বৃদ্ধি পেল ২ হাজার ৭০০ টাকা। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করা হবে। এ মজুরি গত ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। ডিসেম্বরের অতিরিক্ত মজুরি জানুয়ারির বেতনের সাথে যোগ করে ফেব্রুয়ারিতে প্রদান করা হবে।
বৈঠকে সংসদ সদস্য সালাম মুর্শিদী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম, বিজিএমইএ এর সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মোঃ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
#
আকতারুল/ফারহানা/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/২০৫০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৩০

উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে
                                     -- এলজিআরডি মন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৩ জানুয়ারি) :

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জনগণের করের টাকায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি প্রকল্প প্রণয়নের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করতে হবে। উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। প্রকল্পের সুফল যেন জনগণ পায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

মন্ত্রী আজ বিকালে সচিবালয়স্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত দশ বছরে দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার ফল জনগণ পাচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। 

মন্ত্রী আরও বলেন, স্থানীয় সরকারের প্রতিটি স্তরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। কর্মচারীদের ডিজিটাল উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হবে। স্থানীয় সরকারের প্রতিটি স্তরের সেবামূলক কাজে অবহেলা করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ‘ভিশন ২০২১’ এসডিজি বাস্তবায়নসহ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।

#

জাকির/ফারহানা/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১২৯
একপেশে সমালোচনা কখনো কল্যাণকর হয় না
                                     -- তথ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৩ জানুয়ারি) :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘আমরা সব ধরনের সমালোচনাকে সমাদৃত করি। 'সমালোচনা পথচলাকে শাণিত করে, তবে অন্ধ আর একপেশে সামালোচনা কল্যাণকর হয় না, আর সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ’
মন্ত্রী বলেন, 'জামায়াতের প্রার্থীদের সঙ্গে একই প্রতীকে নির্বাচন করা ভুল ছিল বলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন যে উপলব্ধি করেছেন, সে জন্য তাকে ধন্যবাদ।'
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সমন্বয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের একথা বলেন। তথ্যসচিব আবদুল মালেক সভাটি সঞ্চালনা করেন।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের 'জামায়াত প্রার্থীদের সঙ্গে একই প্রতীকে নির্বাচন করা ভুল ছিল' মন্তব্যের সূত্র ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ড. কামাল হোসেনের স্বীকারোক্তিতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, তাঁরা রাজনীতিতে পদে পদে ভুল করছেন। সেটি নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন।’
এ সময় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে সাংবাদিকদের আতঙ্ক আছে প্রসঙ্গ তুলে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আতঙ্ক যাতে না থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করবো।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে দেশ আজ বিস্ময়করভাবে এগিয়ে গেছে। দেশেকে আরো এগিয়ে নিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার দরকার। এখানে গণমাধ্যমের দায়িত্বও অনেক বেশি।'
সোমবার প্রেসক্লাবে যাচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী
জাতীয় প্রেসক্লাবের নতুন পরিষদের সাথে মতবিনিময় করতে সোমবার দুপুরে প্রেস ক্লাবে যাচ্ছেন নবনিযুক্ত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। এদিন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের সাথেও কথা বলবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে শুরুতেই প্রেস ক্লাবে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের ব্রিফ করবেন তথ্যমন্ত্রী।
#
আকরাম/ফারহানা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১২৮
 
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার
                                                        -- আইনমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৩ জানুয়ারি) :
 
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যে কোনো অপরাধী যারা বিদেশে পালিয়ে আছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা খাটানোর ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত তৎপর বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আপিলে থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলো দ্রুত কার্যতালিকায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
 
আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৩৮তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। 
 
অনুষ্ঠানে বিচারকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তি করে সে বিষয়ে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তির পরামর্শ দেয়-- সেসব দেশের আদালতগুলো এবং এই পরামর্শের কারণে সেখানে শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধ/মামলা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হয়। এভাবে তাদের জুডিসিয়ারির ওপর চাপ কমে আসছে।
 
মন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচারকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। কেবল আইনের শাসনই নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্র সুসংহতকরণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণেও জুডিসিয়ারি বিশেষ করে কোয়ালিটি জুডিসিয়ারির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই জনগণকে কোয়ালিটি জুডিসিয়ারি উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার বিচার বিভাগকে সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মামলাজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে  নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে।
 
বিচারকদের বিন্দুমাত্র লোভ কিংবা অসততার কারণে বিচার বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে যাতে কোনো হতাশা বা বিরূপ ধারণার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেন মন্ত্রী।  তিনি আরও বলেন, বিচারকদের পেশার গুরুত্ব যথাযথভাবে অনুধাবণ করেই বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
 
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশের জš§ হয়েছিল বলেই আমরা একেকজন আজ বিভিন্ন উচ্চতর পদে আসীন হতে পেরেছি। বিচারকরাও এর ব্যতিক্রম নন। তাই পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশের উন্নয়ন পরিপন্থী কর্মকা-ের সমর্থন তো দূরের কথা, এরূপ চিন্তারও যাতে উদ্রেক না হয়  সে বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের সজাগ থাকার অনুরোধ জানান তিনি। 
 
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক উপস্থিত ছিলেন। 
#
 
রেজাউল/ফারহানা/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৮৫০ ঘণ্টা
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১২৭
 
রাজউককে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে
                            -- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৩ জানুয়ারি) :
 
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, সেবার মান উন্নত করে রাজউককে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। বর্তমানে সেবাপ্রত্যাশীদের যে অনাকাক্সিক্ষত বিলম্বের শিকার হতে হয় তা দূর করতে হবে। এ জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতা বাড়াতে এবং আরো গতিশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। 
 
আজ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সভাকক্ষে প্রতিষ্ঠানের চলমান প্রকল্প এবং অন্যান্য কার্যক্রম নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আলোচনাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই তাঁর প্রথম রাজউকে বৈঠক। 
 
শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, এখানে মেধাবী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করেন। তাই কাজে স্থবিরতা, দুর্নীতি বা অনিয়ম কোনোভাবেই কাম্য নয়। মুষ্টিমেয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম বা দুর্নীতির কারণে গোটা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি খাটো হয়। এদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানের আইন ও নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে স্বচ্ছতার সাথে দ্রুত সেবা প্রদানে সকলকে তৎপর হতে হবে। কারো রাজনৈতিক বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠানের কাজের সাথে মেলানো যাবে না। কোনো বিষয়ে অনিয়ম বা গাফিলতির অভিযোগ এলে সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 
মন্ত্রী এ সময় রাজউকের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা সমস্যা সম্পর্কে 
খোঁজখবর নেন। সভায় জানানো হয় যে, রাজউকের আটটি জোনের মধ্যে দুইটিতে নকশা অনুমোদনে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে আটটি জোনেই এ সুবিধা চালু করা হবে।
 
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আখতার হোসেন, মোঃ ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, রাজউকের সদস্যগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
 
এর আগে মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখা আকস্মিকভাবে পরিদর্শন করেন। এ সময়ে তিনি বিভিন্ন শাখার কাজের খোঁজখবর নেন এবং শাখায় অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।
 
#
 
কিবরিয়া/ফারহানা/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৮৪০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১২৬
 
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে
                                             -- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৩ জানুয়ারি) :
 
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে গোটা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোলমডেল। দেশের সকল ক্ষেত্রেই এখন সফলতা দৃশ্যমান। এই উন্নয়নের জোয়ারে দেশের এক শ্রেণির মানুষ অবহেলিত থাকবে, পিছনে থাকবে তা হতে পারে না। দেশের প্রতিটি জেলার প্রতিবন্ধী, বিধবা, বয়স্ক ও অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের তালিকা করার কাজ শেষের পথে। আগামী পাঁচ বছরেই দেশের সকল পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়ন ঘটিয়ে সমাজের মূল ¯্রােতধারার মানুষের সাথে সম্পৃক্ত করা হবে। প্রতিবন্ধী, বিধবা বলে এই সমাজে কেউ নিজেকে আর অসহায় ভাবতে পারবে না। প্রতিটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নিজ নিজ কর্মসংস্থান ঘটবে।
 
