Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ জুলাই ২০১৯

তথ্যবিবরণী 5/7/2019

তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর : ২৪৪৬

সামাজিক মাধ্যমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য ঐকমত্য

ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই) :

অসত্য তথ্য, অপপ্রচার ও যাচাই-বাছাইহীন সংবাদ ও মতামত প্রকাশ-সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যে সব ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে, সে সব কীভাবে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে মোকাবিলা করা যায় তেমন কয়েকটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ ও যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া ও ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় দলের সভাপতি ডেমিয়ান কলিন্স।

          লন্ডনে গতকাল সন্ধ্যায় হাউজ অভ্ কমন্সে ডেমিয়ান কলিন্সের সাথে বৈঠক করেন যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী।

          ড. হাছান মাহ্মুদ এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে তা তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবাদপত্র, টিভি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত যাতে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সে জন্য বিগত এক দশকে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কখনও কখনও যে সব অপপ্রচার ও অসত্য তথ্য ও মতামত প্রকাশ করা হচ্ছে সেগুলো একদিকে যেমন সুস্থ গণমাধ্যমের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে, অন্যদিকে ব্যক্তি সমাজ ও দেশের স্থিতিশীল ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে’। তথ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চান এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য এক সাথে কাজ করতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন। 

          ডেমিয়ান কলিন্স বলেন, ‘যুক্তরাজ্যও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ বিভিন্ন কার্যকর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে’।

          যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম, প্রেস মিনিস্টার মোহাম্মদ আশেকুন নবী চৌধুরী, পলিটিক্যাল কাউন্সিলর দেওয়ান মাহমুদ ও প্রথম সচিব মোঃ শফিউল আলম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

          এর আগে তথ্যমন্ত্রী লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাবের সাথে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ও ব্রিটিশ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলা সাংবাদিকতার দীর্ঘ ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করেন এবং এ ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে এখানকার বাংলাভাষী সাংবাদিকরা যে ভূমিকা রেখে চলেছেন তার প্রশংসা করেন।

          মন্ত্রী বলেন, ‘লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাব বাংলাদেশের বাইরে বাংলাভাষী সাংবাদিকদের একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান এবং এ প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার সম্ভাব্য সব সহযোগিতা করবে’।

          যুক্তরাজ্য থেকে বেলজিয়াম ও ফ্রান্স সফরকালে ব্রাসেলসে বসবাসরত বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে সভা ও প্যারিসে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্যদের প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করবেন ড. হাছান মাহমুদ।

          সফর শেষে ৯ জুলাই মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।

#

আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১৪০ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ২৪৪৫

লবণচাষীদের আগামী পাঁচ বছর বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে

                                                           ---শিল্পমন্ত্রী

 

কক্সবাজার, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই) :

 

            দেশের প্রান্তিক লবণচাষীদের আগামী পাঁচ বছর বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করা হবে। এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে লবণ আমদানির নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

            শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আজ কক্সবাজারে হোটেল লং বিচে 'লবণ চাষ ও আয়োডিনযুক্তকরণ : সার্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং ইউনিসেফ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। বিসিকের চেয়ারম্যান মোঃ মোশতাক হাসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও আশেক উল্লাহ রফিক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ নিউট্রিশন অফিসার  পিয়ালী মুস্তাফী। সংস্থার নিউট্রিশন  অফিসার ডা. আইরিন আখতার চৌধুরী কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

            শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশীয় শিল্পসমূহ রক্ষায় অত্যন্ত তৎপর। লবণচাষীদের রক্ষা করা গেলে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব হবে। ধানের মতো লবণচাষীদের নিকট থেকে সরকার কর্তৃক সরাসরি লবণ ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান  শিল্প প্রতিমন্ত্রী।

            মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ডা. আইরিন আখতার চৌধুরী বলেন, আয়োডিন মানবদেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মস্তিষ্কের বিকাশের প্রয়োজনসহ শারীরিক, মানসিক সুস্থতার জন্য একজন মানুষের সারা জীবন আয়োডিন গ্রহণ করতে হয়। তাই সকলের জন্য আয়োডিনযুক্ত লবণ নিশ্চিত করা অপরিহার্য। তিনি বলেন, লবণে আয়োডিন মিশ্রণের সিস্টেম লস কমাতে মিল শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং আয়োডিন যুক্ত লবনের গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে।

            ইউনিসেফের চিফ নিউট্রিশন অফিসার লবণের উৎপাদন বাড়াতে লবণচাষীদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের লবণ চাষ কক্সবাজার অঞ্চলভিত্তিক হওয়ায় লবনের মান বজায় রাখা, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং লবণচাষীদের দক্ষতা বৃদ্ধি সহজেই সম্ভব।

 

            কর্মশালায় মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, চাষী পর্যায়ে লবনের বিক্রয় মূল্য মাত্র চার থেকে পাঁচ টাকা যা অত্যন্ত কম। চাষীদের রক্ষার্থে এই দাম বাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য লবণ আমদানি না করে দেশীয় লবণ ব্যবহারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে, বড় বড় শিল্প-কারখানাগুলোকে দেশি লবণ ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে। তারা বলেন, সবার জন্য খাবার লবণে আয়োডিন নিশ্চিত করতে বাজারে খোলা লবণ বিক্রি বন্ধ করতে হবে।

            কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম ও এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ লবণচাষী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কায়সার ইদ্রিস, কক্সবাজার জেলা লবণ মহাল কমিটির সভাপতি রহিম উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা লবণ মালিক সমিতির সভাপতি রইস উদ্দিন, বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির প্রমুখ মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

            বিসিকের চেয়ারম্যান বলেন, ইউনিসেফের কারিগরি সহায়তায় লবণ চাষের নতুন প্রযুক্তি সকল লবণচাষীর মাঝে পোঁছে দেওয়া হবে। এতে লবণের উৎপাদন দ্বিগুণ হবে। দাদন ব্যবসায়ীদের হাত থেকে চাষীদের রক্ষার জন্য স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। লবণ নিয়ে একজন পরিচালকের নেতৃত্বে পৃথক একটি বিভাগ খোলার একটি প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

#

মাসুম/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৭৪৬ ঘণ্টা

Todays handout (1).docx Todays handout (1).docx