Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st ফেব্রুয়ারি ২০২০

তথ্যবিবরণী 1/02/2020

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৩৯২

এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার নাম

                         -- বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৮ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :

          বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার নাম। এই সম্ভাবনাকে সফলতায় রূপান্তরের জন্য কাজ করছে সরকার।

          আজ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কনকোর্স হলে ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের নতুন এয়ারবাস এ-৩৫০ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা-সহ ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে যাত্রীদের ব্যাগেজ সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মন্ত্রণালয়, সরকারি-বেসরকারি অংশীজন ও গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকার কারণেই আজকের এই সাফল্য।

          মাহবুব আলী বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৩য় টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে যা নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ২১ হাজার ৩ শত ৯৯ কোটি টাকা। এই টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ৩ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটারের আয়তন, ২০ টি বোর্ডিং ব্রিজ, ২১ টি কনভেয়র বেল্ট ও ১৭৭ টি চেক ইন কাউন্টার নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বছরে মোট ২০ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা প্রদান করতে পারবে। ৩য় টার্মিনালের সকল সেবা হবে স্বয়ংক্রিয় ও আন্তর্জাতিকমানের। যাত্রীদের ভ্রমণকে সহজ ও স্বস্তির করে তোলার সকল আয়োজন থাকবে শাহজালালের ৩য় টার্মিনালে। 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫ হাজার ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহ আমানাত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়ে শক্তিশালীকরণ ও এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।  সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ২ হাজার ৭ শত ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ে শক্তিশালীকরণ প্রকল্প  চলমান রয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। ৫ হাজার ১ শত ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯০০০ ফুট থেকে বাড়িয়ে ১২০০০ ফুট করার প্রকল্প চলমান রয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে এর উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। 

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,  সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বিশ্বের অন্যতম প্রধান একটি আকাশযান পরিবহণ সংস্থা। অত্যাধুনিক এ এয়ারবাস-৩৫০ সংযোজনের মাধ্যমে যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। প্রতিযোগিতার এই বাজারে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স তাদের সেবার মান বজায় রেখে যাত্রী সন্তুষ্টি অর্জনে সফল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

          অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, বাংলাদেশস্থ সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটের কনসাল মিঃ উইলিয়াম চিক, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার জর্জ রবার্টসন প্রমুখ।

#

 

তানভীর/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/২২৩২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩৯১ 

তথ্যমন্ত্রীর পিতা এডভোকেট নূরুচ্ছাফা তালুকদারের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী ২ ফেব্রুয়ারি

 

ঢাকা, ১৮ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :

রাঙ্গুনিয়া আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদের পিতা এডভোকেট আলহাজ্ব নূরুচ্ছফা তালুকদারের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল । 

 

এডভোকেট নূরুচ্ছফা তালুকদার মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর, রাঙ্গুনিয়া থানা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করে গেছেন। ২০১১ সালের এইদিনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

 

তথ্যমন্ত্রীর বাবার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম আদালত জামে মসজিদে রোববার বাদ-জোহর চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি-সহ বিভিন্ন স্তরের আইনজীবীদের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। নূরুচ্ছাফা তালুকদার স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বাদ-আছর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে মরহুমের চট্টগ্রাম শহরের নিজ বাসভবন মৌসুমী আবাসিক এলাকা জামে মসজিদে। 

 

এছাড়া মরহুমের গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামের মসজিদে দিনব্যাপী কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল-সহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ  ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন-সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ তাঁর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

 

উল্লেখ্য, এডভোকেট নূরুচ্ছাফা তালুকদার একজন নির্লোভ, নিরহংকার ও সজ্জন আইনজীবী ছিলেন। '৭৫ পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ বিশেষ করে উত্তর চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার কাজে তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য। 

 

#

 

আকরাম/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/2020/২০০৫ NÈv

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩৯০ 

 

বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তরুণ নেতৃত্বই দেশকে এগিয়ে নিবে

                                                                 ---স্পিকার

 

চরফ্যাসন (ভোলা), ১৮ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ জনগণই তরুণ। আর তরুণরাই হচ্ছে দেশের মূল শক্তি, যারা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে। এ সময় তিনি তরুণদের মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে আহ্বান জানান।

স্পিকার আজ ভোলার চরফ্যাসন সরকারি কলেজের ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সকল কথা বলেন।