মন্ত্রী আজ লালমনিরহাট সার্কিট হাউজে জেলার সংবাদকর্মী ও সুশীল সমাজের সাথে ‘নির্বাচন-পরবর্তী উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
 
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আরিফের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল হক।
 
#
 
মাইদুল/ফারহানা/মোশারফ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৮৩০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১২৫ 
 
নথি নিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে ছাড় দেয়া হবে না
                              --  এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৩ জানুয়ারি) :
 
নথি নিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্রের আদলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিটি দপ্তর ও সংস্থায় ১০০ দিনের কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া প্রতিটি দপ্তর ও সংস্থা দুর্নীতি মুক্তকরণের ঘোষণা দেয়া হয়। 
 
প্রতিমন্ত্রী আজ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বিভাগের বিভিন্ন কর্মকা-ের উপস্থাপনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় সমবায় বিভাগের সচিব ড. কামাল উদ্দিন তালুকদারসহ বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা ও প্রকল্পসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
 
এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচন পূর্ব অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামকে শহরের আদলে গড়ে তুলতে সহায়ক হিসেবে প্রকল্প পরিচালকদেরকে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের দিক-নির্দেশনা দেন। তিনি সকল দপ্তর, সংস্থা ও প্রকল্পসমূহের মধ্যে নিবিড় সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ ব্যাপারে কোনো প্রকার গাফিলতি বা শৈথিল্যতা বরদাশ্্ত করা হবে না।
 
এর আগে বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
 
#
 
আহসান/ফারহানা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৮২০ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১২৪
 
উন্নত জাতি গঠনে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই
                              --  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৩ জানুয়ারি) :
 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, উন্নত জাতি গঠন করতে হলে মানসম্মত  প্রাথমিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে শিক্ষার মূলভিত্তি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ভবিষ্যতে মেধাসম্পন্ন মানুষ তৈরির জন্য মায়েদের অপুষ্টি দূর করতে মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থা করেছে। 
 
  প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে তাঁকে দেয়া এক সংবর্ধনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
 
  সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন ও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ) মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তাফা কামাল এনডিসি। 
 
    প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের সড়কে যেভাবে এগিয়ে চলছে তাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আর বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন, উন্নয়নের মূলভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে তিনি শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, ইতিমধ্যে সরকার  সকলের  জন্য শিক্ষা দিতে পেরেছে। মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করা এখন সরকারের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য অচিরেই নিরসন করা হবে। শীঘ্রই দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত  নতুন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা হবে। এ বছর আরো ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে বর্তমানে বিদ্যমান শিশুদের বয়স ৫ বছরের পরিবর্তে ৪ বছর করা হবে।
 
#
 
রবীন্দ্রনাথ/ফারহানা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১২৩  
বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি’র মধ্যে ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৩ জানুয়ারি) :
বাংলাদেশ সরকার এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় বাস্তবায়িতব্য ‘জঁৎধষ ঈড়হহবপঃরারঃু ওসঢ়ৎড়াবসবহঃ চৎড়লবপঃ’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুকূলে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দুটি ঋণচুক্তি আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমদ এবং এডিবি’র পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর গধহসড়যধহ চধৎশধংয ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি’র সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।   
প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ২৮৫.৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে এডিবি ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ হিসেবে প্রদান করবে। অবশিষ্ট ৮৫.৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ সরকার যোগান দেবে। এডিবি প্রদেয় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহজ শর্তের ঙৎফরহধৎু ঙঢ়বৎধঃরড়হং [ঈড়হপবংংরড়হধষ] খড়ধহ (ঈঙখ) হিসেবে প্রদান করা হবে। ঈঙখ ঋণের সুদের হার ২%। অবশিষ্ট ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ৎবমঁষধৎ ঙঈজ হিসেবে প্রদান করা হবে। ঙৎফরহধৎু ঈধঢ়রঃধষ জবংড়ঁপবং (ঙঈজ) ঋণের সুদের হার খওইঙজ (খড়হফড়হ ওহঃবৎ ইধহশ ঙভভবৎবফ জধঃব) ভিত্তিক। এছাড়া, ০.১০% হারে ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম ও অব্যয়িত অর্থের ওপর ০.১৫% হারে কমিটমেন্ট চার্জ ঙঈজ ঋণের জন্য প্রযোজ্য হবে। উল্লেখ্য, এডিবি প্রদেয় এ ঋণ ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছর পরিশোধযোগ্য।   
স্থানীয় সরকার বিভাগ উল্লিখিত প্রকল্পের উদ্যোগী বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০১৮ হতে জুন ২০২৩ পর্যন্ত। প্রকল্পটি গত ৯ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। 
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো উৎপাদনশীল কৃষি এলাকায় উচ্চ আয় সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক কেন্দ্রে যাতায়াত সুগম করতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ সংযোগ উন্নয়ন করা এবং কার্যকর প্রশিক্ষণের 
মাধ্যমে অংশীজনের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে ২২১০.০০ কি. মি. উপজেলা সড়ক এবং ৪৯৫.০০ কি. মি. ইউনিয়ন সড়ক অবকাঠামোসমূহকে জলবায়ু সহিষ্ণু এবং নিরাপত্তার বৈশিষ্ট্য সম্বলিত আবহাওয়া উপযোগী মান-এ উন্নীত করা হবে। 
আলোচ্য জঁৎধষ ঈড়হহবপঃরারঃু ওসঢ়ৎড়াবসবহঃ চৎড়লবপঃ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগের ৮টি জেলা, ঢাকা বিভাগের ৫টি জেলা, খুলনা বিভাগের ৭টি জেলা, রাজশাহী বিভাগের ৬টি জেলা এবং রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার সর্বমোট ১৮০টি উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।   
#
জেহাদ/অনসূয়া/শাম্মী/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৯/১৬০০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১২২
বিএবি’র বার্ষিক প্রতিবেদন এর মোড়ক উন্মোচনে শিল্পসচিব
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালনের নির্দেশ
ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৩ জানুয়ারি) :
রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ তথা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করার জন্য বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম। তিনি বলেন, জাতীয় অ্যাক্রেডিটেশন কর্তৃপক্ষ হিসাবে দেশের মান অবকাঠামো ও সাজুয্য নিরূপণ পদ্ধতির উন্নয়ন, দেশীয় পণ্য ও সেবার মানোন্নয়ন নিশ্চিতকরণ, ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা প্রদান এবং আমদানিকৃত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড। 
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন ও ২০১৮ সালের ২য় ষান্মাসিক নিউজলেটার এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব এ মন্তব্য করেন। শিল্প মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে আজ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএবি’র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ মনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার প্রধান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিএবির সকল কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
শিল্পসচিব বলেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন আইন অনুযায়ী বোর্ডের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার লক্ষ্যে প্রতিবছর বিএবি বার্ষিক প্রতিবেদন এবং নিয়মিত ষান্মাসিক নিউজলেটার প্রকাশ করে থাকে যার মাধ্যমে বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম, গঠন কাঠামো, বাজেট, কার্জপরিধি, কর্মবিন্যাস এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রতিফলিত হয়। বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা যা দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৬ সালে, ‘বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন আইন, ২০০৬’ অনুযায়ী গঠিত হয়। 
বিএবি’র মহাপরিচালক মোঃ মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এর কার্যক্রমের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিস্বরূপ টেস্টিং এবং ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশন (এপিএসি) (প্রাক্তন এপলাক) ও আন্তর্জাতিক ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন 
কো-অপারেশন (আইলাক) এর পূর্ণ সদস্যপদ অর্জনসহ ২০১৫ সালে পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি (এমআরএ) স্বাক্ষর করেছে। এতে করে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিএবি’র কার্যক্রম স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কারিগরি বাধা (টিবিটি) অপসারণের মাধ্যমে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করছে। 
#
তৌহিদুর/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৯/১৬১১ ঘণ্টা  
Todays handout (7).docx