Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

তথ্যবিবরণী -12.02.2020

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ৫৩৫

 

সৌদি আরবের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বন্ধুত্বে রূপান্তরিত হয়েছে

                                                               -- অর্থমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :

 

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সৌদি আরবের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গত অর্ধ শতাব্দীতে বন্ধুত্বে রূপান্তরিত হয়েছে, যার পিছনে রয়েছে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব। বাংলাদেশ এখন বন্ধুত্বের ঊর্ধ্বে টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর অংশীদারিত্বকে ধরে রাখার দিকে নজর দিচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পরে দেশ দু’টির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই পারস্পরিক চুক্তির ভিত্তিতে একটি যৌথ কমিশন (জেসি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ সৌদি আরব যৌথ কমিশনের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ এবার এমন একটা সময়ে এই যৌথ কমিশনের সভার আয়োজন করছে যখন গোটা জাতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী
উদ্‌যাপন করছে। এই অধিবেশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোরও আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে সহায়তা; কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাসে অবদান রাখতে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ; এসডিজি, পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং অন্যান্য জাতীয় পরিকল্পনা ও নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সহযোগীতা প্রত্যাশা করছে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্বে রয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ। সৌদি আরবের ৪০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন সেদেশের শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মাহির আবদুল রহমান আল গাসিম।  সৌদি আরবের ARAMCO, ACWA Power, Bawany-সহ বেসরকারি বেশকিছু ব্যবসায়িক সংস্থার প্রতিনিধি সৌদি আরব দলের সাথে রয়েছেন।

#

গাজী তৌহিদুল/ফারহানা/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৯৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৫৩৪  
 
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্নের পথে
                                           --- ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী
 
ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। 
আজ ঢাকায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ার সংলগ্ন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ‘ঘাঁটি বাশার’ এর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। 
সভায় জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল স্থাপন, সকল পর্যায়ের অতিথি ও দর্শকবৃন্দের আসন ব্যবস্থা, অতিথি ও দর্শকবৃন্দের অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের ব্যবস্থাপনা, গাড়ি পার্কিং, অনুষ্ঠান পরিবেশনা, স্বেচ্ছসেবক নিয়োগ, অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা তাঁদের গৃহীত পদক্ষেপের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
  সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, এমপি; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ মাহফুজুর রহমান; এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম; গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার; তথ্য সচিব কামরুন নাহার; স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মজিবুর রহমান; র‌্যাব ফোর্সেস এর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ; পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী; বিটিভি মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ; গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোঃ খলিলুর রহমান এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।
#
 
লিপি/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২০০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৫৩৩

পর্যটনকে তুলে ধরার এখনই উপযুক্ত সময়

                             --- পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :

          বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, দেশীয় পর্যটন আকর্ষণসমূহকে বিশ্বের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরার এখনই উপযুক্ত সময়। দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গৌরবময় ইতিহাস ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য-সহ দেশের যে বৈচিত্র্যময় পর্যটন সম্ভার রয়েছে তা দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে যথাযথ প্রচারণার মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পর্যটনের প্রসারে মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বিশেষ ভ্রমণ ম্যাগাজিন ÔBeautiful BangladeshÕ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

          মাহবুব আলী বলেন, ঢাকা ও এর আশপাশের পর্যটন আকর্ষণসমূহকে নিয়ে মন্ত্রণালয়ের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। এই পর্যটন আকর্ষণসমূহকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রতি সপ্তাহে উন্নত দেশের মতো ডাবল ডেকার পর্যটন বাসের মাধ্যমে ঘুরে দেখার ব্যবস্থা করা হবে। অচিরেই এরকম চারটি বাসের মাধ্যমে বিশেষ ট্যুর পরিচালনা করা হবে।

          অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সকল যাত্রীকে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোনো যাত্রী এ পরীক্ষা এড়িয়ে যাওযার সুযোগ নেই। এছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিমানবন্দরসমূহে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বিধায় এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারকে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করার জন্য কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করার কাজ চলছে। কক্সবাজারে অবস্থিত পর্যটন কর্পোরেশনের সকল হোটেল-মোটেলে আধুনিকায়নে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে পর্যটকদের যে সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয় কক্সবাজারেও পর্যটকদের জন্য সেই ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

          অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আতিকুল হক ও পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস-সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

#

তানভীর/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/১৯২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৫৩২

 

দুর্যোগ সহনীয় জাতি গঠনে কাজ করছে সরকার

                                    -- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ সহনীয় জাতি গঠনে সরকার কাজ করছে। বড় থেকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে জাপান সরকার এবং জাইকা আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে পুরাতন ভবনগুলো সংস্কার করে ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা হবে। দেশের প্রকৌশলী ও স্থপতিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে যেন ভূমিকম্প সহনীয় ভবন ও অন্যান্য স্হাপনা নির্মাণে তারা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘নগর দুর্যোগ (ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদি) ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও মহড়া’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার একটি দীর্ঘমেয়াদি ডেলটা পরিকল্পনা-২১০০ অনুমোদন করতে যাচ্ছে। এই পরিকল্পনার আওতায় প্রাথমিকভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি “হটস্পটে” আনুমানিক ৩৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পনার প্রথম ধাপের ছয়টি হটস্পট হলো উপকূলীয় এলাকা, বরেন্দ্র এবং খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর বা জলাবদ্ধ এবং বন্যাপ্রবণ এলাকা, পাহাড়ি এলাকা, নদী ও মোহনা অঞ্চল এবং আরবান এলাকাসমূহ।

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ্ কামাল এবং বিশ্ব ব্যাংকের আরবান রেসিলেন্স প্রকল্পের টিম লিডার স্বর্ণা কাজি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান।  

 

#

 

সেলিম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/১৮৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৫৩১

স্বাস্থ্যখাতে এ বছরই ৩০ হাজার লোকবল নিয়োগ হবে

                                                   --- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :

          স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘এ বছরই ৩০ হাজার লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে স্বাস্থ্যখাতে। মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা থাকায় এতদিন প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু গতকাল হাইকোর্টের একটি রায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আসায় এবছরই প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নিয়োগের সব ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

          মন্ত্রী আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ডিআরইউ সদস্য ও তাঁদের পরিবারের জন্য হেলথ ক্যাম্প’  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          দেশের স্বাস্থ্য সেবাকে উন্নত ও আধুনিক করতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে, যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে কিন্তু যাঁদের মাধ্যমে সেবাগুলি মানুষ পাবে সেই সংখ্যক লোকবল হাসপাতালে বৃদ্ধি পায়নি। স্বাস্থ্যসেবাকে উন্নত ও সহজলভ্য করতে শুধু স্বাস্থ্যসেবা খাতেই অন্তত এক লক্ষ চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফারি, ফার্মাসিস্টসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য লোকবল প্রয়োজন।’

          অনুষ্ঠানে সংবাদকর্মীদের নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, ‘মিডিয়া কর্মীদের দিনভর নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। এতে রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে বেশি। এ কারণে ডিআরইউ সেন্টারে প্রয়োজনীয় জায়গা পেলে একটি সার্বক্ষণিক চিকিৎসা ব্যবস্থা হেলথ কর্নার ব্যবস্থা করার সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’

          অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশে কোন করোনা রোগী নেই এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে দেশবাসীকে নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি, সামনেই মুজিববর্ষ উদ্যাপন ও গত এক বছরের স্বাস্থ্যখাতের সাফল্যসমূহও মন্ত্রী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

          ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক রুহুল আমিন খন্দকার।

#

মাইদুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৫৩০

  

গাজীপুরে দূষণ বিরোধী অভিযান

৩টি ইটভাটা ধ্বংস ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা

 

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :

 

আজ প‌রিবেশ অ‌ধিদপ্তরের ম‌নিট‌রিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যা‌জি‌স্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলায় বায়ু দূষণ বিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। উত্তর খাম এলাকার মেসার্স এইচএস ব্রিকস, সনমানিয়া এলাকার ফাহাদ এন্ড কোং (এফএনসি) এবং ধানদিয়া এলাকার আরএল ব্রিকসকে এক্সকাভেটর মেশিনের সাহায্যে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পাশাপাশি ইটভাটাগুলোর মা‌লিক‌দেরকে ৫ লাখ টাকা ক‌রে মোট ১৫ লাখ টাকা জ‌রিমানা করে তা আদায় করা হয়।

 

দূষণ বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী সকল অবৈধ ইটভাটা ও যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকা‌লে গাজীপুর প‌রি‌বেশ অ‌ধিদপ্ত‌রের উপপ‌রিচালক মোঃ আব্দুস সালাম সরকার, রিসার্চ অফিসার মোঃ আশরাফ উদ্দিন, প‌রিদর্শক শেখ মোজাহীদ ও দিলরুবা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে গাজীপুর র‍্যাব-১ ও গাজীপুর আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

 

#

 

দীপংকর/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৮৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৫২৯

দুবাইয়ে পরিবেশবান্ধব ব্লক তৈরির প্ল্যান্ট পরিদর্শন করলেন গণপূর্ত মন্ত্রী

দুবাই (সংযুক্ত আরব আমিরাত), ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :

          সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পরিবেশবান্ধব অটোক্লেভড অ্যারেটেড কংক্রিট ব্লক তৈরির প্ল্যান্ট পরিদর্শন করছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

          মন্ত্রী আজ দুবাইয়ের শিল্প এলাকায় জাপানি প্রতিষ্ঠান মাসাহ-এর আমন্ত্রণে এ প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন।

          গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ আফজাল হোসেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ সাঈদ নূর আলম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি শামীম আমিনুর রহমান, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।

          এ সময় গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের লক্ষ্য পরিকল্পিত নগরায়ন এবং নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব আবাসন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এজন্য ভবন নির্মাণে ইটের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ও ব্যয়সাশ্রয়ী ব্লক ব্যবহার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ব্লক তৈরির প্রযুক্তি ও পদ্ধতিগত অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য এই পরিদর্শন।’

          উল্লেখ্য, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়াধীন হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিবেশবান্ধব ও মূল্যসাশ্রয়ী ব্লক তৈরির কাজ করছে এবং এ নিয়ে গবেষণা করছে।

#

ইফতেখার/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৫২৭

  

কোরবানির চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কমিটি গঠন

 

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :

 

আসন্ন কোরবানির চামড়া যথাযথভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিল্প, বাণিজ্য, পরিবেশ, ধর্ম ও তথ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, অর্থ বিভাগ, ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং চামড়া শিল্পসংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে সুপারিশ পেশ করবে। 

 

আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের ১ম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; পরিবেশ,  বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বক্তৃতা করেন।

 

সভায় চামড়া ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা আড়তদারদের নিকট থেকে যথাসময়ে কোরবানির চামড়া না কিনলে সেগুলো সরকারি উদ্যোগে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন গুদামে ন্যূনতম ৩ মাস সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া চামড়া সংরক্ষণে কওমি মাদ্রাসাগুলোকে প্রস্তুত রাখা হবে। এজন্য তাদেরকে ভর্তুকি প্রদান করা হবে। প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম ২জন ডিলারকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাদেরকে প্রয়োজনে প্রণোদনা দেওয়া ও সাময়িকভাবে চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে। এমনকি রপ্তানি নীতিমালা সংশোধনেও সরকার পিছপা হবে না।

 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য পেশাদার ও মৌসুমি কোরবানির পশু প্রক্রিয়াজাতকারী, ফড়িয়া, মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চলমান হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করা হবে। এছাড়া চামড়া সংরক্ষণে জনসচেতনতা তৈরি কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন, মসজিদের  ইমাম, মাঠ পর্যায়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন, আলেম-ওলামা-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং টিভিসি তৈরি, ইউটিউব-সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও আপলোড করে এ বিষয়ে প্রচার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

 

#

 

মাসুম বিল্লাহ/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/সেলিম/২০২০/১৮০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৫২৬          

ধান সংগ্রহে কৃষকদের হয়রানি না করতে খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশ                                                                                    

বরিশাল, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকের কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকার নানাবিধ ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রথমবারের মতো আমন মৌসুমে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে, যাতে তারা ধান উৎপাদনে উৎসাহিত হয়।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চলতিবছর অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী বোরো মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহে সব উপজেলায় মোবাইল অ্যাপস চালু করা হবে। এ ক্ষেত্রে কোন ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।

আজ বরিশাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার মো. ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমসহ স্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ। 

এর আগে মন্ত্রী পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় নবনির্মিত দুমকি খাদ্যগুদাম উদ্বোধন করেন।

#

সুমন মেহেদী/অনসূয়া/জুলফিকার/কুতুব/২০২০/১৬১৪ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৫২৫

আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি-২১ মার্চ হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :  

হাম নির্মূল ও রুবেলা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকার ৯ মাস  থেকে ১০ বছরের নিচের সকল শিশুকে ১ ডোজ এমআর টিকা প্রদানের উদ্দেশ্যে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি-২১ মার্চ ২০২০ খ্রিস্টাব্দ (১৬ ফাল্গুন-৭ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ) ৩ সপ্তাহব্যাপী ‘হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০’ পরিচালনা করবে। উক্ত ক্যাম্পেইন চলাকালে সারাদেশে ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লক্ষ শিশুকে ১ ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হবে।     

সারাদেশে শিশুদের মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের হার কমিয়ে আনাই ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) এর মূল লক্ষ্য। ইপিআই-এর অন্যান্য লক্ষ্যসমূহের মধ্যে ২০২২ সাল নাগাদ জাতীয় পর্যায়ে হাম-রুবেলা (এমআর) টিকার কাভারেজ শতকরা ৯৫ ভাগে উন্নীতকরণ এবং ২০২৩ সাল নাগার হাম ও রুবেলা অর্জন অন্যতম। হাম-রুবেলা রোগ এবং জটিলতার হাত থেকে রক্ষা পাবার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হলো সঠিক সময়ে শিশুকে হাম-রুবেলার (এমআর) টিকা প্রদান করা। নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে ৯ মাস ও ১৫ মাস বয়সে শিশুদেরকে মোট ২ ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে।     

#

আসাদুল/অনসূয়া/জুলফিকার/আসমা/২০২০/১৫২০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৫২৪

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে ১৭ মার্চ দেশের সকল ভবনে

জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :    

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ সারাদেশে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ  সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। 

সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

#

অনসূয়া/জুলফিকার/জসীম/কুতুব/২০২০/১৩০০ ঘণ্টা 

আজ বিকাল পাঁচটার পূর্বে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৫২৩

বিশ্ব বেতার দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বাংলাদেশ বেতারের উদ্যোগে 'Radio and Diversity' এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এ বছরও ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২০’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ ‍উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের শ্রোতা ও সম্প্রচার কর্মীদের আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

বিশ্বে বেতার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর ও সহজলভ্য গণমাধ্যম। ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বেতার যাত্রার সূচনালগ্ন ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ এর অনন্য সাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ বেতার পেয়েছে ‘স্বাধীনতা পদক’ পুরস্কার।   

আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ যাচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এবং ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ প্রণয়ন করেছি। গণমাধ্যমের বিকাশ অব্যাহত রাখতে অনেকগুলি বেসরকারি টেলিভিশন, এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছি। দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। 

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে বেতারের উপযোগিতা অনেক। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা বিস্তার, কৃষি উন্নয়ন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসসহ সার্বিক উন্নয়নে বেতারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এছাড়া নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এখনও বেতারের ওপরই নির্ভরশীল। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২৬-এ মার্চ ২০২১ সময়কে আমরা ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছি। গোটা বাঙালি জাতির পাশাপাশি ইউনেস্কোর উদ্যোগেও বিশ্বব্যাপী পালিত হবে মুজিববর্ষ। বাংলাদেশ বেতার বর্ষব্যাপী নানা আয়োজনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে এবং সরকারের সার্বিক ‍উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বেতারের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ বেতার দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রজন্মান্তরের সেতুবন্ধন রচনায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।    

আমি আশা করি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ বেতার আরো দায়িত্বশীল ও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।    

আমি বিশ্ব বেতার দিবস-২০২০ এর সার্বিক সাফল্য কমনা করছি।   

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

ইমরুল/অনসূয়া/জুলফিকার/আসমা/২০২০/১০৩০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার পূর্বে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

আজ বিকাল পাঁচটার পূর্বে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৫২২

বিশ্ব বেতার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :    

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২০’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বাংলাদেশ বেতারের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২০’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেতারের শ্রোতামণ্ডলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ‍ও অভিনন্দন।

তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে বেতার একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সব ধরণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং স্বতন্ত্র বিষয়বস্তু মিডিয়া বৈচিত্র্যের অন্যতম অনুসঙ্গ। স্বাধীন গণমাধ্যম দেশ ও জাতির কল্যাণ ও মুক্তির আলোকবর্তিকা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ বছর বিশ্ব বেতার দিবসের প্রতিপাদ্য 'Radio and Diversity' প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী

2020-02-12-20-41-5f33c271d593cb7c8e13d91a48d8ceec.docx 2020-02-12-20-41-5f33c271d593cb7c8e13d91a48d8ceec.docx