তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৬০
সমুদ্র বন্দরের জন্য তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আজ ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম, বক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্য্ন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
#
দলিল/মাহমুদ/রফিকুল/রেজাউল/২০১৯/২১০০ ঘণ্টা
Handout Number : 3359
Shahriar Alam meets Japanese counterpart in Male
Dhaka, 20 Bhadra (4 September) :
State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam met the Japanese State Minister for Foreign Affairs Toshiko Abe today in Male on the sidelines of the 4th Indian Ocean Conference.
The Bangladesh Minister thanked Japan for facilitating the very fruitful visit of Prime Minister Sheikh Hasina to Japan earlier in May this year. Referring to the MoU signed last month in Tokyo, Shahriar Alam expressed gratitude to the Japanese Government for listing Bangladesh as a source country for skilled migration. It was highlighted that both governments will work closely to deliver on the MoU as per agreement.
Shahriar Alam updated his Japanese counterpart on the latest status of the one million plus Rohingyas being sheltered by Bangladesh, including Bangladesh’s concerns about security at the camps. He underscored that Bangladesh needs the support of Japan for repatriation of the Rohingyas in safety and dignity to Myanmar and to start moving them to Bhashan Chor.
Toshiko Abe expressed gratitude that Prime Minister Sheikh Hasina met all the family members of the Japanese victims of the Holey Artisan attack during her visit to Japan. She mentioned that Japan is particularly happy that Bangladesh has decided to name metro rail stations after the names of the victims. Both sides agreed on timely implementation of ODA. Shahriar requested Japanese support for building a new Railway bridge over the river Jamuna. The Japanese side reassured their support and cooperation to build the railway bridge over Jamuna.
The State Minister is leading the Bangladesh delegation to the 4th Indian Ocean Conference being organised by India Foundation in association with the Government of Maldives and S. Rajaratnam School of International Studies, Singapore from 3-4 September 2019. He is also a member of the IOC Organising Committee. The theme of IOC 2019 is ÔSecuring the Indian Ocean Region: Traditional and Non-Traditional ChallengesÕ.
#
Tohidul/Mahmud/Sanjib/Joynul/2019/2100hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫৭
কৃষিমন্ত্রীর সাথে ইউনিভারসিটি অভ্ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদলের বৈঠক
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আজ মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে Professor Dr.William Erskine এর নেতৃত্বে University of Western Australia এর এক প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। দলটি বর্তমানে বাংলাদেশে ডাল গবেষণায় যুক্ত।
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রোটিনের সহজ উৎস ডালের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশে ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উপকূলীয় এলাকায় ডাল ও ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ চলছে। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় পুষ্টিমান সমৃদ্ধ সয়াবিনের আবাদ হয়। এছাড়াও দেশের চরাঞ্চলে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও বরগুনাতে সয়াবিনের চাষ হচ্ছে। এছাড়া অঞ্চলভিত্তিক নতুন নতুন ডালের জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে।
প্রতিনিধিরা বলেন, বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও আবাদ করতে হবে। দেশের উপকূলীয় এলাকা ছাড়া উত্তরাঞ্চলেও ডালের আবাদ করা যেতে পারে। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য তারা আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। উদ্ভাবিত নতুন ডালের জাত কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে হবে।
#
গিয়াস/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫৬
১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট এর খুনিরা একই সূত্রে গাঁথা
-- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। খুনিরা ব্যক্তি মুজিবকে নয় বরং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্নকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ১৯৭৫ সালে মূল উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, এসব ঘটনার পরিকল্পনাকারীদের পরিচয় বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হবে।
আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা জনতার সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট খুনি চক্র একই সূত্রে গাঁথা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার আদর্শের বাহকরা রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে তাঁর স্বপ্ন পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন সুখী, সমৃদ্ধ এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশ। সকল প্রকার সেবা এখন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। এখন জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার মাধ্যমে তাঁর রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
মুক্তিযোদ্ধা জনতার সম্প্রীতি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ ইব্রাহীম খলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা জি কে বাবুল, লায়ন্স ক্লাব ঢাকার চার্টার্ড প্রেসিডেন্ট লায়ন আব্দুস সালাম চৌধুরী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরিচালক হাফিজ আহমেদ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থার মানবাধিকার মুখপাত্র মহাসচিব নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
#
দীপংকর/মাহমুদ/ইসরাত/সেলিম/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫২
চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর মহাপরিকল্পনা রয়েছে
--তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাপরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো কার্যকর করার কোনো বিকল্প নেই।
আজ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নবগঠিত বন্দর উপদেষ্টা কমিটির প্রথম সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বে-টার্মিনাল সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প। আর দেশের প্রবৃদ্ধির জন্য বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বে-টার্মিনালের পাশাপাশি পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, লালদিয়া টার্মিনাল-সহ অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে।
ড. হাছান বলেন, চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বন্দরের সামগ্রিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয়ী নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত বিশ্বময় নন্দিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়নের পাশাপাশি বিশ্ববাণিজ্যে অনন্য অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। লয়েড বন্দর তালিকায় ৬ ধাপ এগিয়ে ৭০ থেকে ৬৪ -তে এসেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এটা কেবল সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায়। চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নতির সঙ্গে শুধু সমগ্র দেশের উন্নয়ন জড়িত তা নয়, এ বন্দরের উন্নতির সঙ্গে পুরো দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের উন্নতি নির্ভর করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা দ্রুত বাড়ানো প্রয়োজন।
বাংলাদেশের উন্নয়নকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো কার্যকর করতে সকল সেক্টরের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশা করেন তথ্যমন্ত্রী।
সভায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে বিশ্বের সমুদ্র বন্দরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৫০ এ নিয়ে যেতে কাজ করছে সরকার। বন্দরকে আরো আধুনিক করতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, নজরুল ইসলাম ওয়াসিকা আয়েশা খান, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি ও সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মোঃ রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন শফিউর বারীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ।
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/১৮১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫১
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৭ রাজ্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী
- তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর):
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি রাজ্য তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী। এ লক্ষ্যে ত্রিপুরাসহ কয়েকটি রাজ্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেছে। আমদানি রপ্তানির গড় সময় কমিয়ে বন্দরের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে বন্দরের আয় বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আজ নবগঠিত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)’র উপদেষ্টা কমিটির ১ম সভায় বক্তৃতাকালে একথা বলেন। চবক এর প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভার শুরুতে উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মালামাল হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে চট্টগ্রাম বন্দর ৬ ধাপ উপরে উঠে বিশ্ব র্যাংকিং-এ ৬৪তম স্থানে উঠে আসায় সকলকে অভিনন্দন জানান। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের লাইফলাইন চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে এ অঞ্চল ও সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জড়িত। তাই এ বন্দরকে অপারেশন সক্ষমতার সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পতেঙ্গা টার্মিনাল, লালদিয়া টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল নির্মাণের মতো যুগান্তকারী ও দুরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার এ বন্দরকে বিশ্বমানে উন্নীত করেছে। বর্তমানে বন্দরে জাহাজ জট ও জাহাজের গড় অবস্থানকাল কমেছে।
তিনি বলেন, ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থের পরিবর্তে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি এ সময় সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তৃতায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্ব র্যাংকিং-এ উপরের সারিতে উঠে এসেছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে এ বন্দরকে বিশ্ব র্যাংকিং-এ ৫০ এর মধ্যে নিয়ে আসা হবে। তিনি বলেন, নতুন কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে। এর অনেকগুলো পাওয়া গেছে। সবগুলো পাওয়া গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে উপদেষ্টা কমিটির আরেকটি সভা আয়োজন করা হবে।
কমিটির সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, ওয়াশিকা আয়শা খান এমপি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চবক চেয়ারম্যান ও কমিটির সদস্য সচিব কমোডর জুলফিকার আজিজসহ অন্যান্য সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে চবক এর উপদেষ্টা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। বর্তমান উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সংখ্যা ৬০ জন।
#
সাইফুল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০১৯/১৬২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫০
৪টি জাতীয় মহাসড়কের চারলেনে উন্নীতকরণে এডিবি অর্থায়ন করবে
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) -এর অর্থায়নে ঢাকা-সিলেট, রংপুর-বাংলাবান্ধা, রংপুর-বুড়িমারী এবং ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা হবে। মহাসড়কসমূহের প্রতিটিতে চারলেনের পাশাপাশি ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে এডিবি এ সকল জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়নে অর্থায়ন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ ।
এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর আজ সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের-এর সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে একথা জানান।
মনমোহন জানান, ইতোমধ্যে ফরিদপুর-বরিশাল এবং রংপুর-বুড়িমারী মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য, এডিবি’র অর্থায়নে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা এবং হাটিকুমরুল হতে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ ছাড়াও কক্সবাজার-উখিয়া-টেকনাফ সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ এগিয়ে চলেছে।
সাক্ষাতকালে দেশের সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য মন্ত্রী এডিবি’কে ধন্যবাদ জানান।
#
নাছের/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০১৯/১৬৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৪৯
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন ৬৯ হাজার ৭৮৫ জন। এ যাবত ৫৭ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বর্তমানে সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত ভর্তিকৃত রোগী আছেন ৩ হাজার ৫৮৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন ৮২০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
#
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/জসীম/আসমা/২০১৯/১৫৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৪৮
তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ এখন ‘গ্লোবাল লিডার’
- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশকে ‘গ্লোবাল লিডার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন । তিনি বলেন, তৈরি পোশাকখাতে এশিয়াসহ সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিশ্ববাজারে এ শিল্পের অবস্থান ধরে রাখতে পণ্য বৈচিত্রকরণের পাশাপাশি নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পেছনেও এ শিল্পখাতের বড় অবদান রয়েছে।
আজ রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে আয়োজিত চারদিন ব্যাপী ‘২০তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৯’ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক আয়োজক সংস্থা সেমস্ গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিক এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে একই সাথে ‘১৬তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ণ অ্যান্ড ফেব্র্রিক শো-২০১৯’ এবং ‘৩৮তম ডাই-ক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো ২০১৯’ এর উদ্বোধন করা হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। সরকারের দৃঢ় অবস্থানের ফলে শিল্পখাতসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হচ্ছে। তিনি ২০২১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে তৈরি পোশাক শিল্পখাতের সাথে সম্পৃক্ত মালিক, শ্রমিকসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত একদিকে যেমন বিকশিত হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি তীব্র বিশ্ব প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্টদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বিকেএমইএ’র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