তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৫৩৪
নগর পরিকল্পনায় নারী পরিকল্পনাবিদদের এগিয়ে আসতে হবে
-মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে নারী-পুরুষ উভয়ের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। নগর পরিকল্পনায় নারী পরিকল্পনাবিদদের এগিয়ে আসতে হবে।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স এর উদ্যোগে আয়োজিত নারী পরিকল্পনাবিদ এবং নবীন নারী নেতৃত্ব সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবনের বাস্তবতায় বাংলাদেশ বর্তমানে এ বিষয়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। নারী সমাজেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশ যেমন এগিয়ে যাবে, তেমনি দেশের উন্নয়নে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও নারীর অবদান দৃষ্টিগোচর হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব বিকাশ পৃথিবীর সব কিছুতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রযুক্তি মানুষের জীবন ধারাকে বদলে দিচ্ছে মুহূর্তেই। এই বাস্তবতায় সমভাবে এগিয়ে আসতে হবে নারীকেও। সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে রাষ্ট্র এবং সমাজকে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার বার্তা, নারী-পুরুষ সমতা’ স্লোগানকে সামনে রেখে নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে আমাদের মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ অধিদপ্তরসমূহ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন, নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলাসহ নেয়া হয়েছে অনেক পদক্ষেপ। এছাড়াও নারীকে দেশের সকল উন্নয়নের স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে দেশের সকল উপজেলায় মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের আওতায় ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ কার্যক্রম সফলতার সাথে চলমান রয়েছে। একইসাথে, মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্যাতিত, দুঃস্থ ও অসহায় মহিলা এবং শিশুদের চিকিৎসা, আইনি সহায়তা ও আত্ম-কর্মসংস্থানমূলক কাজের জন্য গঠন করা হয়েছে বিশেষ তহবিল।
#
আলম/পাশা/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২১৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৫৩৩
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ৯৯৯-এর জরুরি সেবা গ্রহণ করুন
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। নির্বাচন চলাকালে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষভাবে তৎপর থাকবে। প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করে এই জরুরি সেবা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
৯৯৯-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য কিংবা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
#
হাবিবুল/পাশা/শফি/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২১১০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৪৫৩১
নিম্ন মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মৌলিক ন্যূনতম শিক্ষা অধিকার নিশ্চিতে
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করবে
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে, মৌলিক নূন্যতম শিক্ষা অধিকারের ধাপ প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করবে।
বর্তমানে প্রাথমিক থেকে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি ও নানান আর্থ সামাজিক কারণ ও প্রক্রিয়াগত কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়ার হার রোধ করতে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক বা নামমাত্র ব্যয়ে করার ব্যবস্থা করার বিষয়ে শিক্ষানীতি ২০১০ এ বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আজ এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সম্মত হয়েছে দুই মন্ত্রণালয়।
এই লক্ষ্যে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অবৈতনিক শিক্ষা তথা পাঠদান কার্যক্রম ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে কাজ করবে।
আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হালিম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণায়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
খায়ের/পাশা/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৪৫৩০
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):
বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ড্রা বার্জ ভন লিন্ডে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত গ্রিন ট্রানজিশন, নবায়নযোগ্য জ¦ালানি ও সুইডেনের অবস্থান নিয়ে আলোচনাকালে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে তৈরিপোশাক খাতে বাংলাদেশের সাথে সুইডেন ও সুইডেনের কোম্পানি কাজ করছে। এর মাঝে ঐ্গ, ওকঊঅ ও খরহফবী অন্যতম। বাংলাদেশ ও সুইডেন যৌথভাবে তৈরিপোশাক খাতে গ্রিন ট্রানজিশনের জন্য অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে পারে। কীভাবে নবায়নযোগ্য জ¦ালানিতে আরো অবদান রাখা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ¦ালানির প্রসারে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। নবায়নযোগ্য জ¦ালানি উৎস থেকে ১২ হাজার ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন চলমান ও প্রক্রিয়াধীন। ৩ হাজার ২৫৩ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চলমান এবং আরো ৭ হাজার ৮৬১ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বায়ু বিদ্যুৎ নিয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন, যদিও ইতোমধ্যে উইন্ড ম্যাপিং সম্পন্ন হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের শতকরা ৪০ ভাগ হবে পরিষ্কার বিদ্যুৎ। আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ সহনীয় মূল্যে সকলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা। নবায়নযোগ্য জ¦ালানির জন্য বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। স্মার্ট গ্রিড এবং সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আরো আধুনিক করা দরকার। সরকার চেষ্টা করছে, জাতীয় গ্রিডে নবায়নযোগ্য জ¦ালানির অংশ বাড়াতে।
সাক্ষাৎকালে সুইডেন দূতাবাসের পলিটিক্যাল, ট্রেড এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান লভিসা হোফম্যান উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/পাশা/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫২৯
তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক
জাতীয় গাইডলাইন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে
---স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে ):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, এই তাপপ্রবাহ এইবারই শেষ নয়। আগামী বছরগুলোতেও এমন গরম আবার আসতে পারে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক আজকে তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক গাইডলাইন খুবই সময়োপযোগী। এখানে বর্ণিত নির্দেশিকা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সকল সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে মন্ত্রী উপস্থিত সুধীবৃন্দের প্রতি একথা বলেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এই তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন বাচ্চারা আর বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়বেটিক, হার্টডিজিস বা বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই নির্দেশ ইতোমধ্যে আমি দিয়েছি।
নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অত্যধিক বেশি। এর কারণ, আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে ঢাকা শহরে গাছপালা সব কেটে সাবাড় করে ফেলেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু, নগর পরিকল্পনা করার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশে পরিত্রাণ সম্ভব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।
#
পবন/পাশা/শফি/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৯৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৫২৮
সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
বাগেরহাট, ২২ বৈশাখ (৫ মে):
বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ক্যাম্পের বনাঞ্চলের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন গাছের উপরে বা ডালপালায় বিস্তৃত হয়নি, শুধুমাত্র মাটির উপরে বিক্ষিপ্তভাবে বিস্তৃত হয়েছে। ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট, নৌবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সিপিজি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণ অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা প্রদান করছেন। এছাড়া, বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও অগ্নিনির্বাপণে উপর থেকে পানি ছিটিয়ে সহায়তা করেছে।
আজ আগুন লাগার ঘটনা প্রথম উদ্ঘাটিত হয়। আগুন লাগার ঘটনা জানার সাথে সাথে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছান। বন বিভাগের কর্মীগণ স্থানীয় কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আগুন লাগার চারপাশে ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু করেন। কিন্তু উক্ত সময় ভাটার কারণে খালে কোনো পানি না থাকায় আগুনে পানি দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে রাতেই বন বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুপমেন্ট ও পানি দেয়ার মেশিনে এনে সেটি রেডি করে পাইপ লাগিয়ে সেট করে রাখা হয়। আজ ভোর হতেই বন বিভাগের কর্মীগণ, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় জনগণ, সিপিজি, সিএমসির লোকদের নিয়ে আগুন লাগার স্থানে চারদিকে ফায়ার লাইন কাটার পাশাপাশি পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ পুরোদমে শুরু করেন।
আগুন লাগার স্থানের চারদিকে প্রায় ৫ একর জায়গা জুড়ে ফায়ার লাইন কেটে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তবে যেহেতু আগুন মাটির নিচ দিয়ে গাছের শিকড়ের মধ্যে দিয়ে বিস্তৃতি লাভ করছে কাজেই সতর্কতার সাথে আগুন নিভাতে হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগামী কয়েক দিন এখানে অগ্নিনির্বাপণ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলমান রাখা হবে। কেননা ফরেস্ট ফায়ার আপাতত নিভে গেছে বা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে মনে হলেও আবার যে কোনো সময় এটি নতুনভাবে সৃষ্টি ও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয়ে তদন্তের জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ সুন্দরবনের আগুননির্বাপণ কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি ও সমন্বয় করছেন। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবহিত আছেন এবং তিনি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। এ কর্মকাণ্ড সরেজমিনে তদারকি করতে প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী সুন্দরবনের ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি ও কর্মপন্থা বিষয়ে আজ সন্ধ্যা সাড়ে আটটায় খুলনায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন।
#
দীপংকর/পাশা/শফি/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৯৩২ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৪৫২৭
অভিবাসন সংক্রান্ত অপতথ্য রোধে বাংলাদেশ-ইতালি একসঙ্গে কাজ করবে
--- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):
অভিবাসন সংক্রান্ত অপতথ্য রোধে বাংলাদেশ-ইতালি একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তিনিও আলেসান্দ্রোর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, অভিবাসনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় যেটি উঠে এসেছে তা হলো, একটা গোষ্ঠী যারা মানবপাচারকারী তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপতথ্য ছড়িয়ে মানুষকে লোভে ফেলে। মিথ্যাচার করে ফেইক নিউজের মাধ্যমে। লোভে পড়ার ফলে মানুষ ফাঁদে পড়ে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়, এমনকি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যতো অপতথ্য, ফেইক নিউজ ও গুজব আছে, শুধু অভিবাসনের ক্ষেত্রে যারা মানবপাচারের শিকার হয় তারাই নয় বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষরা এগুলোর শিকার হয়। এ বিষয়ে কীভাবে বাংলাদেশ-ইতালি একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত একমত হয়েছেন যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপতথ্যের প্রচার যেভাবে হয়, দিনশেষে মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সেটা অভিবাসনের ক্ষেত্রে বা অন্য যেকোনো ক্ষেত্রেই হোক। এ বিষয়ে দুই দেশ কীভাবে একসাথে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের আইন-কানুন যেগুলো আছে সেগুলো তারা শেয়ার করবে। অপতথ্য রোধ করার জন্য আমরা যে উদ্যোগ নেবো সেগুলো তারা সমর্থন করবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মানবপাচার অপতথ্যের একটা ফলাফল। এই ধরনের ফলাফলের মধ্যে যাতে মানুষ না পড়ে। অপতথ্য শুধু রাজনীতি বা দলীয় রাজনীতির বিষয় না। সমাজের বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ অপতথ্যের শিকার হয়ে বিপদে পড়ে। গ্রামে-গঞ্জে অনেক নারী-শিশু অপতথ্যের শিকার হয়ে বিপদে পড়ে। অনেক সাধারণ মানুষ অপতথ্যের শিকার হয়ে অবৈধ অভিবাসনের রাস্তা বেছে নিয়ে বিপদে পড়ে। যে কারণে সঠিক তথ্যের জায়গায় আমাদের সাথে আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র এবং দেশের মধ্যে অংশীজন যারা আছেন তাদের মধ্যে একটা সমঝোতা থাকা দরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালির একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির অন্যান্য ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিনিময়ে হতে পারে। ইতালির ভেনিস শহরে বড় ধরনের উৎসব হয়। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে কীভাবে আমরা বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারি সে বিষয়েও ইতালির রাষ্ট্রদূত আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং সে বিষয়ে তারা সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন।
বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর সূচক প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। কিন্তু এই সূচকের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যাবে যদি পদ্ধতিগত দুর্বলতা থাকে। আমি তাদের অনুরোধ করবো তারা যাতে বিশ্বাসযোগ্যতার স্বার্থে পদ্ধতিগত দুর্বলতা উতরে যেতে পারে এবং তথ্য নেওয়ার পর তা যাচাই করে। আরএসএফ-এর এ বছরের প্রতিবেদন এসেছে গতবছরের কার্যক্রমের ওপর। তাদের নির্ণয় প্রক্রিয়াতে তারা কোনো পরিবর্তন আনেনি। দশ-বারো জন মানুষের একটা মতামত নিয়ে সূচক তৈরি করলে, এটা গোটা দেশের চিত্র হতে পারে না। এ মতামতগুলো কার কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে, কত জনের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে, সেখানে কারা আছে এটার কোনো স্বচ্ছতা সেখানে নেই। আরএসএফ এর সূচক তৈরির পদ্ধতি খুবই দুর্বল একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে প্রকৃত চিত্রের প্রতিফলন হয় না। আরএসএফ এর এ ধরনের পদ্ধতিতে সূচক প্রকাশ গণমাধ্যমের পরিবেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে পারছে না। এ পদ্ধতিতে গলদ আছে, ভুল আছে। সেটা আমরা তাদের কাছে তুলে ধরবো।
#
ইফতেখার/পাশা/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৫২৬
অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল ব্যবহার বন্ধ করা হবে
- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):
অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
আজ চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান আহমেদ অডিটোরিয়ামে সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত অংশীজনের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী একথা জানান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, কোনোক্রমেই অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। এসব জাল ব্যবহার করে মাছের ডিম পর্যন্ত তুলে ফেলা হচ্ছে এবং দেশের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের স্বার্থে, অবৈধ জালের বিস্তার অবশ্যই রোধ করতে হবে। তা করা না গেলে আমাদের কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সামুদ্রিক মৎস্য রক্ষার্থে কোনো অবস্থাতেই অবৈধ উপায়ে ও অবৈধ জাল ব্যবহার করা যাবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। তিনি আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি এটিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ ধরে ফেললে কোনো প্রযুক্তিই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা যথাযথভাবে পালনের জন্য অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, এবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন নৌযান কর্তৃক সাগরে সকল ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে।
অংশীজনের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হ্রদ, নদী ও সাগরের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার উন্নয়নে যা কিছু করার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তার সব কিছুই করা হবে। তবে এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আপনাদের।
