তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩১৭
বাংলাদেশ আইসিটি শিক্ষায় খুব গুরুত্ব দিচ্ছে
-- শিক্ষামন্ত্রী
প্যারিস (ফ্রান্স), ১৩ নভেম্বর :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে রোল মডেল হবে। কারণ বাংলাদেশ আইসিটি শিক্ষায় খুব গুরুত্ব দিচ্ছে।
ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে ইউনেস্কোর ৪০তম কনফারেন্সে বাংলাদেশের বক্তব্য উপস্থাপনের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউনেস্কোর ৪০তম জেনারেল কনফারেন্সের প্রেসিডেন্ট তুরস্কের রাষ্ট্রদূত Ahmet Altay Cengizer এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন Madame Audrey Azoulay.
মন্ত্রী বলেন, 'এসডিজি-৪' সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে সরকার খুব গুরুত্ব দিচ্ছে এবং বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার ৯৮ শতাংশ এবং ছেলে শিক্ষার্থীর তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীর পরিমাণ বেশি।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে রোবটিক্স, আর্টির্ফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মতো বিষয়গুলো বিস্ময়কর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখিত বিষয়ে একটি নৈতিক মানদণ্ড তৈরি করতে মন্ত্রী ইউনেস্কোর প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ মনজুর হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
খায়ের/ইসরাত/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩১৬তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩১৪
জয়িতা বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের অনন্য উদাহরণ
-- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জয়িতা মানে জয়ী নারী। এই জয়িতারা দেশের নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের অনন্য উদাহরণ।
প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামের ষোলশহরে এলজিইডি ভবনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় আয়োজিত জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের জয়িতাদের চিহ্নিত করে তাদের যথাযথ সম্মান, স্বীকৃতি ও অনুপ্রেরণা প্রদান করে সমাজের আপামর নারীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করা এবং তাদের জয়িতা হতে অনুপ্রাণিত করছে সরকার। তিনি আরো বলেন, শুধু আইন দিয়েই নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করা যাবে।
উল্লেখ্য, আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর হতে ১০ ডিসেম্বর) এবং বেগম রোকেয়া দিবস (৯ ডিসেম্বর) উদ্যাপনকালে দেশব্যাপী ২০১৩ -১৪ অর্থবছর থেকে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকুরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল জননী নারী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী এই পাঁচ ক্যাটেগরিতে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার ৫৫ জন নির্বাচিত জয়িতাদের মধ্যে থেকে ৫ শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
#
আলমগীর/নাইচ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩১২
বিএনপি’র দুর্নীতিবাজদের তথ্য আছে, কাজ চলছে
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
‘বিএনপি’র দুর্নীতিবাজ ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য সরকারের কাছে আছে, এসব তথ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে’, জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে ‘চট্টগ্রামের সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘বিএনপি’র সারা অঙ্গে দুর্নীতি’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অর্থাৎ কালো টাকা বেগম খালেদা জিয়া জরিমানা দিয়ে সাদা করেছেন। বিএনপি’র অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান যিনি ন্যায়-নীতির কথা বলতেন, তিনি নিজেই কালো টাকা সাদা করেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি বিদেশেও উদঘাটিত হয়েছে। তারেক জিয়ার দুর্নীতির বিষয়ে দেশে এসে এফবিআই সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার প্রয়াত পুত্র কোকোর দুর্নীতিও উদঘাটিত হয়েছে। কোকোর দুর্নীতির মাধ্যমে পাচার করা টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। তাদের সারা অঙ্গে দুর্নীতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার তারা রাখে না।’
বিএনপি’র পক্ষ থেকে চলমান শুদ্ধি অভিযানকে আইওয়াশ উল্লেখ করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও তো বিএনপি’র যারা দুর্নীতিবাজ, তাদের ধরা হয়নি। সেজন্য হয়তো তারা এমনটা মনে করছে। বিএনপি’র যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে নানা কিছু অর্জন করেছে এবং সরকারকে, দেশকে, জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, সেই তথ্য সরকারের কাছে আছে। এগুলো নিয়েও সরকার নিশ্চয়ই কাজ করছে।’
‘সরকারের ব্যর্থতার কারণে ট্রেন দুর্ঘটনা’- বিএনপি’র এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এই দুর্ঘটনা কেন ঘটেছে সেটা ইতোমধ্যে পত্রিকায় এসেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি, চালকের ভুলের কারণে, সিগনাল অমান্য করার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের পর সেটা বেরিয়ে আসবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি খোঁজার বিএনপি’র যে অভ্যাস সেটি তাদের রাজনৈতিক দৈন্য ছাড়া কিছুই নয়। সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা সঠিক নয়। বরং যারা আহত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে রাজনীতিবিদদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। সংশ্লিষ্ট এলাকায় আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে, যারা আহত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়াতে।’
‘কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দিলেই তাকে অনুপ্রবেশকারী বলা যাবে না’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণসংগঠন। এখানে অন্য দল থেকে যোগ দিতে পারবে না, এমনটা নয়। যে কোন দল থেকে যোগ দিতে পারে। তবে অবশ্যই তাকে আওয়ামী লীগের নীতি আদর্শে বিশ্বাসী হতে হবে। কোন যুদ্ধাপরাধী বা যুদ্ধাপরাধীর দলের সঙ্গে জড়িত কাউকে দলে নেওয়া সমীচীন নয়। যারা নানাভাবে অপকর্মের সাথে যুক্ত, কিংবা আমাদের দলের বিরুদ্ধে, নেতাকর্মীদের নির্যাতনে জড়িত, তাদেরকে আমাদের দলে নেয়া উচিত নয়। অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে যে তালিকাটা হয়েছে সেটা প্রাথমিক তালিকা। সেটা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
#
আকরাম/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/সেলিম/২০১৯/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩১১
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন সংক্রান্ত চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র উপকমিটির সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন সংক্রান্ত চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র উপকমিটির ৮ম সভা আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপকমিটির আহ্বায়ক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনয় শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। উপকমিটির সদস্য সচিব ও তথ্যসচিব আবদুল মালেক বিগত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন।
সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে ওয়েব সিরিজ এবং খণ্ড ভিডিওচিত্র নির্মাণ ও সম্প্রচারে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রের স্ক্রিপ্ট চূড়ান্তকরণ এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের বিষয় আলোচিত হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক), চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মাসুদ পথিক, চলচ্চিত্র প্রযোজক সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, অভিনয় শিল্পী এম এ আলমগীর, পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল-সহ তথ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
নাসরীন/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০১৯/১৮০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩০৮
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
এবারের প্রতিপাদ্য - ‘আসুন, পরিবারকে ডায়াবেটিসমুক্ত রাখি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। আমরা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নেও কাজ করছি। সারা দেশে সকল হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট এবং মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। জনগণকে ৩০ পদের ঔষধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছি।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টিতে আমাদের সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে নানা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাই।
আমি ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”
#
আশরাফ/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৯/১২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩০৭
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজ থেকে বার বছর আগে বাংলাদেশের উদ্যোগের কারণেই দিবসটি জাতিসংঘ দিবস হিসেবে মর্যাদা লাভ করে যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের।
অব্যাহত নগরায়ণের কারণে জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন, কায়িক পরিশ্রমের অভাবসহ নানা কারণে বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ডায়াবেটিস এখন উদ্বেগের অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবর্তিত জীবনধারণের কারণে ডায়াবেটিস যেমন বাড়ছে তেমনি অপরিকল্পিত গর্ভধারণের কারণেও ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের অর্ধেকের বেশি পরবর্তীতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। এমনকি অপরিকল্পিত গর্ভধারণের কারণে শিশু অপুষ্টির শিকার হলে এবং সেই শিশু পূর্ণবয়স্ক হবার পর অতিরিক্ত ওজন হলে তার ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি থাকে। এ প্রেক্ষাপটে এবারের ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ এর প্রতিপাদ্য - ‘আসুন, পরিবারকে ডায়াবেটিসমুক্ত রাখি’ যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে হলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতার কাজ শুরু করতে হবে পরিবারের মধ্য থেকেই। বিশেষ করে ফাস্টফুড, কোমল পানীয়’র মতো ক্যালোরিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণে সংযমী হওয়া আবশ্যক। একইসাথে নিয়মিত খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সুষম ও পরিমিত আহার ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত জরুরি। আমি ডায়াবেটিস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি’র পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যমসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৯/১২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩০৬
আয়কর মেলা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়কর মেলা-২০১৯ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর উদ্যোগে ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত দেশব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সকল করদাতা এবং আয়কর আহরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। যাঁরা এ বছর বিভিন্ন শ্রেণিতে আয়কর কার্ড পাচ্ছেন এবং সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদি করদাতা হিসেবে পুরস্কৃত হচ্ছেন, তাঁদের প্রতি আমার অভিনন্দন।
আয়কর কেবল রাজস্ব আহরণের অন্যতম প্রধান উৎস নয়, এটি অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। আয়কর ব্যবস্থাকে কার্যকর ও শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সাংবিধানিক অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
আয়করকে জনগণের কাছে সহজবোধ্য করতে এবং কর সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ গঠনের লক্ষ্যে আমরা ২০১০ সালে আয়কর মেলা প্রবর্তন করি। করদাতাগণ আয়কর মেলার অনেক সুফল পাচ্ছেন এবং এর মাধ্যমে দেশের রাজস্ব আহরণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ৭৬ নম্বর আদেশবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ তথা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে যুগোপযোগী করার যাবতীয় উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। যথাযথ রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমাণের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
সম্মানিত করদাতাগণের সার্বিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে আয়কর মেলার সফল বাস্তবায়ন সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়নকে নিঃসন্দেহে ত্বরান্বিত করবে। আয়কর মেলা ২০১৯-এর সকল আয়োজন সফল ও সার্থক হোক-এ প্রত্যাশা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”
#
ইমরুল/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৯/১২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩০৫
আয়কর মেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আয়কর মেলা-২০১৯ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত দেশব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর বিভিন্ন ক্যাটগরিতে যে সকল করদাতা ট্যাক্সকার্ড এবং সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদি করদাতা হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক পুরস্কৃত হচ্ছেন তাদেরকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
দেশের রাজস্ব আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস আয়কর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ৭৬ নম্বর আদেশবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের অর্থনীতির ভিত শক্তিশালী করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সাল থেকে দেশে আয়কর মেলার প্রবর্তন করেন। করদাতাগণ আয়কর মেলায় একই ছাদের নীচে সবধরণের করসেবা পাচ্ছেন যা রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
আয়করের মতো জটিল একটি বিষয় নিয়ে আয়কর মেলার আয়োজন কেবল কর সংস্কৃতিতেই নয়, জাতীয় সংস্কৃতিতেও একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা রক্ষায় অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। তাই নিয়মিত আয়কর প্রদান আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। আমি দেশের করযোগ্য আয়ের মালিক প্রতিটি নাগরিককে সময়মতো আয়কর প্রদানে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
‘আয়কর মেলা-২০১৯’ এর যাবতীয় আয়োজন সফল হোক - এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৯/১২০০ঘণ্টা