তথ্যববিরণী নম্বর : ৪৩৬৮
আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বিভিন্ন দেশের
খেলোয়াড়দের আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগের মাধ্যম
---যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
খুলনা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের মাঝে আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি দেশ বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করে। খেলোয়াড়রা স্ব স্ব রাষ্ট্রের দূত হিসেবে কাজ করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় খুলনা সার্কিট হাউজ সংলগ্ন শেখ রাসেল আন্তর্জাতিক টেনিস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত দেশের টেনিসের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আয়োজন শেখ রাসেল ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব কাপ টেনিস টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্রীড়াবান্ধব সরকার। সম্প্রতি আমাদের আর্চার রোমান সানা এশিয়া কাপে স্বর্ণ জয় করেছে। আমি আশা করি, বিশ্ব টেনিসেও একদিন আমাদের খেলোয়াড়রা ভালো করবে। মন্ত্রী বলেন, সরকার টেনিস কমপ্লেক্সগুলোকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আয়োজকবৃন্দসহ বাংলাদেশে টুর্নামেন্ট খেলতে আসা বিদেশি প্রতিযোগী ও অফিসিয়ালদের ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৩ নভেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। ১৮টি দেশের ২০টি ক্লাবের মোট ৬৪ জন টেনিস খেলোয়াড় এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতায় পুরুষ এককে শিরোপা জিতেছেন ভারতের নিতিন কুমার সিনহা। আর মেয়েদের এককে শিরোপা জয় করেছেন মঙ্গোলিয়ার মারালোগো চগসোমজাত। পুরুষ দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন থাইল্যান্ডের চায়ানন কেউসুতো ও উনশায়াট্রং চারোয়েন চাইকুল জুটি।
#
আরিফ/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২২৪৬ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৪৩৬৭
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রতিমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের আটটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার এবং সকল জেলার জেলা প্রশাসকদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ক্ষণগণনা শুরু হবে। এ উপলক্ষে দেশের ৫৩টি জেলার ৫৪টি স্থানে ক্ষণগণনার ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে৷ প্রতিমন্ত্রী এ সময় ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্য, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান-সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
শিবলী/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২০৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৬৬
দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে
-- পরিকল্পনামন্ত্রী
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে সারাদেশে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে ৯৬ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। এটাই উন্নয়ন। এছাড়া সম্প্রতি দুবাই এয়ার শো-২০১৯-এ বাংলাদেশের বিমানও অংশ নিয়েছে, এটা বিরাট অর্জন।
আজ ঢাকায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘উন্নয়ন মেলা ২০১৯’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ প্রমুখ ।
#
শাহেদ/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০১৯/১৯৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৬৫
বুয়েটে অচলাবস্থা তৈরিতে চিহ্নিত ইন্ধনদাতাদের বিরু্দ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে
-- শিক্ষা উপমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যা একটি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক ঘটনা। এ হত্যাকাণ্ডের কোনো আলামত যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় অত্যন্ত সচেতন ছিল এবং সন্দেহভাজন সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে।
আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, কতিপয় গোষ্ঠী হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে রেখেছে। জনগণের অর্থে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করার অধিকার কারো নেই। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করারও অধিকার নেই। যৌক্তিক দাবি থাকলে তা উত্থাপিত হবে। যারা এ আন্দোলনে ইন্ধন দিচ্ছে শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
#
খায়ের/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০১৯/১৮৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৬৪
বস্ত্রখাতে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হবে
-- পাটমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন (বিটিএমসি) এর বন্ধ টেক্সটাইল মিলগুলো পুনরায় চালু করার জন্য বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হবে।’
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ চীনের শান্সি ইকোনমিক এন্ড ট্রেড ডেলিগেশনের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠককালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় দু’দেশের বস্ত্র ও পাট শিল্পের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও এর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাত থেকে রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বস্ত্রখাতে বিদেশি বিনিয়োগকে সকল ধরনের সহযোগিতা করতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় প্রস্তুত রয়েছে। সরকারের বেসরকারি খাতে হস্তান্তরিত অনেক বস্ত্রকল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি খাতে হস্তান্তরের সময় যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল, সেসব শর্ত ভঙ্গকারীদের থেকে বস্ত্রকল পুনঃগ্রহণ করা হচ্ছে। এসব বস্ত্রকলের জমির ওপর নতুন বস্ত্রকল দেশি/বিদেশি বিনিয়োগকারীর জন্য পিপিপি বা জিটুজি এর মাধ্যমে চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে চীনের শান্সি ইকোনমিক এন্ড ট্রেড ডেলিগেশনের প্রতিনিধি জানান, দু’দেশের নিয়মিত বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সম্পর্ক আরো জোরদার হচ্ছে। সেজন্য তারা বস্ত্র ও পাটখাতে বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ঘটাতে চায়।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিলীপ সাহা, বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রিগে. জে. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মকবুল হোসন, চীনের সান্সি ইকোনমিক এন্ড ট্রেড ডেলিগেশনের প্রতিনিধি শান্সি প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর ডধহম ণরীরহ, ডিরেক্টর ঝাও জুয়ানজো ও শান্সি প্রদেশের ডিপার্টমেন্ট অভ্ কমার্সের পরিচালক হান চুনলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
সৈকত/ফারহানা/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/রেজাউল/২০১৯/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৪৩৬৩
বিএনপি’র চিঠি অন্তঃসারশূন্য ও ভারতবিরোধী ‘স্টান্ট’বাজি মাত্র
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিএনপির চিঠি অন্তঃসারশূন্য এবং ভারতবিরোধী ‘স্টান্ট’বাজি ছাড়া আর কিছুই না।’
আজ ঢাকায় সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিএনপির পক্ষ থেকে গতকাল দেওয়া চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে তিনি বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং চুক্তি (এগ্রিমেন্ট) এর পার্থক্য বুঝতে যে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে, এই চিঠিতে তা স্পষ্ট হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ভারত সফরের পর মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে, সংসদে এবং সংবাদ সম্মেলনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরসহ সব বিষয় ব্যাখ্যা করে বলেছেন, সেটি জানার পরও বিএনপির এই চিঠি অন্তঃসারশূন্য এবং ‘স্টান্ট’বাজি ছাড়া আর কিছুই না। বিএনপি যে ভারতবিরোধী রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসেনি সেটি বোঝানোর জন্যই তারা মূলত এ চিঠিটি দিয়েছে, অন্য কোনো কিছু না। এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের এ প্রথম চিঠিতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে একটি শব্দও না থাকায় প্রশ্ন জাগে- তারা আসলে তার মুক্তি চায় কি না ?’
এ সময় পাল্টা প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া তার সময় দু’বার ভারত সফর করেছেন, ৭টি চুক্তি করেছেন। এই চুক্তিগুলো করার পর তিনি কি রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেছিলেন, সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন? বেগম জিয়া রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেননি, সংবাদ সম্মেলন করে এগুলো প্রকাশও করেননি, এমনকি পার্লামেন্টেও ব্যাখ্যা করেননি। খালেদা জিয়া তো পার্লামেন্টেই যাননি। তিনি পুরো পাঁচ বছরে সাতবার পার্লামেন্টে গিয়েছেন। বিএনপি নিজেরাই এগুলো করেনি। অথচ তারা যে প্রসঙ্গগুলোর অবতারণা করেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবগুলোই করেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব স্বাক্ষরিত একটি চিঠি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেয়া হয়েছে, যেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গ্রহণ করেছেন। সেই চিঠি খুললে আপনারা দেখতে পাবেন, বেগম খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন, কিন্তু সেখানে কোনো জায়গায় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নেই। একটি শব্দও বেগম খালেদা জিয়ার জন্য নেই। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, বিএনপি আসলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় কি না! ফখরুল সাহেব যখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কথা বলেন, শারীরিক বিষয়াদি নিয়ে কথা বলেন, সেগুলো কি নিছক জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ?’
ড. হাছান বলেন, ‘সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বিএনপি’র ভাষ্য অনুযায়ী যে ‘চুক্তি’গুলো হয়েছিল, সেগুলো সম্পর্কে বিএনপির এ চিঠি অনুযায়ী তাদের ভাষ্য হচ্ছে, ‘জনগণ জানুক’। অথচ এই সফরে কিন্তু কোনো নতুন চুক্তি হয়নি। এ সফরে যেগুলো হয়েছে সেগুলো হচ্ছে এমওইউ বা সমঝোতা স্মারক (মেমোরেন্ডাম অভ্ আন্ডারস্ট্যান্ডিং) ও এসওপি (স্ট্যান্ডার্ন্ড অপারেশন প্রসিডিউর) এবং শুধুমাত্র আমাদেরকে দেওয়া ভারতের লাইন অভ্ ক্রেডিটের আলোকে এক্সিম ব্যাংক ঢাকায় একটি অফিস খুলবে সেই মর্মে একটি চুক্তি। অন্য কোনো চুক্তি সেখানে সই হয়নি। অথচ বিএনপির চিঠিতে বলা হয়েছে ‘চুক্তি’। বিএনপির মতো একটি দল এবং তাদের মহাসচিব ‘চুক্তি’ আর ‘এমওইউ’র পার্থক্য বুঝতে পারেন না, এটি হাস্যকর।’
‘বিএনপি’র বক্তব্য- এগুলো জনগণ জানে না এবং তারাও পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানে এবং এগুলো রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করার প্রয়োজন আছে, বিধান আছে’–তা খণ্ডন করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে যান এবং তারপর তিনি রাষ্ট্রপতিকে সবকিছু অবহিত করেন। সেই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবারও ভারত সফর থেকে এসে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করে সফর সম্পর্কে সবিস্তারে অবহিত করেছেন। সেটিও বিএনপি জানে।’
ড. হাছান বলেন, ‘শুধু তাই নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর থেকে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন। এবারও তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে ভারতে সফরকালে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, সব তিনি গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশের জনগণকে অবহিত করেন। তাঁর পার্লামেন্টের বক্তৃতায়ও এ বিষয়গুলো সবিস্তারে বলেছেন, এমনকি বিএনপি’র পার্লামেন্ট সদস্যদের প্রশ্নের জবাবেও তিনি সমস্ত বিষয় ব্যাখ্যা করে বলেছেন।’
‘বিএনপিকে বলবো, বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে বরং জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে এসেছেন সেগুলো প্রতিটি দেশের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এবং দেশকে সমৃদ্ধি করার লক্ষ্যে, এ বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করতে’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
পরিবেশবিদ ড. হাছান বলেন, ‘ফেনী নদীর ৮০০ কিউসেক পানিপ্রবাহ থেকে মাত্র ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি তারা খাবার পানি হিসেবে নেবে, এই মর্মে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ৮০০ কিউসেক এর মধ্যে ১.৮২ কিউসেক হচ্ছে ৪০০ ভাগের একভাগেরও কম। সেই পানি এখনো তারা নিচ্ছে, কিন্তু সমঝোতা স্মারকে সেটা একটা ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে আনা হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, এলপিজি গ্যাস আমাদের দেশে আমরা উৎপাদন করি না, বিদেশ থেকে আসে। অপরিশোধিত তেল পরিশোধনে উপজাত হিসেবে কিছু এলপিজি এবং দেশের গ্যাস ফিল্ড থেকে তেল উৎপাদনের সময়ও উপজাত হিসেবে সামান্য কিছু এলপিজি পাওয়া যায়। মূলত আমাদের দেশের পুরো বাজারটা হচ্ছে আমদানি নির্ভর এলপিজি গ্যাস। সেই এলপিজিতে ‘ভ্যালু এড’ করে ভারতে রপ্তানি করার জন্য সমঝোতা স্মারক হয়েছে। বিদেশ থেকে কাপড় এনে রেডিমেড গার্মেন্টস এক্সপোর্ট করে আমাদের অর্থনীতিতে যেমন প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তেমনি আমাদের ‘এক্সপোর্ট বাস্কেটে’ আরেকটি এ রকম পণ্য যুক্ত হয়েছে- এলপিজি, এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য সহায়ক। এটি তারা ভালোই বোঝে। এরপরও বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য তারা (বিএনপি) এই কথাগুলো বলে।’
সমুদ্রবন্দরের বিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘একইসাথে চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য পূর্বের চুক্তির আলোকে স্ট্যান্ডার্ড অভ্ প্রসিডিউর সই হয়েছে। এই দু’টি বন্দর তারা যদি ব্যবহার করে, তাহলে আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধতর হয়। কারণ, এই বন্দর ব্যবহার করা ও বন্দর থেকে মালামাল পরিবহনের জন্য আমাদেরকে রেভিনিউ দিতে হবে। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা মালামাল পরিবহনের অনেক সুযোগ পাবেন। সিএন্ডএফ এজেন্ট থেকে শুরু করে বন্দর অনেক রেভিনিউ পাবে, এটা তো আমাদের অর্থনীতির সহায়ক। আপনারা জানেন সিঙ্গাপুর তাদের বন্দর অন্য দেশগুলোকে ব্যবহার করতে দেয়ার কারণে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম বন্দর বিভিন্ন দেশকে ব্যবহার করতে দেওয়ার কারণে তারা সমৃদ্ধ হয়েছে। পৃথিবীর এ রকম আরো অনেক বন্দর রয়েছে, যে বন্দর তারা ঐ অঞ্চলের দেশগুলোকে ব্যবহার করতে দেওয়ার কারণে সমৃদ্ধ হয়েছে। এটা যে তারা (বিএনপি) বোঝেন না, তা কিন্তু নয়। তারা মূর্খ বলে আমি মনে করি না, কিন্ত তাদের বক্তব্যগুলো মূর্খের মতো।’
বঙ্গোপসাগরে রাডার স্থাপন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, প্রতিবেশী দেশের ট্রলার এসে আমাদের মাছ ধরে নিয়ে যায়। এটি ধরার জন্য আমাদের কোস্টগার্ডের রাডার সিস্টেম যথেষ্ট নয়, রাডার সংকট রয়েছে। রাডার সিস্টেমকে উন্নত করার জন্য ভারত আর্থিক সহায়তা দেবে, যা নিয়ে রাডার আমরা স্থাপন করবো, আমরা সেটার মালিকানা থাকবো। আমরা সেটা অপারেশন করবো। সবকিছুই আমরা করবো। আমাদেরই মালিকানা। এতে করে আমাদের কোস্টগার্ড সমৃদ্ধ হবে।’
সুতরাং বিএনপি যে বক্তব্যগুলো দিচ্ছে, চিঠি দিচ্ছে, তা আসলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘প্রথমত: তাদের এই চিঠি প্রমাণ করে, তারা সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয়ত: তারা একটিবারও খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আনেনি। এতে স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে যে, তারা আসলে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কতটুকু ‘সিরিয়াস’! না কি তারা খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে, বাইরে রাজনীতি করে সহানুভূতি আদায় করতে চায়- সেই প্রশ্ন জাগে। আর তৃতীয়ত: এই চিঠি দেওয়ার মাধ্যমে তারা এটিই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে, তারা পুরোপুরি ভারতবিরোধী রাজনীতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যেতে চায়।’
মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা জানেন যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আন্তর্জাতিক আদালতে সমুদ্রসীমা জয় করে সমুদ্রে প্রায় আরেকটি বাংলাদেশ অর্জন করেছি। সীমান্তে যে লাখ লাখ মানুষদের পরিচয় ছিল না, তারা দেশ-পরিচয়হীন ছিল, ছিটমহলের সেই মানুষগুলোর পরিচয় ফিরিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ১৯৭৪ সালের যে চুক্তিকে বিএনপি সবসময় গোলামির চুক্তি বলতো, সেই চুক্তির আলোকেই কিন্তু তা হয়েছে।’
‘আমাদের রাষ্ট্রীয় নীতি হচ্ছে সবার সাথে সুসম্পর্ক কারো সাথে বৈরিতা নয়’, স্মরণ করিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্বার্থকে অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে, কোনো অবস্থাতেই আমাদের স্বার্থ আদায় করার ক্ষেত্রে পিছপা হবো না, হই না এবং প্রতিবেশীদের সাথেও সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই। সেই নীতির আলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করছেন। ভারতে সফরে গিয়েও সেই নীতির আলোকেই সমঝোতা স্মারক সই করেছেন।’
#
আকরাম/ফারহানা/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০১৯/১৮৩৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৬২
কুষ্টিয়া বিসিক শিল্পনগরীর বন্ধ কারখানা চালু করতে শিল্পমন্ত্রীর নির্দেশ
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী পাঁচ বছরে এক কোটি ২১ লাখ লোকের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এ লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়ন কার্যক্রম জোরদারের পাশাপাশি বন্ধ শিল্প কারখানা চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি কুষ্টিয়া শিল্পনগরীর বন্ধ কারখানাগুলো দ্রুত চালু করতে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও শিল্পনগরী প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী গতকাল কুষ্টিয়া বিসিক শিল্পনগরী পরিদর্শন শেষে স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন। বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কার্যালয়ে এ সভা আয়োজন করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলার শিল্প চাহিদা মেটাতে স্থানীয় অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এর পাশাপাশি বিদ্যমান শিল্পনগরীতে উদ্যোক্তাদের সমস্যার সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। সরকার তৃণমূল পর্যায়ে টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার বন্ধ কারখানাগুলো দ্রুত চালু না করলে বরাদ্দ বাতিল করে সংশ্লিষ্ট প্লট মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সামসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ-সহ স্থানীয় প্রশাসন, শিল্প উদ্যোক্তা ও বিআরবি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী কুষ্টিয়া শহরের কাস্টম্স মোড়ে নির্মাণাধীন বিআরবির আধুনিক হসপিটাল এবং বিসিক শিল্পনগরীতে বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করেন। তিনি বিআরবি’র কারখানায় ব্যবহৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
#
জলিল/ফারহানা/রফিকুল/আব্বাস/২০১৯/১৮১০ ঘণ্টা