মন্ত্রী বলেন, সাগরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। তবে এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় আন্তরিক রয়েছে বলে জানান তিনি। জাহাজের মালিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে জটিলতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান।
এর আগে চট্টগ্রামে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের আওতায় ১০ তলা ভিতবিশিষ্ট সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর ও ফিশারিজ সেন্টার অভ্ এক্সিলেন্স এবং বিএফডিসি অকশন শেড কাম ট্রেনিং সেন্টার এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
মৎস্য মন্ত্রী চট্রগ্রাম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ মৎস্য সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের পরিচালক মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী। এছাড়া মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
নাজমুল/পাশা/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৫২৫
আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর
অত্যাচার ও নির্যাতন সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে
--মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পাকিস্তানিরা যেভাবে এদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি লোক মাতৃভূমি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে চলে গিয়েছিলেন। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতের জনগণ যেভাবে আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল, নিরাপত্তা দিয়েছিল, থাকার ব্যবস্থা করেছিল, সেই চিত্র যারা সচক্ষে দেখেননি তাদের বোঝানো কঠিন। বরেণ্য চিত্রশিল্পী রঘু রাই-এর ‘রাইজ অভ্ এ নেশন’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষের নিদারুণ কষ্ট, জীবন বাঁচানোর যে আকুতি, সেটি ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি বলেন, এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে অত্যাচারের চিত্র কিছুটা হলেও নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে এবং গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ক্ষেত্রে এ চিত্রকর্ম সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দুর্জয় বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বিশ্বখ্যাত ভারতীয় আলোকচিত্রী রঘু রাই-এর ‘রাইজ অভ্ এ নেশন’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা আমাদের মহান পবিত্র ধর্মকে কলঙ্কিত করে, অপব্যাখ্যা করে, ধর্মে যা আছে তার বিপরীত ব্যাখ্যা করেছে। এগুলো তারা মৌখিকভাবে বলেনি, লিখিত ফতোয়া দিয়েছে। পাকিস্তান না থাকলে ইসলাম ধর্ম থাকবে না। তারা ভাষা আন্দোলনের সময়ও একই কথা বলেছিল, বাংলা যদি রাষ্ট্রভাষা হয় ইসলাম ধর্ম থাকবে না। বর্তমান সময়েও অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিলুপ্তির পথে। এ ধরনের উদ্যোগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এর উপাচার্য ড. রুবানা হক, স্কয়ার গ্ৰুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং দুর্জয় বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা দুর্জয় রহমান বক্তৃতা করেন।
পরে মন্ত্রী চারুকলা অনুষদের জয়নুল আবেদীন গ্যালারিতে রঘু রাই-এর একক চিত্রপ্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। প্রদর্শনীতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তোলা ৫২ টি চিত্রকর্ম স্হান পায়।
#
এনায়েত/পাশা/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৫২৪
দেশের সার্বিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে
সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে
---অর্থ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার বিনিয়োগ ও উদ্যোক্তাবান্ধব, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন যুগোপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ ও স্থিতিশীল আর্থসামাজিক অবস্থা বজায় রাখতে সরকারের সাফল্য প্রশংসনীয়। দেশের সার্বিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ও দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘ফার্স্ট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ঢাকা ২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে দুইদিনব্যাপী এ কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ভিশন সেন্টারসহ কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্যোগ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য একটি যুগান্তকারী প্রচেষ্টা। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের সফল উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে। জাতিসংঘ এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে এবং একটি রেজ্যুলেশনে এই উদ্যোগকে ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়িত হচ্ছে। পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, ঢাকা মেট্রোরেল ইত্যাদি মেগাপ্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে জনজীবন হয়েছে সমৃদ্ধ। কোভিড মহামারি ও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল ও অর্থনীতিকে ব্যাহত করা সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যকরী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান সুরক্ষিত হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজের রেক্টর Dr. R R Ganzevoort, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বাথ'র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর রিসার্চ Dr. Joe Devine এবং ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপