তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮৭
বাজার তদারকি
বিভিন্ন অপরাধে ৩৪ প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, বগুড়া, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, যশোর, কক্সবাজার, খুলনা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, নাটোর, কুমিল্লা, সিলেট, রংপুর, নরসিংদী, নওগাঁ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, গোপালগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, ফেনী, ঝিনাইদহ, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, মানিকগঞ্জ, মাগুরা, রাজবাড়ী, নেত্রকোণা, ভোলা, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও ফরিদপুরে বাজার তদারকি করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় কর্তৃক মহাখালী, শেরে বাংলানগর, সেগুনবাগিচা, কেরাণীগঞ্জ, জিনজিরা এলাকায় বাজার তদারকি করে। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে বিসমিল্লাহ ফুডসকে এক হাজার টাকা, বাবুলের ফলের দোকানকে এক হাজার টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার ৫শ’ টাকা, ওজনে কারচুপির অপরাধে হোসেনের ফলের দোকানকে ৫শ’ টাকাসহ মোট ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অপরদিকে প্রধান কার্যালয় ঢাকা মহানগরীর খিলগাঁও ও ওয়ারী এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার টাকা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রির অপরাধে মোশারফ ফুডসকে ১০ হাজার টাকাসহ মোট ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৩৯টি বাজার তদারকির মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য, ওজনে কারচুপি, অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো, পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৭শ’ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ২টি প্রতিষ্ঠানকে দুই হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ২ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার শতকরা ২৫ টাকা হিসেবে ৫শ’ টাকা প্রদান করা হয়।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাব এসব তদারকি কার্যে সহায়তা করে। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট ও প্যাম্ফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
#
ফাহমিদা/ফারহানা/ইসরাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮৬
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক
বাজার নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত অভিযান চলানোর সিদ্ধান্ত
ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য, মজুত ও সরবরাহ স¦াভাবিক রাখতে সমন্বিত বাজার অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বাণিজ্য সচিব মোঃ মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাজার অভিযানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, র্যাব, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিএসটিআই, জেলা প্রশাসন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে বাজার অভিযান পরিচালনা করবে যাতে একই বাজারে একাধিক প্রতিষ্ঠান অভিযান পরিচালনা না করে। সমন্বিতভাবে বাজার অভিযান পরিচালনা করলে কাজের গতি বাড়বে এবং বেশি বাজারে অভিযান পরিচালনা করা যাবে। বাজার যাতে কোনো অবস্থাতেই অস্থিতিশীল না হয়, সে দিকে কঠোর নজরদারি থাকবে। কোনো পণ্য যাতে অবৈধভাবে মজুত করে কৃত্রিম উপায়ে সংকট সৃষ্টি করা না হয়, সে দিকেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নজরদারি জোরদার করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করে বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে। সভায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
#
বকসী/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮৫
বিএসটিআই’র অভিযানে ২১ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :
বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন কসমেটিকস, জুস ও শিশুখ্যাদ্য বিক্রয় করায় আলমাস সুপার শপসহ ২১টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। আজ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন, ২০১৮ অমান্য করে লাইসেন্স ব্যতীত ফার্মান্টেড মিল্ক (দই) বিক্রয়/বিতরণ করায় রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আদি বিক্রমপুর সুইটস এন্ড বেকারি, সবুজবাগের হিমেল ডেইরি ফার্ম ও বিউটি ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরি এবং সরিষার তেলের লাইসেন্স গ্রহণ না করায় নরসিংদীর এ.আর এগ্রোফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
র্যাবের সহযোগিতায় ঢাকার কামরাঙ্গীর চর এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নামবিহীন একটি সফট ড্রিকংস পাউডার এবং একটি আইস ললি ও চাটনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা এবং তাদের যাবতীয় মালামাল জব্দ করা হয়। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় নিউ মাকের্টে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর ও ফুড কালার বিক্রয় করার অপরাধে আল্লাহর দান স্টোর এবং সিরাজের ফলের দোকানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করায় নিউ মার্কেটের আমিরের সবজির দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা এবং পোড়া তেলে ইফতার সামগ্রী তৈরি করায় নিউ বেইলি রোডের মীম বেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ওজন ও পরিমাপ মানদ- আইন, ২০১৮ লঙ্ঘন করে কাপড় পরিমাপে মিটারের পরিবর্তে গজকাঠি ব্যবহার করায় এলিফ্যান্ট রোডের সোনালী বেডিং হাউস; ক্যাশমেমোতে ইঞ্চির ব্যবহার করায় মেসার্স কেরি হোম ও মেসার্স হাসিনা ফেব্রিকস; মাংসের প্যাকেটে পণ্যের পরিচিতি, নাম, ওজন, মূল্য বাংলায় উল্লেখ না থাকায় ধানমন্ডির মেসার্স দেশি মিট; ডিজিটাল স্কেলের ভেরিফিকেশন সনদ না থাকায় ধানমন্ডির মেসার্স গ্লোরিয়া জিন্স কফিজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বিএসটিআই’র লাইসেন্সবিহীন ক্লে-ব্রিকস উৎপাদন করায় লক্ষীপুরের রাহুল রাতুন ব্রিকস ম্যানু এবং নোবাইদ ব্রিকস ম্যানু-এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
ওজন যন্ত্র সঠিক না থাকায় খুলনায় বয়রা বাজার এলাকার পাবনা মিষ্টি ঘর ও সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পাবনার ঈশ^রদীতে পাবনা দই ঘরকে লাইসেন্স না গ্রহণ করার অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়। সিলেটের কালিঘাট এলাকায় আলী স্টোর ও বেনু স্টোরকে ওজন যন্ত্রে ভেরিফিকেশন সনদ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বরিশালের নতুর বাজারের নিউ আলাউদ্দিন সুইটসকে লাইসেন্সবিহীন বেকারি পণ্য বিক্রির অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়। কুমিল্লার কান্দিরপাড়ের কুমিল্লা মিষ্টি ভা-ার এবং ঝাউতলা এলাকার মেসার্স দাওয়াত রেস্টুরেন্টকে লাইসেন্সবিহীন দই বিক্রি করার অপরাধে মামলা করা হয়। কান্দিরপাড়ের ভগবতী প্যারা ভা-ারকে ওজনযন্ত্রে ভেরিফিকেশন সনদ না থাকায় মামলা দায়ের করা হয়।
#
মঈনুদ্ধীন/মাহমুদ/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮৪
দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে সোপান তৈরি হয়েছে
তার প্রেরণাদাতা ছিলেন ওয়াজেদ মিয়া
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী হওয়া সত্বেও বাংলাদেশের মুক্তিয্ুেদ্ধ এবং বাংলাদেশের স¦াধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিল অসাধারণ ও অপরিসীম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে সোপান তৈরি করেছেন এর প্রেরণাদাতা ছিলেন ড. ওয়াজেদ মিয়া। প্রধানমন্ত্রীর স্বামী হয়েও ওয়াজেদ মিয়া সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জামাতা হিসেবে বস্তুতপক্ষে যে পরিমাণ বা যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় তাঁর উপস্থিতি প্রয়োজন ছিল তা তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন।
মন্ত্রী আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি’র মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, একটি জাতির সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে বিজ্ঞান চর্চা। ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে পথ দেখিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, আজকে আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি, চতুর্থ বিপ্লবের কথা বলি তখন কিন্তু বিজ্ঞান চর্চার বিষয়টি সামনে চলে আসে। ড. ওয়াজেদ মিয়ার মতো মানুষের অনেক দরকার ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করি আমাদের নতুন প্রজন্ম থেকে ড. ওয়াজেদ মিয়াকে অনুসরণ করার মতো আমরা অনেক সন্তান পাবো, যারা বিজ্ঞান চর্চা করবে, পৃথিবীর ডিজিটাল রূপান্তরে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া শুধু দেশবরেণ্য বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকারী, সাহসী দেশপ্রেমিক, রাজনীতিবিদ ও দায়িত্বশীল স্বামী। ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন তীক্ষè মেধাবী ছাত্র। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হলের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওয়াজেদ মিয়ার শিক্ষা ও জ্ঞানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী।
#
শহিদুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮৩
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে বছরব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং দেশের স্বাধীনতার সপক্ষের সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা নিয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপন করবে। সরকার এ উপলক্ষে স্ট্যাচু অভ লিবার্টির আদলে জাতির পিতার প্রতিকৃতি তৈরি করবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আজ বিকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে মিত্র বাহিনী সদস্যদের ৫০০ সন্তানকে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। তাদের বাছাই করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনকে দায়িত্ব প্রদান করা হবে। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করা হবে। বছরব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক জাতীয় দিবসসমূহ উদ্যাপনে জাতির পিতার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মুজিব মেলার আয়োজন করা হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এস এম আরিফুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তরসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মুজিব বর্ষ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে খরনবৎধঃরড়হ ডধৎ ঐঁসধহরঃু অধিৎফ প্রদানের লক্ষ্যে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। মুজিব বর্ষ উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরবর্তীতে পুনরায় সভা করে কর্মপরিল্পনা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।