তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৯২
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের ধীরে ধীরে বের করে দিতে হবে
---তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২৮ বৈশাখ (১১ মে) :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের ধীরে ধীরে বের করে দিতে হবে। আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে সংগঠনের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। অনেক সুবিধাবাদীও সংগঠনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তিনি বলেন, আজকে এখানে যারা এসেছেন, আপনারা তৃণমূলের নেতা, আপনাদের নিয়েই আওয়ামী লীগ। আপনাদের জানাচ্ছি, এই অনুপ্রবেশকারীদের আমাদের সংগঠনে দরকার নেই। যারা ঢুকেছিল, ধীরে ধীরে তাদেরকে বের করে দিতে হবে। সেই কার্যক্রম আমাদের শুরু করতে হবে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজ চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ীতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, বিএনপিতে কোনো আদর্শ নেই। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট, ভাড়া করা নেতাদের নিয়ে দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তাদের ঐক্যফ্রন্টে ঐক্য নেই। ঐক্যফ্রন্টও এখন ভেঙে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগে অন্য দল থেকে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের ধীরে ধীরে বের করে দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সব নেতাকর্মীর প্রতি আমি বিনীত অনুরোধ জানিয়ে বলি, ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। বিনয় মানুষকে মহান করে। বিনয়ী মানুষকে সবাই ভালোবাসে। ঔদ্ধত্য মানুষ পছন্দ করে না। আমাদের নেতকর্মীদের মাঝে যেন ঔদ্ধত্য আচরণ না থাকে, সেজন্য এই সভা থেকে একটি বার্তা দেওয়া প্রয়োজন।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। সভার সঞ্চালনা করেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, তিন পার্বত্য জেলার সংসদ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/নাইচ/ইসরাত/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৯১
উন্নয়নের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
দিনাজপুর, ২৮ বৈশাখ (১১ মে) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সারা দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের বিরল ও বোচাগঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ধাবিত হচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়নের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধুকুরঝাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরবর্তী ৪ তলা একাডেমিক ভবন এবং ধুকুরঝাড়ি কলেজের ৪ তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বোচাগঞ্জ উপজেলার মুড়িয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা একাডেমিক ভবন, বড় সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা একাডেমিক ভবন, কড়ই উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর এবং ধুকুরঝাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের উদে¦াধন করেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সেই দেশ তত বেশি উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ধাবিত হয়েছে। শিশুরা জন্মগ্রহণ করার পর পড়াশোনার সময় হলে তাদেরকে সুশিক্ষার জন্য বিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। সরকার দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে যুগোপযোগী ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষায় যুবকদের শিক্ষিত করে তুলতে গুরুত্বারোপ করেছে। দেশে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ এবং মাদ্রাসা শিক্ষার ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক ও যুগোপযোগী মানসম্পন্ন টেকসই পদ্ধতিতে ভবনগুলো নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ৪ তলা করে ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে ৩ হাজার ২০০ বর্গফুট স্থান থাকবে। ৪ তলা ভবনের মোট ১২ হাজার ৮০০ বর্গফুট স্থান রয়েছে। শিক্ষার্থীরা মনোরম পরিবেশে যুগোপযোগী জ্ঞান অর্জনের জন্য ডিজিটাল ক্লাস রুম স্থাপন করা হবে। গ্রাম এবং শহরের মধ্যে দূরত্ব কমানোর লক্ষ্যে এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিরল উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ, শিক্ষক কায়সার আলী, মুক্তিযোদ্ধা আরশেদ আলী।
ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
#
জাহাঙ্গীর/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৮৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৯০
প্রযুক্তির উদ্ভাবনে আগামী ৫ বছরের বাংলাদেশ হবে অচিন্ত্যনীয়
--- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৮ বৈশাখ (১১ মে) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ হচ্ছে উদ্ভাবনের যুগ। চলমান ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের এই যুগে যারা উদ্ভাবন করবে না তারা টিকবে না, বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং। তিনি বলেন, উদ্ভাবনের দিক থেকে বাংলাদেশ এক অপার সম্ভাবনাময় দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন হবে অচিন্ত্যনীয়।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ইনোভেশন শোকেসিং ২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিল্প যুগে প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লবে উদ্ভাবনের নেতৃত্বে ছিল আমেরিকা ও ইউরোপ এবং এশিয়ায় জাপান। এখন আর তারা সেই নেতৃত্বের জায়গায় থাকছে না। কারণ তাদের তরুণ জনগোষ্ঠীর অভাব। আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠী খুবই মেধাবী। তরুণদেরকে কাজে লাগাতে হবে উদ্ভাবনের জন্য। বাংলাদেশ গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে রূপান্তরের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি দেখিয়েছেন তা বিস্ময়কর। সরকার এ ব্যাপারে শত বছর অতিক্রম করে আসছে।
টেলিকম বিভাগের সাথে জনগণের নিবিড় সম্পৃক্ততার প্রসঙ্গ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় এ বিভাগের সাম্প্রতিক উদ্ভাবন ফলপ্রসূ ভূমিকা রেখেছে। মন্ত্রী জাতিকে আরো নতুন নতুন উদ্ভাবন উপহার দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) ড. মোঃ শামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, এটুআই পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের চিফ ইনোভেটর অফিসার মোঃ আজিজুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী এর আগে ইনোভেশন শোকেসিং ২০১৯ পরিদর্শন করেন। ইনোভেশন শোকেসিং ২০১৯ এ প্রদর্শিত উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবনীগুলোর মধ্যে ছিল বিটিআরসি এর আইএমইআই ডাটাবেস ও এনওসি স্বয়ংক্রিয়করণ এবং কেন্দ্রীয় বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ প্লাটফরম। বিটিসিএল এর ডায়ালার, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা নগদ এবং টেলিটক এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ভর্তি ব্যবস্থা ও ফলাফল যাচাইকরণ এবং আইভিআর ব্যবহার করে দুর্যোগের আগাম বার্তা প্রদান। এই উদ্যোগসমূহের সার্বিক সহায়তায় ছিলো এটুআই, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ইউএস এআইডি এবং ইউএনডিপি।
#
শেফায়েত/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮০৭ ঘণ্টা