স্পিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ-২০২০’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থার অভূতপূর্ব ও ইতিবাচক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, শিক্ষা উপবৃত্তি, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ট্রাস্ট, বিনামূল্যে বই বিতরণ, নারীদের মেধাবৃত্তি, মায়েদের কাছে মোবাইলের মাধ্যমে বৃত্তির টাকা পাঠানো, স্কুলকে জাতীয়করণ-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে সকলের মাঝে বই বিতরণের নজির বিশ্বের আর কোথাও নাই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

চরফ্যাসনকে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চরফ্যাসনে ভ্রমণ করেছিলেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশ ও সংবিধান উপহার দিয়েছেন। তিনি বলেন, মাত্র সাড়ে তিনবছরে বঙ্গবন্ধু দেশকে পুনর্গঠন করেছেন।

#

 

তারিক/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/2020/1933 NÈv

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩৮৯

 

শাহপরীর বাঁধ জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততা থেকে রক্ষা করবে

                                   ----পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

 

কক্সবাজার, ১৮ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :

 

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, শাহপরী দ্বীপের বাঁধ ২০১২ সালে জলোচ্ছ্বাসে তীব্র ধসের পর সরকার এবার বাঁধ নির্মাণ করেছে যা উখিয়া, টেকনাফের স্থানীয়দেরকে দীর্ঘদিনের জলোচ্ছ্বাস-সহ লবণাক্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করবে।  

আজ কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরী দ্বীপের বাঁধ এলাকা ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা দৃঢ়করণে নাফ নদীর তীরে বাঁধ এলাকা পরিদর্শনকালে মন্ত্রী একথা বলেন।  

 

মন্ত্রী বলেন, এই এলাকা লবণাক্ততার জন্য ফসল আবাদ করতে পারছিলো না যা এই বাঁধ ও তীররক্ষার ফলে ইতোমধ্যে অনেকাংশ নিরসন হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে সকল চলমান প্রকল্প  দ্রুত সম্পন্নের জন্য ঠিকাদারদের নির্দেশনা রয়েছে এবং কাজের দীর্ঘসূত্রতার জন্য অনেক ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে বিরাজমান পরিস্থিতিতে নাফ নদীর অদূরে এই তীর রক্ষা বাঁধ সীমান্তে বিজিবি টহলেও সহায়তা করবে যা দেশের জাতীয় স্বার্থের জন্য সহায়ক।

#

 

আসিফ/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/2020/১৮৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৩৮৮

 

বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে

               ---বীর বাহাদুর উশৈসিং

 

চট্টগ্রাম, 18 gvঘ (1 ‡deªæqvwi) :

 

বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান সরকার বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তির  ওপর গুরুত্বারোপ করছে।  তিনি আরো বলেন, বৈদেশিক শ্রমবাজার ধরে রাখতে হলে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। 

 

আজ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা’ শীর্ষক বিভাগীয় পর্যায়ে প্রচারণামূলক প্রেস ব্রিফিং ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। 

 

মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর লাখ লাখ লোক চাকরি নিয়ে বিদেশ যাওয়ায় একদিকে দেশের বেকারত্ব কমছে অন্যদিকে তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। 

 

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার প্রতি উপজেলা হতে এক হাজার জন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির নির্দেশনা দিয়েছে। মন্ত্রণালয় বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য সহজ শর্তে ঋণ এবং বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীদের কল্যাণমূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।     

 

 

#

 

নাছির/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/2020/১৮০৫ NÈv

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৮৭

অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচন

                                              -তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৮ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :

        'পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মহানগর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে', বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ  সম্পাদক
ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

          শনিবার দুপুরে ঢাকায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

          আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, '৫৪ লক্ষ ভোটারসমৃদ্ধ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণার যে আমেজ ছিল, তা থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত মানুষ যেভাবে উৎসাহ, উদ্দীপনায় ভোট দিচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রয়েছে।'

          মোহাম্মদপুরে নির্বাচন কভার করার সময় একজন সাংবাদিক আহত হবার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটি সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত, অত্যন্ত দুঃখজনক, কোনোভাবেই সমীচীন নয় এবং আমরা এটি সমর্থন করি না। কিভাবে তিনি আহত হলেন, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃংখলা বাহিনী এবিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।'

          সকালের দিকে কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম এবং আওয়ামী লীগ কর্মীদের উপস্থিতি বেশি ছিল- এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, 'শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ কর্মীরা যে সক্রিয় প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে, তাতে আমাদের প্রার্থীরা প্রচারের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। আর শীতের দিন ও বন্ধের দিন সকাল আটটায় উপস্থিতি কম হওয়াই স্বাভাবিক। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতিও স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে, এবং এখনো অনেকক্ষণ বাকি আছে। আমি আশা করবো, সবাই যে যেখানে আছেন, ভোট দিয়ে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। আর ইভিএম মেশিন নিজেই পোলিং এজেন্টের মত কাজ করে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট-পরিচয় সঠিক মিললেই কেবল ভোট দেয়া যায়। সুতরাং আওয়ামী লীগের যত কর্মীই থাকুক, ভোটে অনিয়মের কোনো সুযোগে নেই। অন্যদিকে বিএনপি কর্মীদের অনুপস্থিতি তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতারই পরিচয় এবং  নেতাদের কথাবার্তায় তারা হতাশ।'

          ‘বিএনপি'র প্রতিক্রিয়া পূর্বপরিকল্পিত’

          তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে।  মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব তার কথায় বিএনপি'র উদ্দেশ্য পরিস্কার করেছেন এই বলে যে- 'আমাদের সাফল্য এই যে, আমরা মাঠে নামতে পেরেছি'- অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে, জয়লাভ তাদের উদ্দেশ্য নয়। তারা শুরু থেকেই নানা অভিযোগ করার চেষ্টা করেছে, সকাল থেকেই সেগুলো বলা শুরু করেছে। তারা সকালে, দুপুরে, বিকেলে এবং নির্বাচনী ফলাফল যেমনই হোক, কি বলবে, তা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে।'

          বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেও তাদের আসল উদ্দেশ্য কি- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'প্রথমে আমি তাদের নির্বাচনে অংশ নেবার জন্য ধন্যবাদ দেই। কিন্তু তারা সেই নির্বাচনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছে, বারবার বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ধর্ণা দিয়ে কূটনীতিকদের শিষ্টাচার লংঘনের অবস্থা তৈরি করে দিয়েছে। সুতরাং তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করা।'

#

আকরাম/পরীক্ষিৎ/শামীম/২০২০/১৫৩৭  ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৮৬

‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৮ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ ফেব্রুয়ারি ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান
করেছেন :

          “প্রতি বছরের মত এবারও ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’ আয়োজিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি আয়োজক সংস্থা- বাংলা একাডেমি, দেশি-বিদেশি প্রকাশক এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারের একুশে গ্রন্থমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

          আজকের এই দিনে আমি সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিকসহ সকল ভাষা শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল ভাষা সৈনিকের প্রতি।

          বাংলা ভাষা আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষের প্রাণে অনুরণিত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি এখন ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। এই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কানাডা প্রবাসী সালাম ও রফিকসহ কয়েকজন বাঙালি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করে। যার ফলশ্রুতিতে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতিদানের জন্য আমি ইতোমধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দাবি উত্থাপন করেছি। বিশ্বের সকল ভাষাগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংরক্ষণ, বিকাশ ও চর্চার লক্ষ্যে আমরা ঢাকায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করেছি।

          জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা একাডেমি আজ থেকে পর্যায়ক্রমে ১০০টি নতুন বই প্রকাশ শুরু করেছে। এর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ বঙ্গবন্ধুর লেখা নতুন বই ‘আমার দেখা নয়া চীন’। আমি বঙ্গবন্ধুর এ বইয়ের প্রকাশক বাংলা একাডেমি এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি, অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং কারাগারের রোজনামচা- এর মত এই বইটিও দেশি-বিদেশি পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হবে।

          জ্ঞানচর্চা ও পাঠচর্চা বিস্তারে গ্রন্থমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রন্থমেলা এমন একটি মাধ্যম, যা জাতির অগ্রগতির ও উন্নয়নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গ্রন্থমেলা আমাদের অস্তিত্ব, জীবনবোধ এবং চেতনাকে জাগ্রত করে। বইয়ের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুকে যথাযথভাবে তুলে ধরবেন-  প্রকাশক ও লেখকদের প্রতি এ আহ্বান জানাচ্ছি।

          আসুন, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলি। সকল ভেদাভেদ ভুলে মহান একুশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে একসঙ্গে কাজ করব-  এই হোক একুশে গ্রন্থমেলায় আমাদের অঙ্গীকার।

          আমি ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

                                                                                                            জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

                                                                                                            বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

ইমরুল/পরীক্ষিৎ/সুবর্ণা/শামীম/২০২০/১৩২৪ ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৮৫

‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৮ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২ ফেব্রুয়ারি ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেনঃ

          “বাংলা একাডেমির উদ্যোগে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রাক্কালে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

          বাংলা একাডেমি কর্তৃক এবারের একুশে গ্রন্থমেলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ১০০টি বই প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। আমি আশা করি লেখক, পাঠক, প্রকাশক ও সাহিত্যপ্রেমীদের অংশগ্রহণে গ্রন্থমেলা বরাবরের মতো মহামিলন মেলায় পরিণত হবে।

          বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির পাদপীঠ বাংলা একাডেমি ১৯৫৫ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা একাডেমি মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে নানাভাবে ধারণ করে আছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ বছর বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালিত হবে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্রষ্টা এবং বাঙালি জাতির মন ও মানস গঠনে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। তিনিই সর্বপ্রথম ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় ‘বাংলা সাহিত্য সম্মেলন’ উদ্বোধন করেন। ভাষা শহিদদের রক্তস্নাত পথ ধরে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি জাতীয় শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশে অনন্য একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে  দেশ ও দেশের বাইরে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে বাংলা একাডেমি সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে - এ প্রত্যাশা করি।

          মূল্যবোধের অবক্ষয়রোধ এবং সুকুমার বৃত্তির বিকাশে শিল্প-সাহিত্যচর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নবতর চিন্তা-চেতনা ও মূল্যবোধের মাধ্যমেই নতুন মানুষ সৃষ্টি সম্ভব। একাডেমির এই প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে গ্রন্থমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে-  এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

          আমি  ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’ এর সার্বিক সফলতা কামনা করি।

          খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

#

ইমরানুল/পরীক্ষিৎ/সুবর্ণা/শামীম/২০২০/১৩২৮ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৩৮৪

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৮ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

            “জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের প্রত্যয় নিয়ে তৃতীয়বারের মতো দেশে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২০’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘সবাই মিলে হাত মেলাই, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত চাই’- অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। 

            আওয়ামী লীগ সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে Pure Food Ordinance, ১৯৫৯ রহিত করে যুগান্তকারী ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩, প্রণয়ন করা হয়েছে, যা ২০১৫ সালের ২ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এ আইনের অধীনে আমাদের সরকার ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তারিখে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করে। শুধু তাই নয়, নিরাপদ খাদ্য আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আর্থিক বিধিমালা, ২০১৯’ এবং ‘নিরাপদ খাদ্য (খাদ্য স্পর্শক) প্রবিধানমালা, ২০১৯’ প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের এই দিনে প্রথম জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালন করা হয়। ভেজাল খাদ্য শনাক্তকরণ ও নিরোধে অন-স্পট স্ক্রিনিং, মোবাইল কোর্ট এবং মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভেজাল খাদ্য রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিকল্পে প্রচারণামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় স্থাপন এবং ল্যাবরেটরি স্থাপন ও কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরি স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে পূর্বাচলে ৫ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খাদ্যের নিরাপত্তা ও গুণগতমান পরীক্ষণের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ৮টি বিভাগে ৮টি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের হটলাইন সেবা ৩৩৩ এর মাধ্যমে চালু করা হয়েছে।

            আমাদের সরকার দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বস্তরের জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটানা গত ১১ বছর আমাদের সরকার কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন ‘উন্নয়নের বিস্ময়’। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখার নিমিত্তে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাস্থ্যবান ও কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। তাই জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ নিরাপদ মান নিশ্চিত করতে হবে।

            আমরা আগামী ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১ সময়কে মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছি। এ সময়ে বাংলাদেশ এবং ইউনেস্কো যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করবে। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের পেশাগত উৎকর্ষতা অর্জনের মাধ্যমে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে - জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে এই আমার প্রত্যাশা।       

            আমি আশা করি, সকলের অংশগ্রহণে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপদ খাদ্য প্রতিষ্ঠায় আমরা সক্ষম হব। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি সফল হোক। 

                                                                                                            জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

                                                                                                            বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

সরওয়ার/পরীক্ষিৎ/সুবর্ণা/শামীম/২০২০/১২৪২ ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ৩৮৩

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৮ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২০ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          “বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২০’ উদ্‌যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সবাই মিলে হাত মেলাই, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত চাই’ যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

          জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে ভেজালমুক্ত, নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণে ক্যান্সার, কিডনিরোগ, বিকলাঙ্গতাসহ মারাত্মক স্

2020-02-01-22-44-88a250bf58babe02417bbe8d73ccb6f4.docx 2020-02-01-22-44-88a250bf58babe02417bbe8d73ccb6f4.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon