তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২০৬
জলবায়ুবান্ধব সিমেন্ট শিল্প স্থাপনের আহ্বান ভূমিমন্ত্রীর
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর) :
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় উন্নয়ন কাঠামো এবং লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখনই সময় পরিবেশবান্ধব সিমেন্ট শিল্প স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়ার।
আজ ঢাকার একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সমিতি (বিসিএমএ)’-এর সহযোগিতায় ইন্টারসেম-এর উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সিমেন্ট শিল্প সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশ-সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চীন, সাইপ্রাস, মিশর, জার্মানি, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জাপান, জর্ডান, মাল্টা, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, ওমান, পাকিস্তান, পর্তুগাল, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনামের সিমেন্ট প্রস্তুতকারকরা অংশ নিচ্ছেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দারিদ্র্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করেছে। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে নগরায়ন, শিল্পায়ন, জ্বালানি ইত্যাদির চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাংলাদেশে সিমেন্ট শিল্পের প্রসার ও অগ্রগতির বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং অন্যান্য মৌলিক অবকাঠামো যেমন-আধুনিক সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সুরক্ষা ইত্যাদি সুবিধা-সহ সরকার সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে সবাইকে বিনিয়োগে স্বাগত জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিসিএমএ সভাপতি আলমগীর কবির, ইন্টারসেম প্রধান নির্বাহী ম্যালকম শেলবর্ন-সহ দেশ-বিদেশের সিমেন্ট উৎপাদন শিল্পের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, নির্বাহী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন।
#
নাহিয়ান/ফারহানা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২০৫তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২০৪
হাছান মাহ্মুদ - প্রকাশ জাভাদকার বৈঠক
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর) :
বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরো একধাপ এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের তথ্যমন্ত্রীদ্বয়।
আজ ঢাকায় সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদকার (Prakash Javadekar) এর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাঁরা। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী-সহ দু’দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
‘আমরা তথ্য ও সংস্কৃতির অনেকগুলো বিষয় যেমন টেলিভিশন ও বেতার সম্প্রচার, চলচ্চিত্র শিল্প খাতে দু’দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধিকল্পে আলোচনা করেছি’ উল্লেখ করে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদকার বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন এখন সমগ্র ভারতে ফ্রি ডিশের মাধ্যমে দেখা যায়। একইভাবে বাংলাদেশও ভারতের ডিডি চ্যানেল ফ্রি ডিশের মাধ্যমে এখানে সম্প্রচার করছে। এটি পারস্পরিক সহযোগিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ওপর দু’দেশ মিলে দু’টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে।’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে আমরা অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা জানেন যে, ভারত বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর একটি ছবি নির্মিত হচ্ছে এবং এর কাজ শুরু হয়েছে। সেটির অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
‘এছাড়া, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে, বিশেষ করে, এফডিসির অধীন যে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি আমরা নির্মাণ করেছি, সেটিকে আমরা কিভাবে একটি সুন্দর ফিল্ম সিটিতে রূপান্তর করতে পারি, সেজন্য তাদের সহযোগিতা আমরা চেয়েছি। তিনি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন,’ বলেন ড. হাছান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিটিভি এখন সমগ্র ভারতবর্ষে ফ্রি ডিশের মাধ্যমে সবাই দেখতে পারছে। বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেলগুলো ভারতে প্রদর্শনের জন্য কোনো বিধিনিষেধ নেই। সে কারণে সেগুলো ত্রিপুরাতে দেখা যায়। এটা আমি নিজে দেখেছি। পশ্চিম বাংলায় সেগুলো দেখা যায় না, কারণ সেখানে বাধাটা হচ্ছে কেব্ল অপারেটরদের পক্ষ থেকে। তারা উচ্চ ফি দাবি করে। এই বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। ভারতের মন্ত্রী বলেছেন, তারা বিষয়টি অত্যন্ত গভীরভাবে দেখবেন যাতে চ্যানেলগুলো সেখানেও দেখা যায়। কারণ পৃথিবী এখন গ্লোবাল ভিলেজ। এখন এমনি দেখা না গেলেও অ্যাপ বা ইউটিউবের মাধ্যমে সবাই দেখতে পারছে। সুতরাং আটকে রাখতে চাইলেও রাখা যায় না। এ বিষয়গুলো আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। তথ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি দু’দেশের বন্ধুত্বকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেবে।’
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/২০০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২০৩
গ্রামীণ অবকাঠামো খাতে জাপানি সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বাংলাদেশের গ্রামীণ অবকাঠামো খাতে জাপানি সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) -এর একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এ আহ্বান জানান। জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি হিতোশী হিরাতা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
মন্ত্রী জাপানকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে জাইকা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। বর্তমান সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে গ্রামীণ অবকাঠামো খাতে অর্থায়ন ও প্রযুক্তির সহায়তা দরকার।
জাইকা প্রতিনিধিদল মন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশ জাইকার সর্বোচ্চ সহায়তা গ্রহণকারী দেশের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে শহর ও গ্রামীণ উন্নয়নে, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জাপান কাজ করছে। বর্তমানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ১৮টি প্রকল্পে জাপানি ঋণ ও সহায়তার পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা। তারা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি এগিয়ে নিতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন এবং বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরো ভূমিকা রাখার সুযোগ চান। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তারা মন্ত্রীকে জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানান। মন্ত্রী তাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে জানান, নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি জাপান সফর করবেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব ড. কাজী আনোয়ারুল হক, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র প্রতিনিধি কোজি মিতোমোরী ও প্রতিনিধি হিয়োকী ওয়াটানাবে উপস্থিত ছিলেন।
#
হাসান/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২০০
জেনেভায় আইএলও মহাপরিচালক-শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এর মহাপরিচালক গাই রাইডার এর সাথে বৈঠক করেছেন। গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলও সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী শ্রম পরিস্থিতি এবং শ্রমিকদের কল্যাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের নিচে কোন শিশুকে যে কোন ধরনের কাজে নিয়োগ দেয়া যায় না। সরকার আইএলও কনভেনশন-১৩৮ অনুসরণ করে গত বছর শ্রম আইনে সংশোধনী এনেছে। আগে শিশুদের হালকা শ্রমে নিযুক্তির সর্বনিম্ন বয়স ছিল ১২ বছর, এখন তা ১৪ বছর করা হয়েছে।
ট্রেড ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন সহজীকরণ, ডিজিটালাইজেশন এবং ৩০ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনে ট্রেড ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রেশন সুবিধার কথা তুলে ধরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রমিকবান্ধব সরকার শ্রমিকদের কল্যাণ এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে সবকিছু করবে।
আইএলও মহাপরিচালক শ্রম পরিস্থিতির অগ্রগতিতে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। আইএলও সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকে কাজ করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
বৈঠককালে শ্রম প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রতিষ্ঠার একশ’তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মহাপরিচালকের হাতে ‘শুভেচ্ছা স্মারক’ তুলে দেন।
জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একে এম মিজানুর রহমান বৈঠকে অংশ নেন।
#
আকতারুল/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০১৯/১৫৪৫ ঘণ্টা
Handout Number : 4199
Newly appointed Thai Ambassador calls the Foreign Minister
Dhaka, 5 November :
The newly appointed Ambassador of Thailand to Bangladesh Arunrung Phothong Humphreys today called on Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen, at the latter’s office. Dr. Momen congratulated the Ambassador on her appointment in Dhaka and assured all out support in discharging of her responsibilities.
Dr. Momen said that Bangladesh-Thailand bilateral trade is predominantly in favour of Thailand as Bangladesh exports a very insignificant amount (US$ 44 million in 2018-19 FY) in the Thai market. He suggested that the huge trade imbalance could be minimized if Thailand invests in Bangladesh where a very investor friendly environment is prevailing here. “Return on investment is higher in Bangladesh than in any other South Asian country”-he said.
Mentioning the popularity of Thailand as a destination for medical tourism, Dr. Momen said that it would be a win-win venture if Thai entrepreneurs construct joint venture hospitals in Bangladesh. He requested the Thai Ambassador to organize training sessions and technical capacity building programmes on tourism in Bangladesh.
Ambassador Humphreys informed that her mission has already sent a proposal to Bangkok to explore the possibility of investing in the healthcare sector of Bangladesh. She also assured to provide Thailand’s technical support in Bangladesh’s tourism sector. She also informed that the Thai Embassy in Dhaka is planning to hold a Business Forum either in Dhaka or in Bangkok soon. She said that though Bangladesh has a trade deficit vis-à-vis Thailand, her country has a significant investment presence in Bangladesh.
Foreign Minister Dr. Momen thanked Thailand for the humanitarian support extended to the Rohingyas and sought a pro-active role from Thailand on the repatriation issue. The envoy assured to remain engaged on the issue and convey Dhaka’s concerns to her headquarters. She informed that as the outgoing chair of ASEAN Thailand attached top priority to the Rohingya crisis and a durable solution.
#
Tohidul/ Parikshit/Zashim/Asma/2019/1630 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯৮
হাউজ অফ লর্ডস-এর মতবিনিময় সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
হজের নতুন আইন প্রণয়নের পূর্বে সর্বোচ্চ হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশের সাথে আলোচনা করা উচিত
লন্ডন (যুক্তরাজ্য), ৫ নভেম্বর :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এডভোকেট শেখ মো: আব্দুল্লাহ বলেছেন আল্লাহ’র মেহমান হাজীদের সেবায় নিয়োজিত হওয়া এবাদতের অংশ। তাদের সেবায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করতে হবে। সেবার পরিবর্তে তাঁদেরকে নিয়ে ব্যবসার চিন্তা করা অনৈতিক। হজ ব্যবস্থাপনার নতুন নিয়ম বা আইন করার আগে সর্বাধিক হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোর সাথে সৌদি সরকার আলোচনা করলে হজযাত্রীগণ আরো বেশি উপকৃত হবেন। তিনি জানান, ২০২০ সালের হজ ব্যবস্থাপনা হবে সর্বোত্তম।
প্রতিমন্ত্রী আজ লন্ডনে ৩ দিনব্যাপী বিশ্ব হজ ও ওমরাহ সম্মেলন-এর দ্বিতীয় দিনে বৃটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অফ লর্ডস-এর স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাকক্ষে হজ ও ওমরাহ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন হাউজ অফ লর্ডসের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সদস্য মন্জিলা ব্যারোনেস উদ্দিন।
জেদ্দায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের কনসাল জেনারেল, সৌদি আরব, সুদান, দক্ষিন আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়াসহ ২৫টি দেশের মন্ত্রী ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা, হজ এজেন্সিজ ও বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির প্রতিনিধিগণ এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় হজ ও ওমরাহ যাত্রীগণের পরিবহন, আবাসন, ক্যাটারিং সার্ভিস ও মিনা-আরাফা, মোজদালিফায় হাজীগণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন সৌদিআরবের পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন করা এবং তাদের লাগেজ পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করে হজ ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করায় বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
আনোয়ার/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০১৯/১৫২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯৭
একনেকে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ৬ টি প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর) :
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি (একনেক) প্রায় ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৬টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন প্রায় ৪ হাজার ৪৩৯ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা-এর সভাপতিত্বে আজ শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক-এর সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘যশোর (রাজারহাট)-মনিরামপুর-কেশবপুর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক (আর-৭৫৫) উন্নয়ন’ প্রকল্প; ‘ফেনী-সোনাগাজী-মুহুরী প্রকল্প সড়কের ৩০তম কিঃমিঃ এ ৩৯১ দশমিক ৩৪ মিটার দীর্ঘ মুহুরী সেতু এবং বক্তারমুন্সী-কাজিরহাট-দাগনভূঁঞা সড়কের ১৩তম কিঃমিঃ এ ৫০দশমিক ১২ মিটার দীর্ঘ ফাজিলাঘাট সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প এবং ‘কক্সবাজার জেলার একতাবাজার হতে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি পর্যন্ত সড়ক (জেড-১১২৫) উন্নয়ন’ প্রকল্প; বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘আগারগাঁওস্থ শেরে বাংলা নগরে পর্যটন ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সিলেট জেলার সিলেট সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলায় দশগ্রাম, মাহতাবপুর ও রাজাপুর পরগণা বাজার এলাকা সুরমা নদীর উভয় তীরের ভাঙ্গন হতে রক্ষা’ প্রকল্প এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা (PPS) নির্মাণ’ প্রকল্প।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এম মান্নান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নুরূল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীবর্গ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহেদুর/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০১৯/১৪২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯৬
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, বন্দরে সতর্কতা
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর) :
উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯ শত ৩০ কিঃ মিঃ দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬০ কিঃ মিঃ দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯ শত ৯৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিঃ মিঃ যা দমকা অথবা ঝড়ো হওয়ার আকারে ৫০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রাবন্দর সমূহকে ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
#
তাসমীন/অনসূয়া/দীপংকর/আসমা/২০১৯/১৪০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯৫
মাস্টার্স শেষপর্ব পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর) :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭ সালের মাস্টার্স শেষপর্ব (নিয়মিত) পরীক্ষার ফল আজ ৫ নভেম্বর ২০১৯ প্রকাশ করা হবে। এ পরীক্ষায় ৩০টি বিষয়ে সারাদেশে ১৫৭টি কলেজের এক লাখ আটত্রিশ হাজার ছয়শত ঊনসত্তর জন পরীক্ষার্থী মোট ১১৪ টি কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে এক লাখ পাঁচ হাজার চারশত পঞ্চান্ন জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৭৬.০৫%।
প্রকাশিত ফল বিকেল ৫টার পর যে কোন মোবাইল থেকে SMS এর মাধ্যমে NU<space>MF<space> Roll লিখে 16222 নম্বরে Send করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.nu.ac.bd ও www.nubd.info থেকে জানা যাবে।
#
ফয়জুল/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৯/১২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯৪
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"অগ্নিকাণ্ডসহ যে কোন দুর্ঘটনা-দুর্যোগে জনগণের করণীয় বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০১৯ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সকল দুর্যোগে প্রথম সাড়াদানকারী সেবাধর্মী একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। ভূমিকম্প, অগ্নিদুর্ঘটনা, নৌযান দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ যে কোন মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বিভাগের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে অংশ নিয়ে থাকেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণ এবং দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য দেশের সকল ফায়ার স্টেশনে একটি করে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করছে। সেবা ও সামর্থ্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি এ বিভাগের সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
আমি আশা করব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর কর্মীরা নতুন উদ্যোমে সাহস, দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন এবং নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের 'সোনার বাংলাদেশ' গড়ে তুলতে সহায়তা করবেন।
আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০১৯ উদ্যাপনে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”
#
ইমরুল/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৯/১০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯৩
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০১৯' উপলক্ষে আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কমচারীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধারকাজ পরিচালনাসহ বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালনকালে নিহত ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
অগ্নিনির্বাপণ, আহতদের সেবা প্রদান, মুমূর্ষু রোগী পরিবহন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ যে কোন মানবসৃষ্ট দুর্যোগে জনজীবনের নিরাপত্তা বিধানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভি