Handout Number : 4174
Tripura LA Speaker Rebati Mohan calls on
Information Minister Dr Hasan Mahmud
Dhaka, 17 Kartik (2 November) :
A 14-member Indian delegation led by Speaker of Tripura Legislative Assembly Rebati Mohan Das paid a courtesy call on Information Minister Dr Hasan Mahmud at his official residence in the capital on saturday evening.
The Indian delegation also included Tripura Assembly Member Ashish Kumar Saha and Agartala Press Club Secretary Pranab Sarkar.
During the meeting, they exchanged greetings and discussed issues of bilateral interest and expressed identical views of continuing mutual co-operation to strengthen the existing friendship between the two countries.
The visiting delegation recalled Dr. Hasan Mahmud's visit to Agartala in mid-September this year for inauguration of 1st Bangladesh Film Festival in Agartala while he had a cordial meeting with Tripura Chief Minister Biplab Kumar Deb.
The Indian delegation arrived on November 1 on a three-day visit, organised by 'Sampreeti', a BD-India friendship alliance, chaired by Tripura MLA Ashish Kumar Saha.
#
Akram/Nice/Sanjib/Rezaul/Abbas/2019/2151 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৭৩
এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতের প্রতি আহ্বান পরিকল্পনা মন্ত্রীর
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে এসে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানালেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ।
মন্ত্রী আজ ঢাকার স্থানীয় এক হোটেলে ‘বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মতামত গ্রহণ করে এসডিজি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে শুধু সরকার একা কাজ করে এসডিজি অর্জন করতে পারবে না। বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রযুক্তির উন্নয়নের আগে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, এসডিজি অর্জনে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে ।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ইউএনডিপির বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ প্রমুখ।
#
শাহেদ/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৯৪১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৭২
এমডিজি অর্জন করে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ
-- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য-এমডিজি অর্জনে সক্ষমতা দেখিয়ে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিতে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে পিটিআই ইন্সট্রাক্টর ও ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরদের জন্য দু'মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৬২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে এই বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
#
রবীন্দ্রনাথ/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৭১
সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে
---যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
গাজীপুর, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে শিক্ষা নীতিতে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদীস সনদকে মাস্টার্সের সমমান দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ কাথোরা মোহাম্মদীয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রায় তিন হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করে শিক্ষাক্ষেত্রে এক অনন্য নজির স্হাপন করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে মাদ্রাসাটির চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
#
আরিফ/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/২০১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৭০
‘‘ভিন্নরূপে পুরুষ’’ শিরোনামে পাঁচ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় “ভিন্নরূপে পুরুষ’’ শিরোনামে পাঁচ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘একশনএইড বাংলাদেশ ‘ এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে । প্রদর্শনী আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আলোকচিত্রে মূলত পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিশেষ করে বাবা, ছেলে, দাদা বা নাতীর গৃহস্থালির কাজে সম্পৃক্ততার বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যা আবহমানকাল থেকে এসব কাজ নারীরাই করে আসছে ।
#
শাহেদ/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :৪১৬৯
বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত বাস্তুচ্যুত হচ্ছে
---দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমিন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান বলছেনে, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার (আইডিএমসি) গবেষণায় উল্লেখ করে যে, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি ৭ জন বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন বাস্তুচ্যুত হবে। প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে নদী ভাঙন ও বন্যার কারণে প্রায় হাজার হাজার হেক্টর জমি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার কারণে এই বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটছে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।
প্রতিমিন্ত্রী আজ ঢাকায় ‘‘দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক খসড়া জাতীয় কৌশলপত্র ও নাগরিক সমাজের অভিমত’’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমিন্ত্রী বলনে, বাংলাদেশে জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে। নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে তা সহজে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
#
সেলিম/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮৪২ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৬৮
দেশে অত্যাধুনিকমানের ব্লাড ব্যাংক সেন্টার করা হবে
---স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
ঢাকা ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, খুব শীঘ্রই দেশে উন্নত ও অত্যাধুনিকমানের সরকারি ব্লাড ব্যাংক সেন্টার করা হবে।
'রক্তের কোন জাত নাই, দৃষ্টিতে মৃত্যু নাই' এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে "জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবসের অনুষ্ঠানে" প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতিদিনই নানা জায়গায় দুর্ঘটনায় জরুরি রক্তের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে সন্ধানী অনেক কাজ করছে। সময়মতো রক্তের অভাবে অনেক মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। কাজেই দ্রুত দেশে একটি অত্যাধুনিক ও উন্নতমানের ব্লাডব্যাংক সেন্টার স্থাপন করা হবে।
মরণোত্তর চক্ষুদানের গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ আরো উল্লেখ করেন, বিশ্বে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ২৯ কোটি মানুষ। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে অন্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এদের মধ্যে শুধু কর্ণিয়াজনিত অন্ধত্ব বরণ করেছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। প্রতি বছর দেশের ৪০ হাজার মানুষ অন্ধ হচ্ছেন। মানুষ যখন মারা যায় তখন চোখের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ যাতে নষ্ট না হয়, আরেকজন মানুষের দৃষ্টি ফিরে পায় এ কারণে সবাইকে মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসতে হবে।
#
মাইদুল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৬৭
সমবায়ীদেরকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার আহ্বান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর
মেহেরপুর, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সমবায় সমিতি গড়ে তুলে নিজেদেরকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করতে সমবায় সমিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ৷
প্রতিমন্ত্রী আজ মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগ আয়োজিত ৪৮ তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০১৯ উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা সারা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধ করতে না পারলে অনেক দেশ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে রয়েছে। তাই এই উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে সকলকে আরো বেশি পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে বৃক্ষরোপণে গুরুত্ব প্রদানের আহ্বান জানান।
