তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০১৭
ডিজিটাল ডাক সেবা নিশ্চিত করতে হবে
-- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল যুগে পৃথিবী প্রতি মূহুর্তে পরিবর্তনশীল। তিনি ডাক সেবাকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর ডাকঘরের জন্য উপযুক্ত মানব সম্পদ তৈরি অপরিহার্য। তিনি বিদ্যমান ডাক সেবাকে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে জনগণের কাছে দ্রুত ডাক সেবা পৌঁছাতে করণীয় চিহ্নিত করে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ডাক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ডাক অধিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী ডাক সেবার ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ডাক সেবা ছিল এক সময় মানুষে মানুষে যোগাযোগ স্থাপনের একমাত্র উপায়। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে মানুষের হাতে হাতে যোগাযোগের ডিভাইস চলে আসছে। সামনের দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে ৫জি প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ার পর মানুষের জীবনের যে কী পরিবর্তন আসবে তা কেউ অনুমানও করতে পারছেন না। প্রযুক্তির অভাবনীয় পরিবর্তনের সাথে সঙ্গতি রেখে ডাক বিভাগকে রূপান্তর ঘটাতে হবে।
ডাক বিভাগের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে শত বছরের পশ্চাৎপদতাকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ আজ বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেল। গত দশ বছরে দেশে সাড়ে ৮ হাজার ডাকঘর ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রযুক্তিগত সমন্বয়ের মাধ্যমে ডাক সেবার ডিজিটাল রূপান্তরে সরকার বদ্ধপরিকর।
মন্ত্রী ডাক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সারা দেশের সকল ক্ষেত্রে যে ডিজিটাল রূপান্তর চলছে, এই ক্ষেত্রে ডাক বিভাগকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। ডাক বিভাগকে সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে যে প্রযুক্তি আমাদের ডিজিটাল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে। গ্রাহক সেবার ক্ষেত্রে যাতে কোন ঘাটতি না থাকে সে বিষয়টির পাশাপাশি প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত মানব সম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ^াস এবং ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
শেফায়েত/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০১৬
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন
-- সমাজকল্যাণমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে) :
ংবাদ বিজ্ঞপ্তি
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, আমরা আজকে যে বাংলাদেশকে দেখতে পাচ্ছি তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের ফল। তিনি বাংলাদেশকে বিশে^র বুকে এক অনন্য অবস্থানে উন্নীত করেছেন।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ একটি রেস্টুরেন্টে জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স¦দেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা পরিষদের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুয়ের সভাপতিত্বে সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এম মোয়াজ্জেম হোসেন, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল মকবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশকে পাকিস্তানি কায়দায় শাসন করে বাংলাদেশকে আতঙ্কের জনপদে পরিণত করা হয়েছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের অত্যাচারে দেশের মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর মানুষ নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিল। তিনি মানুষের আশা পূরণ করেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শই বাঙালির একমাত্র মুক্তির পথ।
মন্ত্রী আরো বলেন, এত স্বল্প সময়ে দেশকে বিশে^র বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করা সহজ কথা নয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব দেশের মানুষের জন্য সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ। তিনি বাংলাদেশকে বিশে^র বুকে মর্যাদার আসনে উন্নীত করেছেন।
#
জাকির/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০১৫
ব্যবসাবান্ধব যুগোপযোগী শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে
--- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে) :
দেশের সব স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবসাবান্ধব আধুনিক, যুগোপযোগী একটি শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
আজ রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে শিল্পায়ন পরবর্তী স্তর’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে শিল্পনীতি রয়েছে তা ১৯৭২ শিল্পনীতিকে ঘষামাজা করেই চলছে। এটিকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ২০২১ সালে যে শিল্পনীতি করা হবে তা সব স্টেক হোল্ডাদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবসাবান্ধব আধুনিক শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে।
বিজিসিসিআই-এর সভাপতি ওমর সাদাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম, বিজিসিসিআই-এর সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম মোর্শেদ, সহসভাপতি মোঃ মুইন উদ্দিন মজুমদার, পরিচালক মোঃ আনোয়ার শহীদ, নির্বাহী পরিচালক এম এ মতিন, ইনসেপ্টার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুকতাদির উপস্থিত ছিলেন।
#
জলিল/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২০৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০১৪
বাজার তদারকি
১৩৩ প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ৯ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে) :
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, রংপুর, টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, রাজবাড়ী, মাগুরা, শরীয়তপুর, দিনাজপুর, খুলনা, চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, গাজীপুর, রাজশাহী, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, যশোর, নাটোর, মুন্সীগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মাদারীপুর, ফেনী, কুষ্টিয়া, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণায় বাজার তদারকি করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুম আরেফিন, আফরোজা রহমান এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, লালবাগ ও দারুসসালাম এলাকায় বাজার তদারকি পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণের অপরাধে বিবিবি কসমেটিকসকে ৫০ হাজার টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে আলমাসকে ৫০ হাজার টাকা, মোস্তফা মার্টকে ৫০ হাজার টাকা, আগোরাকে ২৫ হাজার টাকা, সুইট স্টারকে ১০ হাজার টাকা, সেভলি কসমেটিকসকে ৫০ হাজার টাকা, নিওর কসমেটিকসকে ৫০ হাজার টাকা, বিবিবি কসমেটিকসকে ৫০ হাজার টাকা, আমরিন ফ্যাশনকে ১০ হাজার টাকা, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে আলমাসকে ৫০ হাজার টাকা, মোস্তফা মার্টকে ৫০ হাজার টাকা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির অপরাধে কেল্লাফতেকে ১৫ হাজার টাকা, সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করার অপরাধে গ্রীনলাইন পরিবহনকে ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অপরদিকে প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক ও জান্নাতুল ফেরদাউস কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সাথে ঢাকা মহানগরীর মতিঝিল ও নিউ মার্কেট এলাকায় ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে মামা ভাগীনা ১নং গরুর মাংসের দোকানকে ৩ হাজার টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে দ্য গাউছিয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ২৫ হাজার টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৭ শ’ টাকাসহ মোট ৩১ হাজার ৭শ’ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৪০টি বাজার তদারকির মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য, অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৫ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার শতকরা ২৫ ভাগ হিসেবে ৩ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
#
ফাহমিনা/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯৫০ ঘণ্টা