তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩১১
করোনাকালে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ
করোনাকালে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিম্নোক্ত পরামর্শগুলো দিয়েছে:
#
রাহাত/মাহমুদুল/জসীম/মাসুম/২০২০/১৫০০ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০৯
অ্যাডভোকেট আকরামুজ্জামান এর মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আকরামুজ্জামান এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ।
প্রতিমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট আকরামুজ্জামান এর অবদানের কথা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করেন।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট আকরামুজ্জামান (৭৫) আজ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
#
ফয়সল/মাহমুদুল/জসীম/মাসুম/২০২০/১৫০০ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০৮
অনিয়ম দুর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল
-সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতই নয়, যে কোনো খাতের অনিয়ম দুর্নীতি রোধে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল।
মন্ত্রী আজ সকালে নিজ বাসভবনে ব্রিফিংয়ে একথা জানান। করোনা সংকটের এ প্রতিকূল সময়ে বন্যা কবলিত জেলাসমূহে মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।
চিকিৎসাক্ষেত্রে সকল রোগীই সমান। কোনো ধরনের ব্যবধান তৈরি না করে সমান দৃষ্টিতে চিকিৎসাসেবা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার এ ধরনের চর্চা নিরুৎসাহিত করে।
মন্ত্রী বলেন, করোনায় আক্রান্ত অনেক রোগী বাসা-বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন। যে সকল রোগী বাসা-বাড়িতে অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ পেতে টেলিমেডিসিন সেবার আওতা বাড়ানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে। পরীক্ষার মাধ্যমে অধিক সংখ্যক রোগী চিহ্নিত করা গেলে সংক্রমণের বিস্তার রোধ সহজতর হবে। তিনি সরকারের পাশাপাশি পিসিআর ল্যাব স্থাপনে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান।
#
নাছের/মাহমুদুল/জসীম/মাসুম/২০২০/১৫০০ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩১০
করোনাকালীন দুর্যোগে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে পাটখাত
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
করোনাকালীন দুর্যোগে পাটখাত বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা তথা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ার গতিকে ত্বরান্বিত করে চলেছে ।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম এগারো মাসে (জুলাই-মে) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৮১.৮০ কোটি ডলার আয় করেছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫.৭৪ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮.৬৯ শতাংশ বেশি। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিল পাটখাত। বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে সাত থেকে আট লাখ হেক্টর জমিতে ৮০-৮৫ লাখ বেল কাঁচা পাট উৎপন্ন হয়। চলতি ২০১৯-২০ মৌসুমে ৬ লাখ ৯৯ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৮০ লাখ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
দেশের পাটখাত উন্নয়ন, সম্প্রসারণের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে চলছে। বর্তমান সরকারের এসকল কর্মপরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ফলে সামগ্রিক পাটখাতকে গতিশীল করা সম্ভব হয়েছে। পাট ক্রয়বিক্রয় সহজিকরণ, কাঁচাপাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রনোদনা ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ভূমিকা রাখছে।
চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাটচাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে পাট অধিদপ্তরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি জুলাই, ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে । প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটচাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে চাষীগণকে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। এছাড়াও গুণগত মানসম্মত পাট ও পাটবীজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ৩৯০ মে:টন পাটবীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ সবধরণের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
#
সৈকত/মাহমুদুল/জসীম/মাসুম/২০২০/১৫০০ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০৭
করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট দুর্যোগে সারাদেশের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে সরকার । এ পর্যন্ত সারা দেশে দেড় কোটির বেশি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে ।
৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২৭ জুন পর্যন্ত সারাদেশে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন এবং বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার ২৪ মেট্রিক টন । এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা এক কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা সাত কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫ জন ।
শিশুখাদ্য সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ১২৩ কোটি টাকা । এরমধ্যে সাধারণ ত্রাণ হিসেবে নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে ৮৮ কোটি ৫৭ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৩ টাকা । এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৯৬ লাখ ৫৯ হাজার ১৭৩ এবং উপকারভোগী লোক সংখ্যা চার কোটি ২৮ লাখ ২২ হাজার ৪১১ জন ।
শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ২৫ কোটি ২১ লাখ ১৯ হাজার ২৪১ টাকা । এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা আট লাখ ১৫ হাজার ২৯১ এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৮৩৩ জন ।
#
সেলিম/মাহমুদুল/জসিম/মাসুম/২০২০/১০ ঘন্টা