#
শিবলী/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮১৬ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৬৬
সমবায় হচ্ছে মুক্তির সোপান: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
গাজীপুর, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সমবায় হচ্ছে মুক্তির সোপান। সমবায়ের মাধ্যমে অনেক বড় বড় কাজে সাফল্য পাওয়া যায়।
আজ গাজীপুরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মিলনায়তনে ৪৮তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা সমবায় কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদের কোনো বিকল্প নাই। মধ্যম ও উন্নত আয়ের দেশে পরিণত হতে সমবায় ভিত্তিক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করতে তিনি আহ্বান জানান।
#
মারুফ/নাইচ/আব্বাস/২০১৯/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৬৫
মুক্তিযুদ্ধ, দেশ, সমাজ নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ, দেশ, সমাজ নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। কিন্তু, পরিতাপের বিষয়, আমরা ধীরে ধীরে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছি, যন্ত্রের সাথে কাজ করতে করতে যন্ত্রের মতই অনুভূতিহীন হয়ে পড়ছি আমরা। এ কারণে, যারা দেশ, সমাজ নিয়ে কাজ করেন, শিল্প-সাহিত্য-মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে চর্চা করেন, তাদের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।
আজ দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে স্বাধীনতা ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এর জীবন ও কর্মভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা'য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসকল কথা বলেন।
ড. রফিকুল ইসলামকে একজন জীবন্ত ইতিহাস বর্ণনা করে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, সাধারণত সংবর্ধনার মাধ্যমে গুণীজনদের সম্মানিত করা হয়, কিন্তু আজ ড. রফিককে সংবর্ধনা দিয়ে স্বাধীনতা ফাউন্ডেশনই সম্মানিত হয়েছে।
'বায়ান্ন'র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া স্বল্পভাষী প্রাজ্ঞজন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষক ড. রফিকুল ইসলাম আমাদের সামনে এক দেশপ্রেম ও কর্মবীরত্বের অনন্য উদাহরণ, তার কাছ থেকে আমাদের শেখার কোনো শেষ নেই', উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে ড. রফিকুল ইসলামকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় কমিটির দায়িত্ব দিয়েছেন', বলেন মন্ত্রী।
ড. রফিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার সাহচার্য, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষকতা জীবন ও সমসাময়িক দিনপঞ্জি বর্ণনা করে তাঁকে সম্মাননা দেবার জন্য সকলকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানান।
স্বাধীনতা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. জীন্নাত ইমতিয়াজ আলী এবং কবি ও রাইটার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নূরুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মুরাদ হোসেন জুলকারনাইন।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম নজরুল গবেষক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের জন্ম পয়লা জানুয়ারি ১৯৩৪ চাঁদপুরের মতলবের কলমাকান্দায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক ও ঢাবি'র নজরুল-গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক।
স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি ও নজরুল একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত ড. রফিককে ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে সম্মাননা দেয়। তাঁর ২০০৩ সালে প্রকাশিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর’ গ্রন্থ ব্যাপক প্রশংসা পায়।
অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেখাপড়া করেন। ভাষাতত্ত্বে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন ও গবেষণা সম্পাদনা করেন আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়, মিশিগান-অ্যান আরবর বিশ্ববিদ্যালয় এবং হওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টারে। ১৯৫৮ সাল থেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও নজরুল গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।
তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বন্দিশিবিরে নির্যাতিত হন।
'বাংলাদেশের সাহিত্যে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ', 'কাজী নজরুল ইসলাম: জীবন ও সৃষ্টি'-সহ ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাঁর ২৫টিরও বেশি গ্রন্থ রয়েছে।
#
আকরাম/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৭২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৬৪
জেলহত্যা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“তেসরা নভেম্বর বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের অভ্যন্তরে এ ধরনের বর্বর হত্যাকা- পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। আমি জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।
’৭৫-এর সেই ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদদাতারা পরবর্তী ২১ বছর ধরে দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। শাসকগোষ্ঠী কখনও সামরিক লেবাসে, কখনও গণতন্ত্রের মুখোশ পরে, অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা ধরে রাখে। আত্মস্বীকৃত খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার বদলে বিদেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে এবং অনেককে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়।
আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনে। আমরা জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারও সম্পন্ন হয়েছে। জনগণকে দেওয়া ওয়াদা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য পরিচালনা করছি। বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে।
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি সবসময়ই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তারা দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে ও স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে নিশ্চিত করতে বারবার হামলা চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১-এ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। আদালত কর্তৃক ভয়াবহ ২১-এ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়েছে। আমরা দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। স¦াধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র-বিরোধীদের যে কোন অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকবে হবে।
দেশবাসী মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারা সমুন্নত রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। গত পৌনে ১১ বছরে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, কূটনৈতিক সাফল্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ প্রতিটি সেক্টরে আমরা নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের এই উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করি। দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। গড়ে তুলি জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
আমি জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আশরাফ/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৭১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৬৩
জেলহত্যা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ ৩রা নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান বন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন। আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাঁদের স্মরণ করছি।
আমাদের স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দু’দশকের অধিককাল ধরে জাতিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর আহ্বানে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় তাঁর অবর্তমানে ১৯৭১ সালে জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠন, রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন, প্রশাসনিক কর্মকা- ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, কূটনৈতিক তৎপরতা, শরণার্থীদের তদারকিসহ মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন। জাতি তাঁদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। কিন্তু ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর আদর্শ চির অমøান থাকবে। বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন-এটাই হোক জেলহত্যা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।
আমি জাতীয় চার নেতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৭০০ ঘণ্টা