Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ এপ্রিল ২০১৯

তথ্যবিবরণী ২৭ এপ্রিল ২০১৯

তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর :  ১৬৯৯
 
আইসিবিএম সম্মেলন ব্যবসা সংক্রান্ত গবেষণায় ব্যাপক অবদান রাখবে
                                                     -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
 
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন (ওঈইগ ২০১৯) ব্যবসা সংক্রান্ত শিক্ষা ও গবেষণায় ব্যাপক অবদান রাখবে। এটি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি বিশেষ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, যা ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়াদের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে। এ ধরনের আয়োজন বাংলাদেশে এটিই প্রথম এবং বাংলাদেশে আয়োজিত এ জাতীয় অন্যান্য সম্মেলনের জন্য এটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
 
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর গুলশানস্থ হোটেল ওয়েস্টিনে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস স্কুল আয়োজিত ‘ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়হভবৎবহপব ড়হ ইঁংরহবংং ধহফ গধহধমবসবহঃ -ওঈইগ) ২০১৯’ এর পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দু’শত অংশগ্রহণকারী গবেষকের সমন্বয়ে ১৬০টিরও বেশি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে, যা এ সম্মেলনের সফলতা নির্দেশ করছে। সম্মেলনের অন্যান্য আকর্ষণীয় দিকসমূহ হলো- একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি ডিসকাশন, ইন্ডাস্ট্রি টক ও ইনভাইটেড টক। তিনি বলেন, এ সম্মেলন উপস্থিত বিজ্ঞ স্কলার ও গবেষকদের তাঁদের পেশাগত উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। অধিকন্তু, সম্মেলনটি শিল্পখাত সংশ্লিষ্টদের আরো সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করতে সহায়তা করবে।
 
 প্রোগ্রাম চেয়ারপার্সন সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  প্রফেসর ড. ভিনসেন্ট চ্যাং (উৎ. ঠরহপবহঃ ঈযধহম), উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তামিম, এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান এম আনিস-উদ-দৌলা এবং সেশন চেয়ারপার্সন ও ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুব রহমান বক্তৃতা করেন। 
 
#
 
ফয়সল/ইসরাত/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২২৩০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর :  ১৬৯৮
 
সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে
                                                                       -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
 
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, ফ্রিল্যান্সার বা  মুক্ত পেশাজীবী হওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন ও  যৌথ প্রচেষ্টা এ দু’টি অনুষঙ্গ অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, দক্ষতার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান  বা সমাধানের উপায় বের করা যায়।
 
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিসিসি মিলনায়তনে ফ্রিল্যান্সারদের সংগঠন আপওয়ার্ক গ্রুপ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সার অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষিত তরুণদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন  ২৮টি হাইটেক পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৪ হাজার ৫শ’টি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হবে। ফ্রিল্যান্সাররা গ্রামে বসেই  শহরের সুবিধা পাবে। সহজেই তাদের কাজ করতে পারবে, যার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, প্রতি বছর  ৩০ লাখ তরুণ  কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। তাদেরকে দক্ষ করতে সরকার প্রশিক্ষণসহ নানামুখী সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। তিনি বলেন, একজন ফ্রিল্যান্সারকে তার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। 
 
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯ হাজার শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নতুন আরেকটি প্রকল্পের  (ইডিসি) মাধ্যমে আরো ২৫ হাজার ৫০০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, এ সমস্ত ল্যাব সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠবে। তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন তথা প্রযুক্তিনির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে ফ্রিল্যান্সারদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার ব্যবসা করবে না তরুণদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এই সুযোগ ফ্রিল্যান্সারসহ  সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজে লাগাতে হবে। 
 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আপওয়ার্ক বাংলাদেশ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মুজাহিদুল ইসলাম এবং সদস্য মোস্তফা, মামুন, কাজী মামুন, কায়সার আহমেদ, আরিফুর রহমান প্রমুখ।
 
পরে প্রতিমন্ত্রী সেরা ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
 
#
শহিদুল/ইসরাত/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১৫০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর :  ১৬৯৭
 
দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে সরকার নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে
                                               --  প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
 
গোয়াইনঘাট (সিলেট), ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
 
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে সরকার নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তিনি আরো বলেন, হাওরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে আলোকিত করা হবে। প্রতিমন্ত্রী আজ গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সালুটিকর-গোয়াইনঘাট গাংকিনারী সড়কটি দ্রুত সময়ের মধ্যে মানুষ চলাচলের উপযোগী করে তুলতে আন্তরিকভাবে কাজ করা হচ্ছে। অসহায় ৩৮টি পরিবারে ৭৬ বান্ডিল ঢেউটিন ও প্রত্যেককে নগদ ৬ হাজার টাকা প্রদানের মাধ্যমে দুস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। এছাড়া চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ৩০৩ জন শ্রমিকের মধ্যে এককালীন ৫ হাজার টাকা করে ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ১শ’ ১১ জন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি বাবদ ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। ক্ষুদ্র্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ৯০ জন অসহায়কে ৩ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে।
 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পালের সভাপতিত্বে বিভিন্ন পৃথক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম, গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গোয়াইনঘাট সার্কেল) মোঃ নজরুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল জলিল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফিয়া বেগম প্রমুখ।
 
#
 
রাশেদুজ্জামান/ইসরাত/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১৪০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর :  ১৬৯৬
নিজেদের আইডিয়াকে পণ্য বা সেবায় রূপান্তর করতে হবে
                                           -- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রযুক্তি দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ  ছিল কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ  প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছে, কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মিস করেনি ।  
মন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ মিলনায়তনে ইনোভেশন ডিজাইন এন্ড অন্ট্রাপ্রনারশিপ একাডেমি’ (আইডিয়া) প্রজেক্ট এবং তরুণদের প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার যৌথ উদ্যোগে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ : চ্যাপ্টার ওয়ান’ এর  দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বিপ্লব ঘোষণা করেন। সেই হিসেবে বাংলাদেশ পৃথিবীর প্রথম ডিজিটাল ঘোষণাকারী দেশ। পৃথিবীর কোনো দেশ এর আগে  নিজেদের ডিজিটাল ঘোষণা করেনি। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে কৃষিনির্ভর দেশ থেকে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে  ডিজিটালাইজেশনের ভিত রচনা করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আগামী প্রজন্ম যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে আমরা সেই প্রেক্ষাপট প্রস্তুত করেছি। তিনি আরো বলেন, আমরা ভোক্তার দেশ থেকে উৎপাদকের দেশে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশ এখন মাদারবোর্ড, মোবাইল ফোন তৈরি করছে। মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ আশপাশের সব দেশের চেয়ে অর্থনৈতিক সূচকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। বাংলাদেশের সকল টিভি চ্যানেল শীঘ্রই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আওতায় আনা হবে। 
তরুণদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, বয়সের কোটা বাড়িয়ে চাকরি হবে না। বর্তমানে চাকরির যেসব ক্ষেত্র রয়েছে ভবিষ্যতে ৮০ ভাগ ক্ষেত্র বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সুতরাং পেশায় টিকে থাকতে হলে এবং উন্নতি করতে হলে ডিজিটাল দক্ষতা থাকতে হবে। এতদিন শক্তিটা কায়িক শ্রমের ওপর নির্ভর থাকলেও তা এখন মেধার ওপর নির্ভরশীল। মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যৎ পৃথিবী তোমাদের। কোনো কিছু শুরু করতে আইডিয়ার অভাব হয় না। শুধু প্রচলিত ধারণার সাথে নতুন কিছু যোগ করলেই হয়। তবে এসব আইডিয়া যেন জনগণের কল্যাণে হয় এবং এ থেকে যেন আয় হয়।  অর্থাৎ আইডিয়াকে পণ্য বা সেবায় রূপান্তর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)-এর নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক, ইয়াং বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন ক্রিয়েটিভিটি এবং অন্ট্রাপ্রনারশিপ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সুপারনিউমারি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ রশিদুল হাসান, সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশনের কর্মকর্তাগণ। 
উল্লেখ্য, দেশের আট বিভাগের ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলবে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ : চ্যাপ্টার ওয়ান’-এর কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে ৩টি দল বাছাই করা হবে। এই ১২০ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত হবে সাভারে। সেখান থেকে দর্শক ভোট এবং বিচারকদের ভোটে বাছাই করা হবে মূল প্রতিযোগিতার ৩০ স্টার্টআপ। আইডিয়া প্রকল্পের বাছাই কমিটি এবং অন্য বিচারকদের সাহায্যে ১০ স্টার্টআপকে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এই দলগুলো নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অর্থ ও পরামর্শসহ যাবতীয় সহায়তা পাবে আইডিয়া প্রজেক্ট থেকে।
#
শহিদুল/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৯২০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৬৯৫
 
পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটিতে অবদান রাখায় ২৪টি কারখানাকে পুরস্কার দেবে সরকার
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
     পেশাগত স্বাস্থ্য ও কারখানার সেইফটিতে বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন খাতের ২৪টি কারখানাকে এ বছর পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। 
      আজ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এ তথ্য জানান। 
      প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারখানা মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে এ বিষয়ে মালিকদের আগ্রহ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত বছর থেকে ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি উত্তম চর্চা পুরস্কার’ প্রবর্তন করেছে। সেই লক্ষ্যে এ বছর বিভিন্ন খাতের ২৪টি  কারখানাকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। আগামীকাল ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ এর অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপ্ত কারখানা মালিকদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
     প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২০৩০ সালের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে সামনে এসেছে। ২ হাজার ২৬২ গার্মেন্টস কারখানায় সেইফটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি এবং যে কোনো প্রকার বিরোধ নিষ্পত্তিতে আমরা মালিক-শ্রমিকদের সামাজিক সংলাপের পরামর্শ দিচ্ছি। পোশাক শিল্পের লাখ লাখ শ্রমিকের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ২০১৭ সালে শুধু গার্মেন্টস শিল্পের জন্য আলাদা ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করেছি। শ্রমিকের যে কোনো সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, নিষ্পত্তি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য সার্বক্ষণিক বিনাখরচে হেল্প লাইন-১৬৩৫৭ চালু রয়েছে।
     শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে কোনো শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে যা কিছু প্রয়োজন সব কিছু করবে সরকার। তিনি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের নি¤œতম মজুরি আট হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বাস্তবায়ন পর্যায়ে দু’একটি ধাপে মজুরি সমন্বয়ে জটিলতা দেখা দেয়ার কারণে আমরা মালিক- শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মজুরি সমন্বয় করে গেজেট করে দিয়েছি। গার্মেন্টসের মজুরি বাস্তবায়নে এখন কোনো সমস্যা নেই। তারপরও সার্বক্ষণিক শ্রম পরিস্থিতি পর্যবক্ষেণে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সদস্য করে ২৯টি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটি ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নসহ শ্রম সংশ্লিষ্ট যে কোনো সমস্যা মনিটরিং করাসহ সকল সমস্যা সমাধান করবে। 
প্রেস বিফ্রিংয়ে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব উম্মুল হাসনা, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আহম্মদ, ড. মোল্লা জালাল, ড. রেজাউল হক, সাকিউন নাহার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টুসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
আকতারুল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৯২২ ঘণ্টা
 
                                                                                              
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৬৯৪
 
আগামীকাল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :    
       আগামীকাল ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’। দিবসটি উদ্যাপনে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটির গুরুত্ব এবং তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিবেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নিরাপদ কর্মপরিবেশ, টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ’।
 
     কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামীকাল সকাল ৭ টায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৪টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। 
 
    দিবসটি উপলক্ষে ঢাকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ করা হবে। দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর শিল্প এলাকায় ট্রাক-শোর আয়োজন করা হয়েছে।
 
    বাংলাদেশ আইএলও এর সিগনেটরি দেশ হিসেবে কলকারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের মতো বিষয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করে শ্রমিক- মালিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ২০১৬ সাল থেকে জাতীয়ভাবে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি (ঙঝঐ) দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে। 
#
আকতারুল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৯১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৬৯৩
 
চাঁদ সুলতানা পুরস্কার পেল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো
 
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
বাংলাদেশ সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘চাঁদ সুলতানা পুরস্কার ২০১৮’ প্রদান করা হয়েছে।
আজ রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ পুরস্কার প্রদান করেন।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে বলেন, আমি এই মুহূর্তে আরো একজন মহান মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি; তিনি হলেন খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যে মন্ত্রকে ঘিরে আজ রাজনীতি করি, এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হজরত খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) সে কথাটি অনেক আগেই বলে গেছেন। হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ¦ নয়। সকল ধর্ম মিলিয়ে শ্রী বৃদ্ধি করে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে বসবাস করতে চাই। এই বিষয়টি অনেক আগেই তিনি (আহ্ছানউল্লা) উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার আগে ও পরে নিরক্ষরতামুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ার কথা বার বার বলেছেন। সে কাজটি আজ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন করে যাচ্ছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোকে পুরস্কৃত করার জন্য তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ঝরে পড়া শিশুসহ সকল নিরক্ষর মায়ের নিরক্ষরতা দূরীকরণ আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনে আপনারা যারা এক সাথে কাজ করছেন তাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম।
উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা আহছানিয়া মিশন প্রয়াত উপকরণ উন্নয়নবিদ ও সাক্ষরতা কুশলী চাঁদ সুলতানার স্মরণে ২০০১ সালে ‘চাঁদ সুলতানা পুরস্কার’ প্রবর্তন করে।
এ পর্যন্ত বিবিধ ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদানের জন্য ১০ জন ব্যক্তি ও ৭টি প্রতিষ্ঠানকে চাঁদ সুলতানা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
#
জলিল/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৯১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৬৯২
 
সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে
---কৃষিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফলশ্রুতিতে জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কৃষি গবেষণার প্রায় সকল বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাঁর সৃষ্টি। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই খাদ্য উৎপাদনে বিশেষত দানাদার জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে দেশ।
আজ কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে খাদ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ঘঁঃৎরঃরড়হ ঙষুসঢ়রধফ-২০১৯ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ডেলিগেশনের প্রধান ও অ্যাম্বাসেডর রেন্সজে টেরিংক (জবহংলব ঞববৎরহশ), জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন।    
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে বাস্তবমুখী ও শক্তিশালী করা হয়েছে। খাদ্যসহ প্রতিটি খাতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছি। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।
তিনি আরো বলেন, কৃষিকে আধুনিকায়ন এবং লাভজনক করার লক্ষ্যে সার, বীজ, সেচসহ কৃষি উপকরণ  আরো সহজলভ্য করা হয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ুসহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। জনগণের জীবনযাত্রার ক্রমাগত মানোন্নয়ন, আয় বৃদ্ধি ও খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান অপরিসীম। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও পুষ্টিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৯০ শতাংশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত থেকে আসে। আমাদের   দেশে অনেক প্রজাতির সুস্বাদু মাছ আছে। সেগুলো রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে। 
ড. রাজ্জাক বলেন, পরিবেশ উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং বনভূমি সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের ব্যাপক প্রসার ঘটাতে আমরা নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। গত সাড়ে ১০ বছরে আমাদের বনভূমির পরিমাণ ৯ থেকে বেড়ে ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২০ সালে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমি শতকরা ২০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ‘ইধহমষধফবংয উবষঃধ চষধহ-২১০০’ শীর্ষক একটি শতবর্ষী ও সামগ্রিক কৌশলগত পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে। 
খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, পারিবারিক সম্পদ-ভিত্তির উন্নয়ন, মাতাপিতার শিক্ষা, প্রসব পূর্ব ও পরবর্তীকালে উন্নত স্বাস্থ্যও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদ- অনুযায়ী অনেকক্ষেত্রে তুলনামূলক অবদান রাখছে। বাংলাদেশে পুষ্টি উন্নয়নে সাম্প্রতিককালে তরুণ ও কিশোরদের সম্পৃক্ততা একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিউট্রিশন ক্লাবের প্রতিষ্ঠা তাদেরকে যথেষ্ট উৎসাহ যোগাচ্ছে। এসডিজি এর খাদ্য ও পুষ্টি সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যসমূহ অর্জনে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি ‘জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নীতি’ প্রণয়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নে বর্তমানে তরুণ ও কৃষকদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুষ্টি উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।  
 
#
গিয়াস/নাইচ/ইসরাত/রাহাত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৯১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৬৯১
 
সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
 
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন। 
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক শোক বার্তায় বলেন, ‘মাহফুজ উল্লাহ যখন তৎকালীন সাপ্তাহিক বিচিত্রায় কাজ করতেন, তখন থেকে আমার সাথে তাঁর পরিচয় এবং তাঁর বড় ভাই অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগে আমার সিনিয়র ছিলেন।’ মতের ভিন্নতা থাকলেও মাহফুজ উল্লাহর ব্যবহার ছিল উত্তম।
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
তৌহিদুল/নাইচ/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৮৪১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর :১৬৯০
 
স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে
                                                                                   --- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়কে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি দলমতনির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে আমরা সফলকাম হবো। স্বাধীনতার ইতিহাস ও চেতনা বাংলাদেশ এবং বহির্বিশ্বে প্রচারের সরকারি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা নষ্ট হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এগুলো পৌঁছানোর জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ।
মন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে বিদ্যাসাগর সোসাইটি আয়োজিত কথাসাহিত্যিক সোফিয়া হোসেন রচিত বীর বীরাঙ্গনা উপন্যাসের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের সবচাইতে গৌরব ও অহংকারের অধ্যায়। বক্তব্যের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও বীর বীরাঙ্গনাদের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ওপর এরকম নির্বিচার অত্যাচার কোনো মহাযুদ্ধেও হয়নি। তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত তাদের অপকর্মের সাফাই গাইতে শান্তির ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করেছে। তারা ইসলামের আদর্শ বিশ্বাস করে না। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ক্ষমতায় থাকাকালীন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করেছেন। 
মোজাম্মেল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরে বীরাঙ্গনাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি যুদ্ধশিশুদের পিতার নামের স্থানে নিজের নাম লেখার কথাও বলেছেন। জাতির পিতাকে হত্যার পরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতেও সাহস পেত না। বীরাঙ্গনারাও নিজেদের কষ্টের কথা মুখ খুলে কাউকে বলতে পারতো না।
সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন। তাদের মর্যাদা প্রদানের সাথে সাথে জীবনধারণের জন্য ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সমাজে যাতে তারা সম্মানের সাথে বাঁচতে পারে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অপরদিকে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি তাদের সমবেদনা ও সম্মান না দিয়ে অপবাদ দিয়েছে। 
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও অতিথিবৃন্দ বীর বীরাঙ্গনা উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন করেন।
বিদ্যাসাগর সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো দেলোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল।
#
দীপংকর/নাইচ/ইসরাত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর :১৬৮৯
 
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে যে কোনো মূল্যে রুখে দিতে হবে
                              ---কামাল আহমেদ মজুমদার
 
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে যে কোনো মূল্যে রুখে দিতে হবে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তীব্র সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এদের মূলোৎপাটন করতে হবে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার আজ রাজধানীর দারুস সালামে অবস্থিত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ হেলথ সায়েন্সেস-এ বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।  বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ হেলথ সায়েন্সেসের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদুল আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। 
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে সরকার জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হ
Todays handout (11).docx Todays handout (11).docx