তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৮
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন সংসদের উজ্জ¦ল নক্ষত্র
--- পরিবেশ মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত উপমহাদেশের সংসদীয় ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ¦ল নক্ষত্র। তাঁর মতো অভিজ্ঞ এবং মেধাবী পার্লামেন্টারিয়ানের অভাব পূরণ হওয়ার নয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে তাঁর ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, ’৭২ এর সংবিধান ফিরিয়ে আনতে তাঁর ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। মন্ত্রী বলেন, সাত বারের পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের তথ্যবহুল বক্তব্য সংসদের সম্পদ এবং পরবর্তী সংসদ সদস্যের জন্য অনুকরণীয়।
মন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে সুনামগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার উদ্যোগে জাতীয় নেতা বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, একজন দক্ষ ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে বাবু সুরঞ্জিত দেশের জন্য যে ভূমিকা রেখেছেন, জাতি তা কোনো দিন ভুলবে না। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিকভাবে তিনি ছিলেন প্রগতিশীল, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ধারায় বিশ্বাসী।
সুনামগঞ্জ সমিতি, ঢাকার সহসভাপতি সুজাত আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, এমপি; সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, এমপি; তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান, এমপি; অধ্যাপক মোঃ আলী আশরাফ, এমপি; একেএম শাহজাহান কামাল, এমপি; মহিবুর রহমান মানিক, এমপি; ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, এমপি; বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফিয়া খাতুন ও সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এড. এম আমীন উদ্দিন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান আমলে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সুরঞ্জিত ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ৭২ বছর বয়সে মারা যান।
#
দীপংকর/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/২২০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৭
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য --- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করার জন্য যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের জন্য এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য।
প্রতিমন্ত্রী গত সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
‘ইনভেস্টিং ইন ডিজিটাল বাংলাদেশ : ফিনটেক টু হাইটেক’ শীর্ষক এ সেমিনারে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল, কালচারাল, মিডিয়া এন্ড স্পোর্টস মন্ত্রী ম্যাট ওয়ারম্যান, লর্ড রনবীর সিং সুরি, লর্ড ডেবিড হাওয়েল, লর্ড জিতেস গাডিহা, ভেলিরি ভাজ এমপি, স্টিফেন ম্যাটক্লিপ এমপি ও স্টিফেন টিমস এমপি-সহ প্রায় ১৫০ জন ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি-ব্রিটিশ উদ্যোক্তা এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী ও লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তাদের সব প্রশ্নের জবাব দেন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে ১০০টি স্টার্ট-আপকে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট দেয়া হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঢাকায় ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এবং ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড আইটি কংগ্রেস অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা উল্লেখ করে তিনি এ দু’টি অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশ উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাঁরা যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সুদৃঢ় বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি উভয় দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেন। লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম এ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুসনে আরা বেগম এবং এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটালের চেয়ারম্যান ইফতি ইসলাম সেমিনারে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও সম্ভাবনার ওপর দু’টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
#
শহীদুল/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/২১৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৩৬
প্রান্তিক দুগ্ধ খামারিদের স্বার্থরক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করছে সরকার
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, প্রান্তিক দুগ্ধ খামারিদের বিকাশ ও স্বার্থ রক্ষায় সরকার সবধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে। দেশের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি খাতের উন্নয়নে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। যেসব ফার্ম দেশে গড়ে উঠবে, তাদের সাহায্য করার জন্য এই প্রকল্প। এছাড়া, ক্ষুদ্র খামারি ও নারী উদ্যোক্তাদের প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের মাধ্যমে বন্ধকবিহীন ৪ শতাংশে সরল সুদে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। এই স্কিমকে আরো বৃহৎ ও কার্যকর করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে অক্সফ্যাম ও বাংলাদেশ ডেইরী ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিডিএফ) আয়োজিত প্রান্তিক দুগ্ধ খামারিদের বিকাশে সরকারি-বেসরকারি নীতিমালা ও সেবা:সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, গত দশ বছরে দুধের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ, এখন জনপ্রতি প্রাপ্যতা ১৬৫ মিলি। ২০০9-10 অর্থবছরে দুধ উৎপাদন 23 দশমিক 70 লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ২০18-19 অর্থবছর শেষে 99 দশমিক 23 লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে, যা 4 দশমিক 19 গুণ বেশি। প্রতিমন্ত্রী দুধ প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিগুলোকে কম মুনাফার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রান্তিক খামারিদেরকে দুধের ন্যায্যমূল্য দিয়ে তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিডিএফ) এর সভাপতি উম্মে কুলসুম স্মৃতির সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
কামরুল/ফারহানা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/২০২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৫
বিআইডব্লিউটিএ’র অভিযান
তিনতলা একটি মার্কেট-সহ ৩৯টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ
ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :
নৌপরবিহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরবিহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নদী তীর দখলমুক্ত করতে আজ ঢাকা নদী বন্দরের আওতাধীন টঙ্গি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় একটি তিন তলা মার্কেট, আধাপাকা পাঁচটি দোকান ও ৩৩টি কাঁচা স্থাপনা অপসারণ করেছে। অপসারণের ফলে আধা একর তীরভূমি উদ্ধার হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ অপসারণ কার্যক্রমে ১৪ হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা করেছে।
আগামীকাল ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টা থেকে টঙ্গি ব্রিজ হতে পুনরায় অভিযান শুরু হবে।
#
জাহাঙ্গীর/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২০২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৪
দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে কারিগরি শিক্ষার সুযোগ ও পরিধি বাড়ানো হবে
-- শিক্ষা উপমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে কেবল কারিগরি ধারার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এজন্য সকল শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে কারিগরি শিক্ষার সুযোগ ও পরিধি বাড়ানো হবে।
উপমন্ত্রী আজ রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আয়োজিত ÔRegional Conference on Equipping Future Workforce with 21st Century and Technopreneurship Skills through Quality TVETÕ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কেবল প্রচলিত সাধারণ শিক্ষার মাধ্যমে দেশের সবার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভবপর নয় তাই প্রতিটি সাধারণ ধারার বিদ্যালয়ে কমপক্ষে দু’টি বৃত্তিমূলক ট্রেড কোর্স চালু করা হবে। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার্থীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। বৃত্তিমূলক ও কারিগরি দক্ষতাকে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে কাজে লাগাতে বিদেশি ভাষায় পারদর্শিতাকে অর্জনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করার কথা জানান উপমন্ত্রী। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণ ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
সেমিনারে আগত বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাথে মতবিনিময়ের ফলে কারিগরি শিক্ষায় বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সানোয়ার হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান, আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ এবং কলম্ব প্লান স্টাফ কলেজ, ফিলিপাইন্স এর মহাপরিচালক ড. রাম হরি লামিচানি।
#
জাহিদ/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩২
মিয়ানমার নাগরিকদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে সরকার কাজ করছে
--- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
কক্সবাজার, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা তথা মিয়ানমার নাগরিকরা যাতে মর্যাদা সহকারে নিজ দেশে ফিরতে পারে সেজন্য সরকার কাজ করছে। যে কোনো সময় তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি বলেন, মানবসৃষ্ট এ দুর্যোগ সরকার সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করছে যা সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ কক্সবাজারের উখিয়া ও কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন । এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি,জুয়েল আরেং এমপি, মীর মুস্তাক আহমেদ রবি এমপি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। আগামী দিনে এ দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সব গৃহহীনদের জন্য পাকা বাড়ি করে দেয়া হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের প্রতিটি গ্রামের ১টি করে দরিদ্র পরিবারকে অর্থাৎ মোট ৬৮ হাজার ৩৮টি দরিদ্র পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় পাকা বাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সরকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ৬০ লাখ এ ধরনের বাড়ি তৈরি করবে।
এরপর প্রতিমন্ত্রী ক্যাম্প আইওএম স্থাপিত ও পরিচালিত একটি হাসপাতালের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
#
সেলিম/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩১
আইসিটি বিভাগ ও সিমপ্রিন্টস টেকনোলজি লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
লন্ডন, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :
তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে সেবা প্রদান সহজ করে সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অলাভজনক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্রিন্টস টেকনোলজি লিমিটেড’ এবং ‘তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি বিভাগ’ এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল আমীন এবং সিমপ্রিন্টস টেকনোলজি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. টবি নর ম্যান নিজ নিজ পক্ষে সমাঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই-কমিশনার সাদিয়া মুনা তাসনিম-সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বাংলাদেশ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের করে সকল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে শহর ও গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইড দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সিমপ্রিন্টস টেকনোলজির সাথে এই চুক্তির ফলে পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারির উন্নয়ন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং সেবা প্রাপ্তি আরো সহজতর হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
#
শহিদুল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/১৯৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৩০
মুজিববর্ষের বর্ষপঞ্জি প্রকাশনা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযোগ্যভাবে উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নানা বর্ণাঢ্য কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে মুজিববর্ষের বিশেষ বর্ষপঞ্জি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একশ’টি ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজন করা হবে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে উদযাপন করবো। গত বছর ২৫ শে ডিসেম্বরে ওআইসি আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্বীকৃতি প্রদান করে। যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে আমরা সারা বিশ্বের কাছে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে পারবো’।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ মাসুদ করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আখতার হোসেন। এছাড়াও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আরিফ/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮৫২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৯
মুজিববর্ষে শিশুদের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধিতে রোডমার্চ ও রোডশো আয়োজন করা হবে
--- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, কোমলমতি শিশুদের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি ও বইমুখী করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে সারা দেশে রোডমার্চ ও রোডশোর আয়োজন করা হবে। এ রোডমার্চে নেতৃত্ব দেবেন দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। এছাড়া মুজিববর্ষে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারের সংখ্যা ৮শ’ হতে এক হাজারে উন্নীত করা হবে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এক হাজারটি গণগ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপন শীর্ষক একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন উপলক্ষে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান ইলিয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বই পড়তেন। বইয়ের প্রতি তাঁর বেশ আগ্রহ ও ঝোঁক ছিল। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা বইয়ের দিকে না ঝুঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীদেরকে বই পড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যতই সোশ্যাল মিডিয়া বিকশিত হোক না কেন, বই থাকবে, গ্রন্থাগার থাকবে। বইয়ের আবেদন কখনো ফুরোবে না।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের আওতায় ৭৬টি ভ্রাম্যমাণ গাড়ির মাধ্যমে লাইব্রেরি সেবাকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এ কাজে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সেবা গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রন্থাগারের সেবাকে আমরা উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই। সে লক্ষ্যে দেশব্যাপী ১০০ উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আধুনিক মিলনায়তন, মাল্টিপারপাস হল, মুক্তমঞ্চ, ক্যাফেটেরিয়া স্থাপনের পাশাপাশি একটি গ্রন্থাগার স্থাপন করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আবদুল্যাহ হারুন পাশা। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি আলী আকবর।
প্রতিমন্ত্রী এর পূর্বে বেলুন উড়িয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের দিনব্যাপী কর্মসূচি ও র্যালির উদ্বোধন করেন। র্যালিটি গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণ হতে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর, কলাভবন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি হয়ে চারুকলা অনুষদের সামনের দিক দিয়ে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
#
ফয়সল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৮
গৎবাঁধা অভিযোগ ছেড়ে বাস্তবতা মেনে নিন
--- বিএনপি’কে তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :
বিএনপি’কে গৎবাঁধা অভিযোগ ছেড়ে বাস্তবতা মেনে নেয়ার কথা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বেসরকারি সংস্থা ট্রমা লিংক’র ৫ম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বাতিল করার বিষয়ে বিএনপি’র দাবির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘আমি বলবো এই গৎবাঁধা কথাগুলো বাদ দিয়ে বাস্তবকে মেনে নেয়ার জন্য।’ একইসাথে ঐক্যফ্রন্টের কিছু নেতাও নির্বাচন নিয়ে ফতোয়া দেয়া শুরু করেছেন, যা যথার্থ নয়, বলেন তিনি।
‘ইভিএম-এ যেভাবে ভোট হয়েছে, এর চেয়ে স্বচ্ছ ভালো ভোট বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে কখনো হয় নাই’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘ইভিএম প্রত্যেক দলের জন্য পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এখানে কারো ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
‘ঐক্যফ্রন্টের কিছু নেতাও নির্বাচন নিয়ে ফতোয়া দেয়া শুরু করেছেন’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নন, আমাদের দেশে বিভিন্ন বিষয়ে কোনো কোনো মৌলানা যেভাবে ফতোয়া দেন, ঐক্যফ্রন্টের কিছু নেতাও নির্বাচন নিয়ে ফতোয়া শুরু করেছেন।’
‘বিএনপি লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করছে’ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ২৯ শতাংশ আর উত্তরে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেই ভোটের মধ্যে আমাদের প্রার্থীরা দ্বিগুণ ভোটে জয়লাভ করেছে। এখন এই লজ্জা ঢাকার জন্য তাদের নানা কথা বলতে হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা সেই কথাগুলোই বলছেন।’
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকানোর জন্য বলে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ভোট দেবার যোগ্য মানুষদের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়, আর তার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট পড়ে। অর্থাৎ মোট ভোট দেবার যোগ্য মানুষদের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট পড়ে।’
বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার কারাবাসের দু’বছর হওয়ায় তার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আহুত সমাবেশ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দন্ডপ্রাপ্ত আসামি। আদালত ছাড়া তাকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার সরকারের নাই। তারা বারংবার সরকারের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে আইন এবং আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন। সমাবেশ তারা অতীতেও করেছে, আমরা দেখেছি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তারা সমাবেশ করতে গিয়ে হাঙ্গামা করেছে, মানুষের ওপর আক্রমণ করেছে, গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করেছে।’
সমাবেশের অনুমতি মিলবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমস্ত বিচার বিশ্লেষণ করে অনুমতি দেবে কি দেবে না সিদ্ধান্ত নেবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে তাদের উদ্দেশ্যটা কী, সমাবেশ করা, না কি সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।’
স্কুলে ট্রাফিক আইন শেখানো প্রয়োজন
এর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি চিকিৎসাদাতা বেসরকারি সংস্থা ট্রমা লিংক এর ৫ম বর্ষপূর্তিতে সংস্থার চেয়ারম্যান মৃদুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শেখানো প্রয়োজন, সেটা সারা জীবন মনে থাকবে।
ড. হাছান আরো বলেন, ‘বিআরটিএ-কে বলবো সারা দেশে আরো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার জন্য। বিআরটিএ-সার্টিফাইড বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যদি ড্রাইভিং শিক্ষা দেয়, তাহলে আমাদের দেশে প্রশিক্ষিত ড্রাইভারের সংখ্যা আরো বাড়বে। অন্তত যে পরিমাণ গাড়ি আছে সেই পরিমাণ ড্রাইভার আমরা পাবো। যে পরিমাণ গাড়ি আছে তার চেয়ে বেশি ড্রাইভার দরকার। কারণ একজন ড্রাইভার প্রতিদিন গাড়ি চালাতে পারে না।’
ট্রমা লিংক-এর প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা যেভাবে সেবা দিচ্ছে সেটি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৫ শতাংশ মানুষ মারা যায় অতিরিক্ত রক্তক্ষণের কারণে, সঠিক চিকিৎসাটা না পাওয়ার কারণে। তাদের এই উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীদের ও বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গ্রুপগুলোকে যদি এর সাথে সম্পৃক্ত করা যায় তাহলে এই নেটওয়ার্কটা অনেক বাড়বে।’
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী